কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

প্রণব বসুরায়




কোন রাস্তা  

ঘন্টা বাজলে শূন্যঘরে
তরল চাঁদ ঢুকে যায় অলিতে গলিতে
কেনাকাটা সমাপ্ত হলে কোনো ছলে এড়িয়ে যেও না,
ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়ে
কোন প্রস্তাবনা কেউ চায়নি কখনও

আমি লু্ডো খেলি একা একা, প্রতিপক্ষ নেই
তাও বারবার ছয় ফেলি
তখন মেলছে পাখা নিভু নিভু আলো
জোনাকিও ফুটছে সবে শিউলি বাগানে
চারপাশে থৈ থৈ খুশীর আতর

বাহান্ন ক্রোশ পথ হেঁটে
কোন রাস্তা কোথায় যে মেশে...


তুমি থেকো

ক্রিয়াপদ ব্যবহারে বিলকুল ভুল হয়ে গেছে
একথা পূর্বাহ্নে বুঝতে পারা তেমন সহজ নয়
তাই বসা এই ভূমে, মাথাও নামিয়ে আনি
আদিম বৃক্ষের কাছে...

পরম্পরায় অসঙ্গতি নেই, খরশব্দ থাকেনি কোথাও...
কোলাহল দেরাজে রেখে পাতা হোক নক্সা-জাজিম--
চুক্তিপত্র ফের লেখা হোক
পদ্মপাপড়িতে পুনরায় আঙুল ছোঁয়ার...

আকাশ আকাশে থাক
তুমি থেকো সমুদ্রগর্জনে


নামি জলে 

এই আলো আঁধারেরও বেশি লাগে, কখনও কখনও
দূরত্ব বিষয়ক সীমান্তে কাঁটা-তার, উর্দি  পাহারাদার...

আমার কোন ভিসা  পাসপোর্ট নেই
একমাত্র নদী আছে সাঁতরে যাবার

নামি, জলে--
ওই দিকে কেঊ কথা বলে ?

যাপনচিত্র 

যাপনের চিত্রগুলি হারায় কোথায়? সিন্ধু নর্মদায়?
প্যালেটে শুকনো রঙ, পাশে রাখা না ধোয়া বুরুশ...
পেয়ালা-পিরিচে স্তুপ ছেঁড়া কাগজের

চিত্রকর গেলো যে কোথায় -- দূর ব্যাবিলনে!


জানি, জানি -- এপ্রকার নিষ্ক্রমণ প্রথাসিদ্ধ নয় 


না,  নেই 

এখানে ঢাক নেই, নেই স্রোতস্বিনী
পাতার মর্মর -- সেও যে কোথায়!

বসে আছি সরযূর কোল ঘেঁষে
নদী এত শব্দহীন বয়?

মানুষেরা জাঙ্ক ফুড  পানীয়ের সাথে
কেউ হাঁটে ঢাল বেয়ে, কেউ বসে পাথরসঙ্গমে
শাটার বন্ধ করে, 
কারো কারো
 সময়ে  ক্রয়ের কথা আবশ্যিক মনে পড়বেই...

এখানে ঢাক নেই, নেই স্রোতস্বিনী
এখন মহুল বনে পাতাও পড়ে না...




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন