কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

গোবিন্দ পাল




প্ল্যাটফর্ম


যে বাক্সের বোঝা
কাঁধে করে বয়ে
দিন রাত ছুটে এসেছো
একটু সূক্ষ্ম নজরে দ্যাখো
তুমি এখন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে,
এবার তোমাকে গন্তব্যের গাড়িতে চাপতে হবে
সময় হয়ে এসেছে
সিগনালও দিয়ে দিয়েছে
তবে যাদের তাগিদে এতদিন
যে বোঝা বয়ে এসেছো
তোমার টলমলে পা
ক্লান্ত শরীর দেখে
তোমার আগামী প্রজন্মেরা
ঠিক করে নিয়েছে
তোমার কাঁধ থেকে এবার
বোঝাটা নামিয়ে
তোমাকে ভারমুক্ত করা,
সময় সময়ে তোমাকে
আঙুলের ইশারায় দেখিয়ে দিচ্ছে
সিগনালের দিকটা
যেখানে এসে তোমার
গন্তব্যের গাড়িটা দাঁড়াবে।
গাড়িতে যখন চাপবে
তোমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব
গঙ্গাস্নান সেরে
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলবে
তারপর তোমার ছেড়ে যাওয়া বোঝা
এবার ওরা কাঁধে নিয়ে ছুটবে।



কবিতার ছন্দে


শ্রদ্ধার উপবনে আজ নিবিড় অন্ধকার
বিশ্বাসের ডালে আতঙ্কের বাসা
ঋণের নিশ্বাসে আশ্বাসের পাহারা
দোষটা না আমার না তোমার
টুকরো টুকরো রৌদ্র কুড়িয়ে
কতদিন'ই বা যায় অঞ্জলি ভরা
আদর্শের নৌকো ডুবে যাচ্ছে
অত্যাচারী গভীর জলাশয়ে
সততা পালিয়ে গেছে আততায়ীর ভয়ে,
আকাশ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে যারা
ইতিহাসের ছেঁড়া পাতায় চিহ্নিত ওরা,
আদর্শের রং এখনও যে ঘন হয়নি
থাকুক না মাথার উপর অজস্র তারা,
শীতল সবুজ ছায়ার ঘূর্ণিপাকে পাকে  
গড়েছে এরাই কবিতার ছন্দ
আছে শুধু তাতে ভালবাসা
আর নীলার গন্ধ,
নেই কোনো আগুন, নেই রক্তের পাহারা।

               
পৃথিবীর খোঁজে


নিঃশব্দে মনের অলিন্দে
একটা ফুল ফুটেছিল,
নির্জন রাতে
আমি দিয়েছিলাম আত্মাহুতি
তুমি জ্বেলেছিলে দীপশিখা
ঝরেছিল শিশির বিন্দু,
তারপর
অজানা এক পৃথিবীর খোঁজে
হাত ধরাধরি করে
বেরিয়েছিলাম আমরা দুজনেই।







0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন