কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

জপমালা ঘোষ রায়




রুমালের ‘স্ব ১’

যে রুমালের সত্ত্ব শর্ত নিয়ে এত নাটক তার সর্বস্ব এখন তুই জানিস তবে নিজের ঢাক নিজে যতই পেটাস আইসক্রিমের উষ্ণতা তোকে আমিই শেখালাম। নতুবা তুই মেধাবী দূরত্ব থেকে ভীষণ  হিসেবী ব্যাটাছেলের মত নগরকুহকিনী না-নিরাপদ জীবনকে নিরাপদ করতে চিটফান্ডে ঠিকঠাক প্রিমিয়াম ভরে যাস আর ফি-বছর হেমন্তরাত গালুডি মন্দারমণি নিদেনপক্ষে বৃক্ষরোপণ উৎসবে শান্তিনিকেতন যাস।
টাকাটা খুব বেশিরকম মাটি এবং মাটিটাও খুব অনেকখানি টাকা এই সিদ্ধান্ত  মেনে নিয়ে আহত ইগোর হংসায়ন ঘটাতে থাকি। সান্ধ্যভ্রমণে ত্রিফলার ক্যারিশ্মায় মেতে উঠে তুরীয়ানন্দ মেনে নিতে থাকি। আমার জন্য আর আলো জ্বালাতে হবে না। হনন জিঘাংসা জলের মত আমার মাথার ওপর দিয়ে বয়ে গেলে আমি নিজেই সাবমেরিন হব। বেশী ফলাফল নেবো না, শুধু ওষুধের ঝাঁজ এবং রাংতা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হবে কিছুটা সকাল। খাওয়াপরা ব্যতিরেকে দ্বিখণ্ডিত আত্মার স্বপ্নের জন্য বরাদ্দ ভিক্ষা ছেড়ে দেবো মন্বন্তরের হাতে। তুই বরং  রুমালের সর্বস্ব মেনে নিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল পাঠিয়ে দিস মণীষার  ত্রাণ তহবিলে।

রুমালের ‘স্ব ২’
       
কিছুতেই পীঠ তুলে দাঁড়াতে পারছি না বলে পেতে দিয়েছি কুলোবাঁধা পীঠ। ভোকাট্টা ঘুড়ি থেকে কিছুটা সূতোর মত সময়রেখা মজ্জায় পাকদণ্ডী দিয়ে লিখে যাচ্ছে একের পর এক '', যা দিয়ে বুঝে নিতে হবে রুমাল বিষয়ক সর্বস্ব।
চামড়া টানটান করে রুমালি অস্তিত্ব ঝেরে ফেলে রক্ত মাংস  নিয়ে চলে গেছে শিকারি  বিড়াল। আমি বিড়ালের '' রুমালের 'স্ব' কিছুতেই মেলাতে পারছি না এত অদ্ভুত ট্রমা। শুধু ক্যাটস আই গেঁথে নিয়ে ধূসর ঘুড়িটা জানালার আড়ে  কাঠে আটকে গিয়ে আগাছার দিকে তাকিয়ে আছে। গ্রিলে মুখ ঘষছে।
নিজস্ব রুমালে লিপ্সটিক আর কান্না দুটোই  মোছা ছিল। কিন্তু লণ্ডভণ্ড পরবাসে যে ময়লা রুমালটা পড়েছিল তার DNA রিপোর্টে কি কোন চাবি ছাপ থাকবে? ফিঙ্গার প্রিন্টসে কোন জুগুপ্সা লেখা থাকবে? ভীষণ হতবাক, শুধু জনান্তিকে একটাই কথা, কোন কোন তালা সেফটিপিন দিয়েও ভাঙা যায়, কোন কোন সেফটিপিন কান্নার চেয়েও বিঁধে যায়, কোন কোন নিবিড় দাগ কেটে বসে যায়, কোন কোন নির্মাণ লবঙ্গের অভ্যাসের মত চলে আসে চোয়ালের দিকে, তাকে আর কোনো ভাবেই বাদ দেওয়া যায় না। 

মেডিকেল সামারি

মেডিকেল সামারিটা শেষ করুন সিস্টার। পচে যাওয়া গর্ভের বিষ প্লাজমার টোটালিটিতে। ঋতুস্রাব নিঃশেষিত হয়ার আগে বেদানার রক্ত পান করে নিরক্ত মানবী বীজগুলি রেখে যাচ্ছে মানুষের মৃত্যুর আগে তবুও মানবে... বাকি সব ইম্প্র‍্যাক্টিকাল আপেলকাল আর মুসাম্বিসকাল।  

অ্যাপ্রনে ফর্মালিন গন্ধ নিয়ে সেবিকা টি বললেন ১৩২ নং এর বাড়ির লোক কে আছেন? পেশেন্টের কোনো প্রত্যঙ্গ দান করা আছে কি না প্রমাণপত্র রেখে যাবেন। 

ফর্মালিটির অপর প্রান্তে ফর্মালিনের জারের পাশে তবুও মানব থেকে যাওয়ার থিওরি। 

কারও কোনো চোখ ভিজানো  আছে কি ওই জারে? 

জারকে? জারণে? 

ইকনমি ভেন্টিলেটর থেকে কেউ কি দেখছে এখনো মৃত্যুরও পরে? 



1 কমেন্টস্: