কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

রাজিয়া সুলতানা

জয়ী

এরকমই ঘোর লাগা চোখে
বুকের বাঁ পাশে মাথা রেখে শোও।
ঘুমকে জ্বালিয়ে অন্ধকার
মঞ্জিলে বিকিকিনি - কার সাথে কথা কও?
শর্তযুক্ত প্রেম, মৃত্যু দড়িতে ঝুল
ফুলের সংগে কাঁটা, মৌ-এর পাশে হুল
কে বাঁচে, কে নেয় ঘ্রাণ, কে মাখে মধু স্বাদ?
প্রতিক্ষণ প্রতি পলে
মৃত্যু ফণায় বিষ, লেগে থাকা অবসাদ।
আমি কি হেরে গেছি? জিতেছে কে কখন?
তুমি কি দিয়েছ প্রেম, ছোবলে ছোবলে চুম্বন?



হাতের পাঁচ আঙুল চেনেনা আমাকে। চোখের দৃষ্টি
ফিরে চায় জ্যোৎস্না কুসুম রাত। চুল বলেছে ধূসর
ক্লান্ত চোখ। আঁধার কে ডিঙ্গায়?



জানা নেই

যান্ত্রিক ত্রুটি অসময়ে।
হাজার মাইল সবুজ রানওয়ে পার হয়ে
স্বপ্নের হলুদ ডানায় ফের বাড়ি ফেরা। কার কাছে?
হাতের পাঁচ আঙুল চেনে না আমাকে। চোখের দৃষ্টি
ফিরে চায় জ্যোৎস্নাকুসুম রাত। চুল বলেছে ধূসর
ক্লান্ত চোখ। আঁধার কে ডিঙ্গায়?

যান্ত্রিক ত্রুটি অসময়ে। ফিরতে যে হবে তবু
কার কাছে ছিল বাধা এতদিন সবকিছু
তাও কি ভাবতে হবে?
ফুরিয়ে যাওয়ার ভাবনায় কতটুকু দিয়ে শান্ত হবার কথা
কতটুকু জেনেছি - রাত্রি সম্পাতে দিনের রৌদ্র-ছায়া
কতটুকু পেয়েছি--
ছিলাম কখনো? এখন আছি? জীবন সম্বিতে?


আমরা ক'জন

চেনা মুখ।
দৃষ্টি বন্ধ্যা।
ঝিঁঝিঁরা মুখর।
হাঁটা পথ ঘুরে গেল সামনে।
চা খাচ্ছি বসে আমরা ক'জন-
কাঁধে ঝোলানো কিছু বই।
অন্ধকারে অহং জ্বালিয়ে
পা বাড়ালাম
আমরা ক'জন-
কেউ কারো নই। যান্ত্রিক ত্রুটি অসময়ে। ফিরতে যে হবে তবু
কার কাছে ছিল বাধা এতদিন সবকিছু
তাও কি ভাবতে হবে?
ফুরিয়ে যাওয়ার ভাবনায় কতটুকু দিয়ে শান্ত হবার কথা
কতটুকু জেনেছি- রাত্রি সম্পাতে দিনের রৌদ্র-ছায়া
কতটুকু পেয়েছি---
ছিলাম কখনো ? এখন আছি? জীবন সম্বিতে?
তুমি কি এখনো নিজের কাছে আসতে পারছনা ফিরে? এখনো ভয়?
সেকি বংশ পরম্পরায় রেখে গেছে অনিরুদ্ধ রক্তচোখ? নিয়মনামা?
বলি, আজ রাতে প্রেস হও। দুঃসময়ে, সত্যের হোক জয়।
ঠুকে দাও অনেস্ট কবর সমাচার।




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন