কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

পৃথা রায়চৌধুরী

খন্ডহর


প্রেম লিখছো... বিগত
বটের ঝুরি সাতপাক
ইটের পাঁজরে নতুন গন্ধ মিলিয়ে
অভ্যস্ত স্বেদ।
একে একে বছরের ওপর
কুমারী শরীরের নাব্যতা ঢালা
পিতা, তোমার গর্ভে বটের বীজ
প্রসবপীড়া দেখে কে?
খই ওড়া পথে
সুদূর দুই প্রান্তের ধ্বংস
মাতে সতেজ বিবর্ণতায়
...প্যালেট উপুড়।
চুপিচুপি মাঝরাতে মেশে
খসে আসা অভিমান... 


দাগ

এখন তখন উধাও হবার গল্প
পরিশেষে সমাপ্তির আগেই বিজয় ঘোষণা
সত্যি বলো কোণায় যে ঝুল জমেছিল
লক্ষ্য করলে সেখানেও সংসারী বসবাস
রোদের স্বেচ্ছাচার সেখানে ঝিলিমিলি।
আবার বছর ঘুরে যাবার আদিখ্যেতায়
হাত পা চোরা চাউনি
হিসেব না কষাই থাকে পর্যাপ্ত আলো পেলে।
ভেতরকথা তোলা থাকে ক্ষণনামচায়
সেখান দিয়ে পারাপারের জন্মদাগ... আগুন জড়ুল
নাভিতে আদিমের লালসা 
যযাতির ফিরে ফিরে আসার নাম ... আঁধারজোছনা। 


  উদ্ভাস

পরতে পরতে আলো জমে আছে
ভেসে থাকে ধানশীষ খুশি
আরো একবার দেওয়ালের খাঁজে খাঁজে
নামের অক্ষর পুঁতে ফেলি।

চল, সেই অন্ধগলির মুখে আজও
ছিলিমের ধোঁয়ায় লেখা হয় দেখ,
কোনোদিন নেশাবুঁদ হতে পারি নি...

সব বেঁচে থাকাই বর্তে যায়
নতুন রঙ চেনার অন্ধত্বে;
রক্ষার্থে বাড়ানো হাতের নেই থাকা... নির্ধারিত।





1 কমেন্টস্: