কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

২১) তাপসকিরণ রায়

নির্জনতা থেকে স্বপ্নবিলাস


নির্জনতা

মনের ভেতর নির্জনতা ঘন হয়
ধীরে ধীরে সমস্ত কোলাহল সরে যেতে থাকে
পরিশ্রান্তির পর
স্মৃতির পাতাগুলি ধরে রাখতে পারি না
চেনা চেনা মানুষগুলি ক্রমশ সরে যেতে যেতে
সে বৃহৎ উৎসব ভেঙ্গে যেতে যেতে
টুকরো আনন্দের উৎসটুকু--
অস্থাবর মানচিত্রের মতো
এখন গোটানো পাত্তাড়ি--
শেষ এক নিজস্ব একান্ততা--
মনোকামনা, তোমার স্মৃতি ভগ্ন হতে হতে
অবশেষ স্তব্ধতা নেমে আসবে জানি।


কান্না

কান্না তোমার বুকেও জমে থাকে, তুমি জান না,
গুমোট দিনের শেষে
অযথাই ঝরে পড়ে বৃষ্টির কালো মেঘ,
বন্দী আড়ালে থেমে থাকে কান্না,

তবু জমে থাকে সে শুষ্ক দাগ!
গ্রীষ্মের মাটি ফাটা বুক,
অথচ চঞ্চল ঢেউ, কখন সে আষাঢ় হয়--
বনের নির্জনতা ভেঙে সমস্ত পাহাড়ি কান্না,
যদি প্রকাশ করে দিতে পারতাম!


স্থির ও চলমান

কতগুলি ভাবনা ছবিতে খণ্ডিত হয়ে গেল
স্থির কিম্বা চলমান ছবি,
এবার উদাস হওয়া-- ছবির মধ্যে দিয়ে ছায়াঙ্কুর
তোমাকেও স্তব্ধ হতে দেখি--
অথচ চলমান ছবির রিল ছুটে চলেছে, ছুটে চলেছে
এক দীর্ঘ অনুশীলনী শরীর বেড়ে ওঠে--
পরিণত মন স্থিরতার মাঝে সব কিছু বলে যায়।


পলকে

এক সাগর, পরিধিহীন নীলাকাশ--
পলকে ঢেকে নিতে পারো সমস্ত অন্ধকার
অথচ দাউ দাউ আগুন স্পর্শ,
আবৃত বুকের পোশাক তলে
ধিকি ধিকি পুড়ে যাবার
শব্দ পাই,
মৃত্যুর ঘ্রাণের মাঝে কিছু কিছু কিলবিল পোকা,
অনির্দিষ্ট শ্বাসের পাহারায় অনেক লেঠেল--
দিগভ্রান্তি চশমার ছাপ দু’কান ও চোখের শেডের মতো,
তুমি একটি একটি করে নিবেদিত বাতি জলে ভাসিয়ে দিচ্ছ--
ঢেউ ওঠে... আকাশের শূন্যতায়, রংহীন যবনিকায়,
তালে তালে গুনে চলি দ্বিতল, ত্রিতাল, চৌতাল...


স্বপ্ন বিলাস

জীবনের স্বপ্নকালটুকু ঝেঁকে দেখি,
ঝুরোগল্পের মতো, কখনও ত্রিতাপ দুঃখ থেকে দূর,
সাজানো গোছানো ব্যাঙাচির ঝাঁক,
জল নেমে গেছে অনেক নিচে,
পায়ের ডুবানো পাতা, তবু কথাও শিথিল প্রশান্তি,
মন চলা সুখ দুঃখের ধুলো উড়িয়ে-- রাতের বিছানায়--
স্থাণু জেগে থাকে রাতের শয়ান, একটি জীবনের খানিক ভাঙা গড়া
সেখানেও স্বপ্নের খুঁজে ফেরা জীবন আঘ্রাণ।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন