একটি স্বপ্ন
ওরা বলল, মা মরে গেছে... না, কেন? মা মরবে কেন? হ্যাঁ জানি, মা কোনো এক দিন মারা যাবে... ও আচ্ছা... মা’কে ওরা নিয়ে আসছে... এটা তো নার্সিংহোম! দেখছি অনেক রুগী ডাক্তার নার্স আয়া... মা’কে ওরা নিয়ে এলো স্ট্রেচারে করে... একী, মায়ের হাত দুটো বাঁধা কেন? নমস্কারের ভঙ্গিতে! কেন? ওরা বলল, খুলে দেবে একটু পরে... যখন পরিষ্কার করে আমাদের বডিটা ফেরত দেবে তখন... চারিদিকে অনেক মানুষ....রুগী ডাক্তার নার্স আয়া... আমি একটু দূরে মায়ের দিকে তাকিয়ে বসে রইলাম। হঠাৎ দেখি মা হাতের বাঁধন খোলার চেষ্টা করছে। মা যেন একটু তাকালো! আমি চিৎকার করে বললাম, ‘ঐ তো মা বেঁচে আছে!’ একজন সিস্টার অবিশ্বাসের হাসি হেসে বলল, ‘কই চলুন তো...!’ আমি প্রায় দৌড়ে কাছে গেলাম, ‘মা’ বলে ডাকলাম... মায়ের ফোলা মুখের চোখ যেন দুটো খুলে গেল... বললাম, ‘কেন তুমি মরে যাচ্ছিলে? আমায় কেন একলা ফেলে চলে যাচ্ছ?’ আমার পাশে যারা ছিল তারা হতবাক... বললাম, ‘মা দাঁড়াও, যাবে না!’ চারিদিকে ভিড় জমছে ক্রমশ। কী কান্ড! আমি দেখলাম, মা আস্তে আস্তে উঠে ব্রাশ পেষ্ট নিল, দাঁত মাজবে...! আমি আবার বললাম, ‘মা প্লিজ, আমায় একলা রেখে যেও না... আমার মেয়েটা ছোট, দাঁড়াও ওকে নিয়ে আসি... মা তুমি যেও না...!’ মা বলল, ‘বেশ তবে তুইও চল...!’ বললাম, ‘দাঁড়াও সবাইকে বলে আসি...!’
আমি ঘুরে দাঁড়াতেই দেখি, আমার খুব পরিচিত একজন লিফ্ট থেকে নামছে। সে গম্ভীরভাবে বলল, ওখানে একটি অসুস্থ শিশু শুয়ে আছে...। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি, হ্যাঁ, তাই তো... শিশুটির মুখ থেকে গলগল্ করে রক্ত বেরোচ্ছে! আমি আবার চিৎকার করি নার্স ডাক্তার আয়া... তাড়াতাড়ি আসুন...
ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায়... চারিদিকের নিঃস্তব্ধতা আমাকে গ্রাস করে...
ওরা বলল, মা মরে গেছে... না, কেন? মা মরবে কেন? হ্যাঁ জানি, মা কোনো এক দিন মারা যাবে... ও আচ্ছা... মা’কে ওরা নিয়ে আসছে... এটা তো নার্সিংহোম! দেখছি অনেক রুগী ডাক্তার নার্স আয়া... মা’কে ওরা নিয়ে এলো স্ট্রেচারে করে... একী, মায়ের হাত দুটো বাঁধা কেন? নমস্কারের ভঙ্গিতে! কেন? ওরা বলল, খুলে দেবে একটু পরে... যখন পরিষ্কার করে আমাদের বডিটা ফেরত দেবে তখন... চারিদিকে অনেক মানুষ....রুগী ডাক্তার নার্স আয়া... আমি একটু দূরে মায়ের দিকে তাকিয়ে বসে রইলাম। হঠাৎ দেখি মা হাতের বাঁধন খোলার চেষ্টা করছে। মা যেন একটু তাকালো! আমি চিৎকার করে বললাম, ‘ঐ তো মা বেঁচে আছে!’ একজন সিস্টার অবিশ্বাসের হাসি হেসে বলল, ‘কই চলুন তো...!’ আমি প্রায় দৌড়ে কাছে গেলাম, ‘মা’ বলে ডাকলাম... মায়ের ফোলা মুখের চোখ যেন দুটো খুলে গেল... বললাম, ‘কেন তুমি মরে যাচ্ছিলে? আমায় কেন একলা ফেলে চলে যাচ্ছ?’ আমার পাশে যারা ছিল তারা হতবাক... বললাম, ‘মা দাঁড়াও, যাবে না!’ চারিদিকে ভিড় জমছে ক্রমশ। কী কান্ড! আমি দেখলাম, মা আস্তে আস্তে উঠে ব্রাশ পেষ্ট নিল, দাঁত মাজবে...! আমি আবার বললাম, ‘মা প্লিজ, আমায় একলা রেখে যেও না... আমার মেয়েটা ছোট, দাঁড়াও ওকে নিয়ে আসি... মা তুমি যেও না...!’ মা বলল, ‘বেশ তবে তুইও চল...!’ বললাম, ‘দাঁড়াও সবাইকে বলে আসি...!’
আমি ঘুরে দাঁড়াতেই দেখি, আমার খুব পরিচিত একজন লিফ্ট থেকে নামছে। সে গম্ভীরভাবে বলল, ওখানে একটি অসুস্থ শিশু শুয়ে আছে...। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি, হ্যাঁ, তাই তো... শিশুটির মুখ থেকে গলগল্ করে রক্ত বেরোচ্ছে! আমি আবার চিৎকার করি নার্স ডাক্তার আয়া... তাড়াতাড়ি আসুন...
ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায়... চারিদিকের নিঃস্তব্ধতা আমাকে গ্রাস করে...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন