সমুদ্রে একা
(প্রথম
শ্রুতি-পরিবেশনা, ২০০৯; বি জে ব্লক কম্যুনিটি সেন্টার, সল্টলেক, কলকাতা )
চরিত্র
মালিনী (মলি) - মেয়ে, বয়স ১০ বছর;
একাকীত্বে জর্জরিত
মন্টি (মা) - আধুনিকা, ধনীর দুলালী
শুভ্রাংশু(বাবা) - প্রোফেসর,
মধ্যবিত্তের সন্তান
ঠামি - বয়স ৭০ বৎসর; ভীত, সন্তস্ত্র
বোষ্টম বাবা - বৈষ্ণব ভিক্ষুক; বয়স ৭০ বছর
বোষ্টুমী - বোষ্টম বাবার সঙ্গিনী,
বয়স ৫০ বছর
[ ঘুম পাড়ানী গান গেয়ে ঠাকুমা
মালিনীকে ঘুম পাড়াচ্ছে]
মালিনী - আমি কোনোদিন পিসেমশায়ের সাথে বেড়াতে যাব না!
ঠামি - তুমি এখনও ঘুমোওনি? হঠাৎ
পিসেমশায়ের কথা কেন?
মালিনী - পিসেমশায় বাজে, বাবাকে বাজে কথা বলছিল।
ঠামি - (মৃদু হাসি) কী বাজে কথা বললেন তোমার বাবাকে? উনি একজন প্রোফেসর, সবাই সম্মান করে। কী বলেছেন তোমাকে!
মালিনী - আমাকে নয়, বাবাকে। জানো, ও পাড়ার দাদুকে - আমাকে দেখিয়ে
বলল, এ আমার শালার মেয়ে। বাজে কথা!
ঠামি - তাই বুঝি, আচ্ছা, আচ্ছা... আমি তোমার পিসেমশায়কে বুঝিয়ে বলে দেব, আর বলবে
না। এবার তুমি ঘুমিয়ে পড়।(গুন গুনিয়ে গান চলতে থাকে)
মালিনী - ঠামি, ইডিয়ট মানে কি?
ঠামি - (হতাশ) তুমি ঘুমোচ্ছ না কেন দিদিভাই?
মালিনী - আমার ঘুম আসছে না ঠামি, তুমি বল না!
ঠামি - অনেক রাত হয়ে গেছে, তুমি ঘুমিয়ে পড়, কাল বলব।
মালিনী - না তুমি বল, দেখো, আমি ঠিক ঘুমিয়ে পড়ব।
ঠামি - আমি কি অত ইংরেজি জানি! কাল বোষ্টম বাবা এলে জিজ্ঞেস
করে তোমাকে বলব। দেখেছ তো, বোষ্টম বাবা ভিক্ষা করলে কি হবে, কত লেখাপড়া জানে। এখন
ঘুমোও।
মালিনী - আমার ঘুম আসছে না ঠামি, তুমি আমার মাথায় একটু হাত
বুলিয়ে দাও।
ঠামি - বেশ, আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি - তুমি ঘুমাও।(গুন গুন গান)
মালিনী - জান, মা না বাবাকে ইডিয়ট বলছিল, কথাটা বাজে -- না?
ঠামি - হতে পারে, বড়দের কথা শুনতে নেই।
মালিনী - বড়রা আমার সামনে কথা বললে কেমন ক’রে
শুনব না? চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই না, কিন্তু কান কি করে বন্ধ করব? তা হলে তুমিও
তো আমার কথা শুনতে না।
ঠামি -(আবেগে)ওরে তোর কথা তো তুই বলবার
আগেই আমি শুনতে পাই। কিন্তু আমি যে বলতে
পারি না!
মালিনী - তুমি বলতে পার। তুমি তো বড়। বড়রা
যা খুশি তাই বলতে পারে। ছোটরা কিছু বললে
বকুনি খায়। বল ঠামি -
ঠামি - খুব পাকা হয়েছ – কোন্ ক্লাসে পড়
- অ্যাঁ? বড়রা যা খুশি বলে ছোটরা বুঝতে পারে? তুই বুঝতে পারবি?
মালিনী - পারব ঠাম। আমি এখন অনেক বড় হয়ে গেছি।
ঠামি - ঠিক আছে, ঠিক আছে। তার চেয়ে আমি একটা গান গাই - তুই চোখ
বুজে শোন। (গুন গুন গান)
দৃশ্যান্তর
[ভোর - পাখির ডাক - দূর থেকে গান ভেসে আসে - ওঠো ওঠো রাই
জাগো - শুকসারী বলে]
মালিনী - ঠামি ও ঠামি, ওঠো - সকাল হয়ে গেছে - বোষ্টম বাবা ভিক্ষায়
বেরিয়ে পড়েছে - গান শোনা যাচ্ছে।
ঠামি – উঠছি - উঠছি; এখনো অনেক দূরে - শুনছিস না! দাঁড়া, চোখে মুখে জল দিয়ে আসি।
(দূর থেকে গান ভেসে আসে – ‘ওঠো ওঠো রাই জাগো শুকসারী বলে’
-ওরা কাছে আসে)
মালিনী- ও বোষ্টম বাবা, ও বোষ্টুমী মা, আজ তোমাদের এত দেরী হলো কেন?
বোষ্টম - এই তো কেবল আমাদের রাইয়ের ঘুম ঘুম ভাঙালুম।
বোষ্টুমী- তোমার ছোট বোষ্টুমীই আজ তাড়াতাড়ি উঠেছে গো! কী ব্যাপার
বল তো, চোখে মুখে বিরহ বেদনার ছা্য়া-
ঠামি- এই যে অনেক দিন হয়ে গেল তোমাদের দেখা নেই! নাতনী আমার
পাগল পাগল করছে।
মালিনী- ব্যাস, আর কথা না। বোষ্টম বাবা, বোষ্টুমী মা, তোমরা
দুজনে মিলে গান শোনাও। আজ তোমাদের শাস্তি।
(গান শুরু হয় -- ‘শুক বলে আমার রাধা...’)
ঠামি- ঠিক আছে ঠিক আছে। অনেক হয়েছে, এবার ওদের জন্য ভিক্ষা এনে
দাও।
মালিনী- না,না, থামবে না বোষ্টম বাবা, বোষ্টুমী মা, তোমরা থেমো না
গো! অনেক গান গাইবে।
ঠামি- ওরে, ওদের পাঁচ বাড়িতে ভিক্ষা করে খেতে হয়, এক জায়গায়
বসে থাকলে পেট ভরবে?
মালিনী- বেশ, তবে যাও, বোষ্টম বাবা, বোষ্টুমী মা, আমি যখন বড়
হয়ে চাকরি করব, তখন কিন্তু তোমরা খালি
আমাদের বাড়িতেই গান করবে। আমি তোমাদের খাওয়াব।
ঠামি- (হাসি) বেশ, বেশ, তাই হবে। যাও ভিক্ষা-ডালিটা নিয়ে এসো।
মালিনী- বোষ্টম বাবা, বোষ্টুমী মা, আচ্ছা তোমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়
না?
বোষ্টম- হয় বইকি রাধারাণী, এতক্ষণ তো ঝগড়াই করলাম। শুনলে না?
মালিনী- ও তো গানের ঝগড়া, আমি সত্যিকারের ঝগড়ার কথা বলছিলাম।
বোষ্টুমী- সত্যিকারের ঝগড়ায় আনন্দ কোথায়। আনন্দ পেতে গেলে জলে দাগ
কেটে ঝগড়া করতে হয়।
মালিনী- জলে আবার দাগ কাটা যায় নাকি?
বোষ্টুমী- যায় বইকি। সেখানেই তো অভিমানের পালা - মান ভঞ্জনের
শুরু। জলে দাগ কেটে ঝগড়া কোরো, দেখবে, ঝগড়া আপনিই থেমে যাবে - দাগ মিটে গেলেই সব
জলই জলে জলাকার। মিলে মিশে একাকার।
ঠামি - কাকে কি বোঝাচ্ছ
বল তো? ওকে টেনে বড় করবে নাকি?
মালিনী- না গো বোষ্টুমী মা, আমি সব বুঝি, আমি এখন বড় হয়ে গেছি। দাঁড়াও আমি তোমাদের জন্য ডালি নিয়ে
আসি।
ঠামি - ও বড় দুখী গো!
ছোট বলে কিছু বলতে পারে না। লতা গাছ যেমন
বড় গাছ না পেলে জড়িয়ে উঠতে পারে না, ও তেমন মাটিতেই লতাচ্ছে গো! আমার হয়েছে
জ্বালা।
মালিনী- এই নাও বোষ্টুমী মা।
ঠামি - ওকি করেছিস
সব্বোনাশী মেয়ে! অতখানি চাল তুই দিবি নাকি?
বোষ্টুমী- দিক না মা, ও তো রাজরাণী। ওর তো কোনো অভাব নেই। ও মনের
আনন্দে বড় হোক। ফলে ফুলে ভরে উঠুক।
ঠামি - আমি ওর কথা
ভাবছি না, ভাবছি-
বোষ্টম- তোমার নিজের কথা? তোমার তো দুটোই কাজ বাকি। অপেক্ষা করা
আর উপেক্ষা করা। পরমানন্দের জন্য অপেক্ষা
করো, আর যে যাই বলুক, উপেক্ষা কোরো না - তাই না?
ঠামি- আর অত ভাবতে পারি না। যাকগে, এত বোঝা টেনে টেনে
বেড়াতে হবে না। পাঁচ বাড়ি ঘুরে ফেরার পথে
নিয়ে যেও।
বোষ্টম- তাই হবে।
এবার আমরা উঠি গো রাধারাণী! জয় রাধে! জয় রাধে!
বোষ্টুমী- আসি গো মা
জননী!
ঠামি - এসো। মেয়েটা
তোমাদের খুব ভালোবাসে।
বোষ্টুমী- নতুন করে ভালোবাসার কথা কী বলবে গো, ভা্লোবাসার সাগরেই তো ডুবে আছি।
(গাড়ি
থামার আওয়াজ)
ঠামি - ঐ, মলি তোমার
বাবা মা এলো বোধহয়।
[শুভ্রাংশু(বাবা)ও মন্টি (মা)
সবেগে ওদের সামনে দিয়ে ঘরে ঢোকে]
মন্টি- নো নো আই ওয়ন্ট টলারেট দ্যাট। তোমাকে আমি সাবধান করে
দিচ্ছি শুভ্রাংশু - ইট উইল বি এ ডিজাষ্ট্রাস ফর ইউ। ভুল করেও ভুল কোরো না।
শুভ্রাংশু- আহ মন্টি, ডোন্ট বি সিলি, ওয়ান সাইডেড শুনে কোনো সীন
ক্রিয়েট কো্রো না।
মন্টি- আই কেয়ার এ ফিগ। আই ওয়ান্ট মাই মানি ব্যাক ফ্রম দি
স্কাউন্ড্রেল।
শুভ্রাংশু- ওঃ ডিয়ার, ডোন্ট বি সো হার্স, আফটার অল, তিনি তোমার
গুরুজন।
মন্টি- গুরুজন -- দ্যাট
হাগার্ড! তোমার, তোমার, তোমাদের।
শুভ্রাংশু- ওকে ওকে - আমার... আমাদের। ইন দ্যাট কেস, তুমি কোনো কথা
বলতে পারো না। ইটস মাই মানি টু। আমার টাকা আমি বুঝে নেব। ইউ নিড নট পোক ইয়োর নোজ
ইন দি ম্যাটার।
মন্টি- হাও ডেয়ার ইউ! তোমার টাকা! বলতে লজ্জা করছে না? আমার
বাবার কাছ থেকে গুনে গুনে পাঁচ লাখ টাকা ভিক্ষে করে আনোনি? ছোঃ, বলে আমার টাকা!
শুভ্রাংশু- দ্যাটস এ বিজনেস ডীল। তার সঙ্গে তোমার কোনো কানেকশন
নেই। ডোন্ট ক্রস দ্য লিমিট।
মন্টি- হ্যোয়াট ননসেন্স! বাবা আমাকে
তোমার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। তোমার মা, ভাই-বোন, মামা-মামীর সঙ্গে নয়। তাদের আর
তোমার ওপর কোনো অধিকার নেই। আমার বাবা যা কিছু দেবেন, সেটা তোমার আর আমার জন্য। অন্য কারও জন্য সেটা খরচ করার
তোমারও কোনো অধিকার নেই।
শুভ্রাংশু- মাই ডেফিনেসন অফ
ম্যারেজ ইজ সামথিং এলস। বিয়ে দুটো
পরিবারের মধ্যে যোগসূত্র। তাদের সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ সব কিছু ভাগ করে নেওয়ারও দায়িত্ব বর্তায় একটা বিয়ের মাধ্যমে।
মন্টি- সে রকম বিয়েকে
মেনে নেওয়ার মানসিকতা অন্তত আমার নেই। আই ওয়ান্ট ব্যাক মাই লাইফ।
শুভ্রাংশু- আর ইউ সিরিয়াস এনাফ? যা বলছ, ভেবে চিনতে বলছ?
মন্টি- ইয়েস, ইয়েস, ইউ হ্যাভ মেইড মাই লাইফ এ হেল। আমি মুক্তি
চাই।
শুভ্রাংশু- ইটস ইজি। কিন্তু কন্সিক্যুয়েন্সটা চিন্তা করে নিও।
মন্টি- ইউ আর এ চিকেন হার্টেড ম্যান। প্রফেসারী করে জীবন কাকে
বলে, ভুলে গেছ। আমি এই অন্ধকূপ থেকে আজই চলে
যাব। আর একদিনও আমার এখানে থাকা সম্ভব নয়।
শুভ্রাংশু- ইটস অল আপ টু ইউ।
তোমার তালে তাল মেলাতে গিয়ে আমিও শেষ হয়ে গেছি। আধুনিকতার হাতছানিতে আমি ক্ষত
বিক্ষত। আই আয়াম রুইন্ড। নাউ প্লিজ স্টপ দিস হাম্বাগ!
(শুভ্রাংশু সরে যায়)
মন্টি- ইয়েস- আমি যাব, আজই যাব, এখনি যাব। যা সত্যি হয়, তাকে আঁকড়ে ধরে জীবন কাটানোর কোনো অর্থ হয় না।
শুভ্রাংশু মাষ্ট বি আউট ফ্রম মাই লাইফ।
একটা ভুলের জন্য সারা জীবন মাসুল গুনতে পারব না। একটা প্রফেসরী তকমা ছাড়া ওর আর
কিছু নেই। সোসাইটিতে ও একাটা জড়দগব। নাঃ নো রিপেনট্যান্স। লেট মি গেট রেডি। মলি,
মলি কোথায় যে থাকে! মলিইইইইই! এই যে, হেয়ার ইউ আর, উইথ দিজ বেগারস! (শুভ্রাংশুর
মার প্রতি) শুনুন, শুভ্রাংশুর মা হিসেবে আপনার জানা দরকার। আমি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
শুভ্রাংশুর সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক
থাকবে না। মলি, আমরা যাব, তুমি দশ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে নাও। ইউ আর গোয়িং উইথ মি।
ঠামি- মালিনী!
মালিনী- ঠামি, বোষ্টম বাবা, বোষ্টুমী মা!
বোষ্টম- সবই
রাধারাণীর ইচ্ছে - সব ঠিক হয়ে যাবে।
মালিনী- না বোষ্টম
বাবা, কিচ্ছু ঠিক হবে না, আমি জানি - কিচ্ছু ঠিক হবে না।
বোষ্টুমী- মালিনীর ফুল
কার পুজোয় লাগে জান তো? দেবতার। দেখো তুমি, সব ঠিক হয়ে যাবে।
মালিনী- মিথ্যে,
মিথ্যে, সব মিথ্যে। আমাকে ভুলিও না। ঠামি, আমি কী
করব! বোষ্টম বাবা, বোষ্টুমী মা-
ঠামি- তোকে আর ভোলাবো না রে - আর তোকে ভোলাবো না। আমি জানি না,
তুই কি করবি, আমি কি করব। এতদিন তুই আমায় ভুলিয়ে রেখেছিস, আমি তোকে ভুলিয়ে রেখেছি -
এবার দুজনেই স্রোতের মুখে।
শুভ্রাংশু- এই যে, শোন মা, আমি আজই দিল্লী চলে যাচ্ছি, কাজের
ব্যাপারে, দু’চার দিন পরে ফিরে মলিকে নিয়ে যাব। তুমি মামার সঙ্গে কথা বলে নিও। এখন
থেকে তুমি মামার বাড়িতেই থেকো।
ঠামি- মামার বাড়িতে... মানে... এ বাড়িতে...
শুভ্রাংশু- না, না এ বাড়িতে না। এ বাড়ি বিক্রি হয়ে যাবে। মলিকে আমি
দিল্লীতে বোর্ডিং-এ ভর্তি করে দেব। অসুবিধা কিছু হবে না।
মন্টি- মলি বোর্ডিং-এ অবশ্যই থাকবে, তবে দিল্লীতে নয়। আপাত্তামার
সাথে আমার বাবার বাড়িতে। পরে কলকাতাতেই। আমি ওকে আজই সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি।
শুভ্রাংশু- মলির ব্যাপারে তোমার কিছু করার নেই। আই উইল টেক কেয়ার
অফ হার। আই আ্যম হার ফাদার।
মন্টি- ইটস অল ইয়োর ফ্যান্সি দ্যাট ইউ আর হার ফাদার। শী ইজ মাই
চাইল্ড, আমার মেয়ে, আমি ওর মা। ওর ভালো মন্দ আমাকেই দেখতে হবে।
বোষ্টম- জয় রাধে! ছোট রাধারাণী গো, আজ আর আমাদের সিধে নেওয়া হলো
না। আমরা চলি, আবার অন্য দিন আসব। তোমার মনের ইচ্ছেটা কিন্তু আমাদের শোনা হলো না।
মালিনী- আমি কারো সাথে যাব না। এখানেই থাকব।
শুভ্রাংশু- ডোন্ট বি সিলি
বোষ্টুমী- তার চেয়ে
তুমি আমাদের সাথে চল। আমরা তোমাকে ফুল তুলতে শেখাব, মালা গাঁথতে শেখাব, গান গেয়ে ভিক্ষা করতে
শেখাব--
মন্টি- হোয়াট
ননসেন্স! যাও তোমরা এখান থেকে চলে যাও। গেট লস্ট। আমার মেয়েকে ভিক্ষে করতে শেখাবে!
মালিনী-(ভেঙ্গে পড়ে)
তোমরাও চলে যাও - তোমরা সবাই চলে যাও - আমি কারও সঙ্গে যাব না। আমার কেউ নেই, কেউ
নেই (কেঁদে ফেলে)
ঠামি- (কান্না গলায়)
মালিনী, দিদিভাই, ভুলে যাস না, যার কেউ নেই, তার ভগবান আছে।
মালিনী- (সম্পূর্ণ
ভেঙ্গে পড়ে) না, না, আমার ভগবানও নেই। আমার কেউ নেই - আমার কেউ নেই। আমি একা, আমি
একেবারে একা। সব মিথ্যে, সব মিথ্যে - আমি একা - আমার ভগবান নেই - আমি একা, একা
একা!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন