অনুপম
শ্রাবণী দাশগুপ্ত
দু’তিনদিন কাজ করেই কাটলো কাব্যশ্রী। লজ্জাবতী লতা! ন্যাকা।
--না গো নিশিআন্টি, উৎসব খুব ডিজ্লাইক করছে ব্যাপারটা।
কোন্ সুবাদে নিশি ‘আন্টি’ হয়, কে জানে! বড় জোর বছর ছয়েকের বড়। সে যা খুশি ডাকুক, আপাতত ঝামেলা হয়ে গেল। উৎসব, মানে কানে স্টাড্, চুলে লাল হাইলাইট সাদা চ্যাংড়াটা! বিরক্ত লাগছে নিশির।
দাদার নাম স্বর্ণাভ, ডাকনাম সাহেব। তার একটাই, নিশি...। কালিন্দী, কেল্টে, কুঁতকুঁতে, ডালের বড়ি, গড়ের মাঠ, ধুমসী... এগুলোও তার নাম। ছোট্টো থেকে। সেও এক ফুঁয়ে...। ওয়ানরুমে সরু লম্বা ড্রেসিংটেবিলে শুধু চিরুনি, ময়শ্চারাইজার আর বডি পাউডার। ভুলেও আয়নার সামনে মিনিট পাঁচেকও দাঁড়ায় না। মা – দাদার জিম্মায়। নিশির প্রাইভেট ইস্কুলে আর্টক্লাস, বসার ঘরে ড্রইংক্লাস, ব্যাঙ্কে বাবার অংশ... অসুবিধে নেই। একলার খরচই বা কিসের?
বিছানার ওপরে রাখা জিনিসগুলো একপাশে ঠেসে দিয়ে শুয়ে পড়ে রাত্তিরে। ভালোবাসা-টাসার বদনেশা তার নেই, ছিলোও না। শরীরও বেশ পোষা। বিশ্বাসঘাতকতা করেনি এপর্যন্ত। তেত্তিরিশ বছর অবধি দিব্যি সাবান মেখে চান করে চাকরি করে। খায়দায়, ছবি বানায়, শেখায়। রাত্তিরে বিদ্ঘুটে এলোমেলো বিছানায় ভোঁসভোঁস ঘুমোয়।
স্কাল্পচার নিয়ে প্রথমবার একক প্রচেষ্টা। আগামী একজিবিশনটা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। তাই কাব্যশ্রীকে বলেছিল। মেয়েটা তার কাছে পেইন্টিং শেখে। ওয়েস্টার্ন নাচ-টাচও কোথায় যেন... বেশ ফিগার।
--দ্যাখো, আপত্তি নেই তো? পুরো ন্যুড দরকার হবে না।
--না আন্টি, তুমি তো মেয়েই...!
নিশি অর্ধসমাপ্ত মূর্তিটা দেখে। শেষ হলো না। অবয়বটায় কাব্যশ্রী স্পষ্ট। কুঁজোর মতো গলা, উলটো কলসির মতো পাছা, সাপের মতো হাত। মেয়েটার বুক বেশ ফ্ল্যাট। টাইট টীশার্টেই বোঝা যায়। নিশির পছন্দ হয়নি। তাও যাইহোক...! আর ভেবে কী হবে?
ডিমলাইট জ্বলছিলই। মূর্তিটা আয়নার মুখোমুখি। বুকের অংশটা করা হয়নি। বিকলাঙ্গ দুঃখী দেখাচ্ছে। সফলতা শব্দটা নিশি ভুলে যাবে। অন্যমনস্কভাবে কামিজ খুললো। ম্যাক্সিটা খাটের মাথায়। ব্রা খুলে রাখলো। সবটাই আয়না দেখে... প্রথমবার এমন। মাথায় বিদ্যুৎ। একী! বড় একজোড়া সুগোল না-ফোটা পদ্ম। অসূর্যস্পশ্যা নিষ্পাপ। চিকচিকে ঘামকুচিগুলো হীরের মতো। এতযুগ কেউ দেখেনি, সে নিজেও নয়! লোভ দেয়নি, ছোঁয়নি। এই তো অনুপম... বললো শিল্পী চোখ। মূর্তি শেষ না-হওয়ার দুর্ভাবনা ছুঁড়ে ফেলে, সবটুকু দিয়ে এখনই...।
মূর্তির ওভ্যাল মুখের ডৌল কাব্যশ্রীর; গলা, হাত, কোমরেরও। কাব্যশ্রীর অনেক আছে, অনেক কিছু। শুধু ছোট্ট হেরে বসে আছে, নিশির কাছে। এটুকু দিলে তিলোত্তমা হয়ে উঠবে। কুঁতকুঁতে চোখে আগুন, জলও সাথে। কিন্তু কেন দেবে নিশি? একমাত্র গোপন? এত উদার কী জন্যে... কোটি বছরের শ্রেষ্ঠতম আবিষ্কারের পরে? আয়নায় পাশাপাশি নিশি ও সৃষ্টি।
এক্জিবিশনে বিখ্যাত ভাস্করেরা আসবেন, নিশি খবরটা জানে।
দু’তিনদিন কাজ করেই কাটলো কাব্যশ্রী। লজ্জাবতী লতা! ন্যাকা।
--না গো নিশিআন্টি, উৎসব খুব ডিজ্লাইক করছে ব্যাপারটা।
কোন্ সুবাদে নিশি ‘আন্টি’ হয়, কে জানে! বড় জোর বছর ছয়েকের বড়। সে যা খুশি ডাকুক, আপাতত ঝামেলা হয়ে গেল। উৎসব, মানে কানে স্টাড্, চুলে লাল হাইলাইট সাদা চ্যাংড়াটা! বিরক্ত লাগছে নিশির।
দাদার নাম স্বর্ণাভ, ডাকনাম সাহেব। তার একটাই, নিশি...। কালিন্দী, কেল্টে, কুঁতকুঁতে, ডালের বড়ি, গড়ের মাঠ, ধুমসী... এগুলোও তার নাম। ছোট্টো থেকে। সেও এক ফুঁয়ে...। ওয়ানরুমে সরু লম্বা ড্রেসিংটেবিলে শুধু চিরুনি, ময়শ্চারাইজার আর বডি পাউডার। ভুলেও আয়নার সামনে মিনিট পাঁচেকও দাঁড়ায় না। মা – দাদার জিম্মায়। নিশির প্রাইভেট ইস্কুলে আর্টক্লাস, বসার ঘরে ড্রইংক্লাস, ব্যাঙ্কে বাবার অংশ... অসুবিধে নেই। একলার খরচই বা কিসের?
বিছানার ওপরে রাখা জিনিসগুলো একপাশে ঠেসে দিয়ে শুয়ে পড়ে রাত্তিরে। ভালোবাসা-টাসার বদনেশা তার নেই, ছিলোও না। শরীরও বেশ পোষা। বিশ্বাসঘাতকতা করেনি এপর্যন্ত। তেত্তিরিশ বছর অবধি দিব্যি সাবান মেখে চান করে চাকরি করে। খায়দায়, ছবি বানায়, শেখায়। রাত্তিরে বিদ্ঘুটে এলোমেলো বিছানায় ভোঁসভোঁস ঘুমোয়।
স্কাল্পচার নিয়ে প্রথমবার একক প্রচেষ্টা। আগামী একজিবিশনটা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। তাই কাব্যশ্রীকে বলেছিল। মেয়েটা তার কাছে পেইন্টিং শেখে। ওয়েস্টার্ন নাচ-টাচও কোথায় যেন... বেশ ফিগার।
--দ্যাখো, আপত্তি নেই তো? পুরো ন্যুড দরকার হবে না।
--না আন্টি, তুমি তো মেয়েই...!
নিশি অর্ধসমাপ্ত মূর্তিটা দেখে। শেষ হলো না। অবয়বটায় কাব্যশ্রী স্পষ্ট। কুঁজোর মতো গলা, উলটো কলসির মতো পাছা, সাপের মতো হাত। মেয়েটার বুক বেশ ফ্ল্যাট। টাইট টীশার্টেই বোঝা যায়। নিশির পছন্দ হয়নি। তাও যাইহোক...! আর ভেবে কী হবে?
ডিমলাইট জ্বলছিলই। মূর্তিটা আয়নার মুখোমুখি। বুকের অংশটা করা হয়নি। বিকলাঙ্গ দুঃখী দেখাচ্ছে। সফলতা শব্দটা নিশি ভুলে যাবে। অন্যমনস্কভাবে কামিজ খুললো। ম্যাক্সিটা খাটের মাথায়। ব্রা খুলে রাখলো। সবটাই আয়না দেখে... প্রথমবার এমন। মাথায় বিদ্যুৎ। একী! বড় একজোড়া সুগোল না-ফোটা পদ্ম। অসূর্যস্পশ্যা নিষ্পাপ। চিকচিকে ঘামকুচিগুলো হীরের মতো। এতযুগ কেউ দেখেনি, সে নিজেও নয়! লোভ দেয়নি, ছোঁয়নি। এই তো অনুপম... বললো শিল্পী চোখ। মূর্তি শেষ না-হওয়ার দুর্ভাবনা ছুঁড়ে ফেলে, সবটুকু দিয়ে এখনই...।
মূর্তির ওভ্যাল মুখের ডৌল কাব্যশ্রীর; গলা, হাত, কোমরেরও। কাব্যশ্রীর অনেক আছে, অনেক কিছু। শুধু ছোট্ট হেরে বসে আছে, নিশির কাছে। এটুকু দিলে তিলোত্তমা হয়ে উঠবে। কুঁতকুঁতে চোখে আগুন, জলও সাথে। কিন্তু কেন দেবে নিশি? একমাত্র গোপন? এত উদার কী জন্যে... কোটি বছরের শ্রেষ্ঠতম আবিষ্কারের পরে? আয়নায় পাশাপাশি নিশি ও সৃষ্টি।
এক্জিবিশনে বিখ্যাত ভাস্করেরা আসবেন, নিশি খবরটা জানে।
অনুপম...অনুপম।---বাজতে থাকে "বড় একজোড়া সুগোল না-ফোটা পদ্ম। অসূর্যস্পশ্যা নিষ্পাপ। চিকচিকে ঘামকুচিগুলো হীরের মতো। এতযুগ কেউ দেখেনি, সে নিজেও নয়! লোভ দেয়নি, ছোঁয়নি। এই তো অনুপম... বললো শিল্পী চোখ।...এটুকু দিলে তিলোত্তমা হয়ে উঠবে। কুঁতকুঁতে চোখে আগুন, জলও সাথে। কিন্তু কেন দেবে নিশি? একমাত্র গোপন? এত উদার কী জন্যে... কোটি বছরের শ্রেষ্ঠতম আবিষ্কারের পরে? আয়নায় পাশাপাশি নিশি ও সৃষ্টি। "
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ দাদা...। আপনি পড়ে ফেলেছেন? ভেবে ছিলাম অনুরোধ জানাব। সত্যি খুব আনন্দিত হলাম। :)
উত্তরমুছুনশ্রাবণী।
asadharon.nijer achena soundorjo diye nijer mugdhota.sei sange tai diye nishike sompurnota daan. !....!anobodyo.egiye jan madam
উত্তরমুছুনasadharon.nijer achena soundorjo diye nijer mugdhota.sei sange tai diye nishike sompurnota daan. !....!anobodyo.egiye jan madam
উত্তরমুছুনধন্যবাদ শম্পা...। পড়ার জন্যে। :)
উত্তরমুছুনশ্রাবণীদি'।
Poetic story. Valo legeche. thanks.
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ... (কুলদা রায়)।
উত্তরমুছুনশ্রাবণী দাশগুপ্ত।