কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

প্রণব বসুরায়


চেনা রকে শুয়ে আছে


যে জনপদে হেঁটেছি বারংবার তা আজ
অচেনা লাগছে। বাহ্যিক আড়ম্বর তুলনারহিত
ক্যাকটাস-রারান্দায় আলোর ঝালর, পাখি শুনশান
পদাবলী গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে পড়েছে
অথবা সে খিদেয় কাতর...
ক্ষুরধ্বনি শোনা যায় দূর থেকে, জলের ছলাৎ
ছুঁয়ে যায় ঋষির আসন, সিক্ত হয় বটের প্রণাম---

বিবেচনা করি একা হাঁটা নিরাপদ হয়ত
এ-গলি সে-গলি ঘুরি... সেই ঘ্রাণ কোথায় উধাও!

চেনা রকে শুয়ে আছে একটি কুকুর...


স্তুপের খবর


টরে টক্কায় নয়, এখন খবর যায় নিঃশব্দে
উল্লাস, বিষাদ অথবা নোংরা খবরের স্তুপ
---
জমে যায় গুপ্ত প্রকৌশলে...
আমি কি পারি না সেই হাড়বজ্জাতের
পিঠের চামড়া খুলে নুন  ভরেদিতে?

এই আস্থার সমীকরণ হয় না--
রোড রোলার চূর্ণ সমতল করতে পারে শুধু...
সংক্রান্তির দিন আকাশের ঘুড়ি দেখে
চিনে নিতে হয় তোমার জন্য কোনটা উড়েছে

মাকড়সার লালার বিষ
সবার শরীরে ঢোকেনি এখনও...


বারণ কলিং


এই রাতে কলিংবেল বাজানো বারণ
ওম ছেড়ে কেউ এসে খুলবে না দোর,
পাতাঝরা শুরু হয়ে গেছে, সে তো কবেই
রক্ষণাবেক্ষণের চাবি নিয়ে চৌকিদার ভিন্ন মহল্লায়;
এদিকে আমাদের রক্তে থ্রম্বিন জমে যাচ্ছে...

ঝরাপাতা জড়ো করে আগুন জ্বালাই?
তুমি এসে দাও দেশলাই-- সব রক্ত কড়াইয়ে চাপাই!

রাজার পোশাক বাহুল্য বিবেচনায়
লটকে দিই সিগন্যাল পোস্টে, গভীর কুয়াশায়
সে দেখি মৃত্যুর মতো চোখ মেলে আছে

অনাত্মীয়ের জন্যে স্ন্যাক্স কফি নয়
দরজা খুলে সোফার আরামটুকুও
তার জন্যে বরাদ্দ করেনি চতুর মঞ্জুরী কমিশন

শরীরে উত্তাপ ঢেলে
এসো, তাকে উষ্ণ রাখি--


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন