কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

প্রশান্ত গুহমজুমদার


          
 অপর    



(৯)

স্বপ্নের বিরতিসব মনে আছে? বস্তুত স্মরণের, সম্বরণের গল্প সে সব। ইহাতে বর্ণ নাই। একখানি ব্যবহৃত ঘড়ি, অবিশেষ চপ্পল এবং কিছু মায়াঅন্ধকারপ্রতিম। অথচ সুডোল ছিল, গৌরবর্ণের বিপরীতে সিক্ত চুলের শঙ্খ ছিল। অতীত ছিল না। স্মরণ কর, অতীত ছিল না। একটি একটি জলপাইপাতা, একটা একটা চালতার ফুল। তাহারা-ও একা একা। অনতিনিকটে কলকলি এবং কেহ পারাপার করিবে না, এইরূপ সন্দেশ ছিল প্রকাশ্যে। চিবুকেই ছিল সেই অপূর্ব লিখন। ছোট গল্পের গঠন এবং সংযম। তাহাতে কিঞ্চিৎ লালিমা। স্পর্ধা এইসব প্রাচীন ভালোবাসিয়াছিল। সে পারাপারে ইচ্ছুক ছিল।

রক্ত, শুকনো, দুই হাত জুড়ে মাখি


(১০)

সিঁড়ি কিছু অপ্রশস্ত। ভাঙা দরজা। প্রচলিত কাব্যের চিহ্নসহ কিছু টেরাকোটা। হত্যার উপযুক্ত আলো এবং সঙ্গীত। সে কিছু অপরূপে আনন্দ এবং বৃষ্টি দেখিয়াছে। তুমিও। সুতরাং ধবল হইতে সেই যাত্রায় ক্রমে রক্ত আসিল। বিস্ময় আলোতে মাখামাখি। উন্মুখে লোভ। সে ফুলদানির কথা ভাবিল। সে রক্তকরবীর। শুদ্ধ জলের। আপন তাহাকে এমন প্ররোচনা দিল। মনে আছে সে অপরাহ্ন? পূণ্যে পাপে আবিষ্কারে বাজিয়াছিল সে গান!

রক্ত, শুকনো, দুই হাত জুড়ে মাখি


(১১)

মীড়ে, গোলাপ সুবাসে। এবং অভূতপূর্ব। পর্দায় অতিরিক্ত বাতাস ছিল কী? নতুবা এমন নগ্ন কি প্রকারে! কাল হইতে কালে, নৃত্যের মঞ্জরী! অশেষ নির্মাণ, আলোতে ছায়াতে। সে বাজারে ভালবাসার কথা বলিতেছে কাকাতুয়া। তিনটি বছরের। সে তোমাকে সম্যক চেনে। শীৎকার, চিহ্নসব বহু দিন ও রাত্রে। আনন্দে, ক্ষোভে, বিষাদে। খাঁচাটি কেবল ছিন্ন পালকে, রক্তে। আমিও দেখিতেছি। বর্ষায়, মেঘে, তুমুল শরতে। ক্রমে অনিবার্য করাত


রক্ত, শুকনো, দুই হাত জুড়ে মাখি





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন