অবন্তিকা সিরিজ
তোর বহির্মুখ, মুখপুড়ি
তোর বহির্মুখী দেহ, আদর-ক্লান্ত ঘামে,
মুখপুড়ি মেছোমেয়ে
আলুথালু মরশুমে বেড়ে ও ফিকিরহীন, আপপ্রচারে,
বুঝলি
জাহাজ ভাসাতে চাইছে পিম্পদের ঘোড়েল জোয়ারে।
হাউ সিলি! নো? কী বলিস, ডারলিং, সুইটি পাই?
তোর নাব্য নগ্নতা গ্লসি কাগজের চারু মলাটে হেলান
দিয়ে
পুজো সংখ্যার মোটা বেহেডদের পাশে শুয়ে করছেটা কী?
বল তুই? তোর কোনো সে নেই?
বোবা না বধির তুই!
অলংকার-টলংকার বেচে খেয়েছিস জানি। বাড়ির কাঠামি
দেখছি ঝুলে গেছে দশ বছর বাদে-বাদে কিস্তি দিতে দিতে;
হাউ স্যাড। চ্যাংড়া যারা জোটে তারা টেকে না কেন রে?
বছর না যেতেই কাট মারে! অথচ বডি তো সরেস আজও
অক্ষরের ধাঁচে জমে একেবারে টানটান আগাপাছতলা
কন্ঠের টিউনিঙও শ্বাসকে ফুরিয়ে ফ্যালে রাত বাসি হলে।
বেশ্যার আলতা-মাখা গোড়ালি দেখবো ভাবিনি— তাও
ব্যালেরিনা জুতোর আবডালে, অবন্তিকা,
ঘামে ভেজা
প্রণামীর খাতিরে তুই কত রকমের ফাঁদ পেতে রেখেছিস।
স্কুলের কবিতা
কী পচে তোর বুকের পাঁকে অবন্তিকা
উইপোকাতে চেবায় কি বদ চিহ্ণগুলো
ছন্দ মেনে যাদের মাথায় গেঁথেছিলি
পরীক্ষায় প্রথম হবার পোক্ত সিঁড়ি
রাস্তা মেনে এখন তারা আঙুলজুড়ে
উইঢিপিতে শ্লেষ্মা হয়ে যক্ষ্মাপোকা
নাকি শ্বাসের পচন থেকে কৃষ্ণপক্ষে
অমাবস্যার শীতের রাতে লক্ষ্মীপ্যাঁচা!
ভাগ্য ভালো স্কুলের পদ্যে আমার লেখা
না যায় যাতে এমনভাবে সাজাচ্ছি রে
বাদাড় খুঁজে পাওয়া বুনো শব্দ-বাক্য।
কপিরাইট
অবন্তিকা, অতি-নারী, অধুনান্তিকা
পঞ্চান্ন বছর আগে চৈত্রের কোনারকে
লোডশেডিঙের রাতে হোটেলের ছাদে
ঠোঁটের ওপরে ঠোঁট রেখে বলেছিলি
চুমু প্রিন্ট করে দিচ্ছি সারা নোনা গায়ে
ম্যাজেন্টা গোলাপি ভিজে লিপ্সটিকে
গুনে গুনে একশোটা, লিমিটেড এডিশান
কপিরাইট উল্লঙ্ঘন করলে চলবে না।
অবন্তিকা, সাংবাদিকা, অধুনান্তিকা
এ-চুক্তি উভয়েরই ক্ষেত্রে লাগু ছিল;
কিন্তু দুজনেই এর-তার কাছ থেকে
শুনেছি কখন কবে কার সাথে শুয়ে
ভেঙেছি ভঙ্গুর চুক্তি কেননা মজাটা
ঠোঁটের ফাইনপ্রিন্টে লিখেছিলি তুই।
না যায় যাতে এমনভাবে সাজাচ্ছি রে
বাদাড় খুঁজে পাওয়া বুনো শব্দ বাক্য।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন