বর্ণ–নিখোঁজ
(১)
ইদানিং বেশ কিছুটা স্থিতিশীলতা
এসেছে জীবনে
কোন কিছুই আর ভাবতে ইচ্ছা করে না
লেখালেখির টেবিলটা কেমন
পড়ে আছে অযত্নে
ধুলো জমেছ পেনদানিতে
ডায়রীর পাতাগুলো কেমন যেন
ফ্যাকাসে হয়ে গেছে
(২)
অনেক চেষ্টা করেও একটা বর্ণ
লেখা হল না ডায়রীর পাতায়
যতই লিখি মুছে যায় পাতায়
আমি দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরি তাদের
কখনও তারা জামাতে আটকে থাকে, কখনও আঙুলে
কিছুতেই সাদা পাতায় বসানো যায় না
(৩)
এ শীতে উষ্ণতা দিয়ে ভরিয়ে রাখি
অক্ষরমালা
জীবনে বর্ণপরিচয়ে সব কটি বর্ণ
ফাঁকা
কীভাবে ধরব তোমায়
বয়ে যায় ধারাপাত
লেখা হয় না কোনকিছুই...
|
বিষণ্ণতা
প্রতি ছিদ্রের
মধ্যে নিজের অক্ষমতা দেখি
ক্ষত সেরে
গেলে ত্বক পুড়ে ওঠে
যেটুকু
স্মৃতি পোড়া ছিল প্রেশার কুকারের মধ্যে
তা শক্ত
হয়ে পাথরের মত দেখায়
জিভে
অজন্তা, খাজুরাহ চিত্রাবলী আটকে
যায়
একফোঁটা
জল স্তব্ধ করে সমস্ত বিষণ্ণতা
খুচরো প্রশ্নগুলো প্রবেশ
করে বটগাছের
ঝুড়ির
ডাকবাক্সে
এমনও কি
দিন আসবে যে দিন ভাড়াটিয়া বলে কোন শব্দ থাকবে না
মালিকানা
আমার...
দাগ
সেসব
আমলকি মাখা শাখায় প্রতি রাতে কোকিল ডাকে
যেমন করে
হাওয়া প্রতিবেশী হয় পৌষের বুকে
এই তো
সেদিন হাঁটতে দেখললাম আফিম দানার বিকেলকে
কষা জামের
মত...
সে রাতে
মৃত্যু এসেছিল জানালার কাছ থেকে
কোথাও
এতটুকু চিড় পড়েনি
শিশিরকণা
মূক, বধির হতে হয়েছিল
সবান্ধবে
শহর যেমন
গ্রামকে তাচ্ছিল্য করে মাছের কানকোর রঙে
কিশোর
থেকে যুবতী মাঠ এক হয়েছিল
মাতৃজঠর
থেকে ভূমিষ্ট শিশুর কান্নার শব্দে
কোথাও
এতটুকু দাগ পড়েনি সরষের হলুদের ক্ষেতে কাঠঠোকরা পাখির চোখে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন