কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

রিমি দে

নীল


অপরাজিতা নামের গল্পটি ক্রমশ প্রিয় হয়ে উঠছে। ওর ডানদিকে ভরা কুয়াশা। ঠান্ডা হাওয়া।
ওইদিকে ফণীমনসার গুনগুন শোনা যায়। ওইদিকে কাকামণির পুরুষ হয়ে ওঠার ছবি
তখন ও ফুলবাগিচার দিকে ছুটে আসে। লজ্জাবতীর নেকুপনা সাময়িক ভালো লাগে। ঘেমে নেয়ে একশা।
আর ছাড়ে না ওকে সদ্যপুরুষ। ওর মুখে প্রায়ই অপরাজিতার ঢেঁকুর উঠত। কে যেন বাগানময় ছড়িয়ে দিত ওকে। পাপড়ি রঙিন হয়ে ভিজে যেত কিশোরবেলা।   
অপরাজিতা একটি গান হতে পারে। ধানগাছও হতে পারে। শিবের সাথে এভাবেই দেখাগাজনের মেলায় হাত ধরে নাগরদোলা - নাগরখেলা। মাটির সাথে যখন তখন কানাকানি, ঘাসবাহিত সোঁদাঘ্রাণ কচিশরীর
ঢেঁকিতে পাড় দিতে দিতে ঠাম্মার আঙ্গুলে বাঁক ধরল। আর সদ্যপুরুষ দৌড়তে দৌড়তে একসময় মাঠ হয়ে  মিলে গেল প্রচলিত লোকগানে।

অপরাজিতা ফিরে আসে বারবার। নানা ভাবে। অভাবে পাক ধরেছে চুলে। বুকের ভিতর নীলকন্ঠ হার। রাখা আছে। ফুল থেকে খসে পড়া মধু নিরুত্তর। জমাটবাঁধা পাথরপাতায় আঁকা নীলষষ্ঠী শিব নিয়ে বেঁচে ওঠে।
রসদ নদী বেয়ে বেয়ে অপরাজিতা বলে কেঁদে উঠবে একদিন, এমন ভাবনায় ডুবে যায়।
আমি তখন অপরাজিতার কানের ভিতর প্রবেশ করি। ও তখন তুলসীমঞ্চে প্রদীপ হাতে। হাত বেয়ে অপরাজিতা নীলে জড়ায়। গভীর – অগভীর 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন