কৃষ্ণচূড়ার শহর
তোমার সন্ধ্যা-বাগানে পুঁতে রেখেছি আমার যত যন্ত্রণার শীত ঘাম
ওম্ ওম্ বিষণ্ণতার
বরফ শাদা অ্যানিমিয়া
আমার সব চেনা সন্ধ্যাগুলো ছেড়ে চলে যাচ্ছে আমার কৃষ্ণচূড়ার শহর
মধ্যরাতের অচেনা তারার মতো
তোমার অনেক দিনের না ছোঁয়া
পুরুষ হাত ছুঁয়ে যায়
ক্লান্ত সংসারের এপিটাফ
স্মৃতিভ্রষ্ট তুমি চলেছো
পূর্বজন্মের দিকে
আমিও স্মৃতিভস্ম গায়ে মেখে
পাড়ি দিচ্ছি আয়ুরেখার শেষ
লোহিত বিন্দুতে
তোমাকে মেখে নিচ্ছি শরীরে
পলাশ রেণুর মতো
পিকাসোর ছবির মতো নিঃশব্দে সাজাবো সংসারের চতুষ্কোণ
বোবা জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে নারীজন্মের পাথুরে দেওয়াল
এই না-কথা বলা চতুষ্কোণকেই কি ঘর বলে পুরুষেরা
একখণ্ড কালো মেঘের তলায়
দাঁড়িয়ে আছি
বৃষ্টির সংকেত নিয়ে
ফুসফুসে লেখা তোমার নাম ছুঁয়ে দেখব আজ
এবার ঈশ্বরের সাথে ভাসবো
একই ভেলায়
খরস্রোতা নদীর ঢেউয়ে
ওম্ ওম্ বিষণ্ণতার
বরফ শাদা অ্যানিমিয়া
আমার সব চেনা সন্ধ্যাগুলো ছেড়ে চলে যাচ্ছে আমার কৃষ্ণচূড়ার শহর
মধ্যরাতের অচেনা তারার মতো
তোমার অনেক দিনের না ছোঁয়া
পুরুষ হাত ছুঁয়ে যায়
ক্লান্ত সংসারের এপিটাফ
স্মৃতিভ্রষ্ট তুমি চলেছো
পূর্বজন্মের দিকে
আমিও স্মৃতিভস্ম গায়ে মেখে
পাড়ি দিচ্ছি আয়ুরেখার শেষ
লোহিত বিন্দুতে
তোমাকে মেখে নিচ্ছি শরীরে
পলাশ রেণুর মতো
পিকাসোর ছবির মতো নিঃশব্দে সাজাবো সংসারের চতুষ্কোণ
বোবা জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে নারীজন্মের পাথুরে দেওয়াল
এই না-কথা বলা চতুষ্কোণকেই কি ঘর বলে পুরুষেরা
একখণ্ড কালো মেঘের তলায়
দাঁড়িয়ে আছি
বৃষ্টির সংকেত নিয়ে
ফুসফুসে লেখা তোমার নাম ছুঁয়ে দেখব আজ
এবার ঈশ্বরের সাথে ভাসবো
একই ভেলায়
খরস্রোতা নদীর ঢেউয়ে
ফাগুনের মা
এক রংমশাল অশান্ত বসন্ত রাতে জন্ম দিয়েছিলে আমাকে
তুমি মা
পরিত্যক্ত এই বাড়ির আঙিনায়ও এক নীরব পলাশ একরাশ রঙ নিয়ে মেলে ধরেছে তার উদোম শরীর নভোমণ্ডলের কাছে
তোমার অনভ্যস্ত প্রজননে কাঁপছিল তোমার হিমোগ্লোবিনহীন ফ্যাকাশে ঠোঁট
জঙ্গলে প্রান্তরে জ্বলছে
হলুদ বসন্ত
আঁতুড়ঘরের বাইরে চলছে চলছেই শ্লোগান
‘হোক কলরব’
বিপন্ন সমাজের বসন্ত জাল চেপে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ঠ অমোঘ দুঃখ ঢুকে পড়ছে জীর্ণ অট্টালিকার ফাটলে ফাটলে অশ্বত্থের শেকড়ের মতো
একই শয্যায় ছটফট করি মাগো
তুমি আর আমি
নাড়ি ছেঁড়ার ক্ষণে দেখি দাউদাউ আগুনে জ্বলন্ত নাভিমূলে পুড়ছে সভ্যতা,
পুড়ছে কোরান, রামায়ণ, মহাভারত, পুড়ছে বাইবেল
পুড়ছে ছাত্রসমাজ
জীবনের ছক টুকরো হয়ে ঝরে পড়ছে বিচ্ছিন্ন আমের মুকুলে
তোমায় নিষ্ঠুর মনে হয়
আমার অশ্রুত কথা কি
শুনতে পাও মা?
কেন দিলে জন্ম
এই যুদ্ধক্ষেত্রে আমাকে
এর চেয়ে তোমার গর্ভে চোখ না ফোটা কুঁড়ি হয়ে থাকতাম
প্রতি বসন্তের দিনে
তুমি মা
পরিত্যক্ত এই বাড়ির আঙিনায়ও এক নীরব পলাশ একরাশ রঙ নিয়ে মেলে ধরেছে তার উদোম শরীর নভোমণ্ডলের কাছে
তোমার অনভ্যস্ত প্রজননে কাঁপছিল তোমার হিমোগ্লোবিনহীন ফ্যাকাশে ঠোঁট
জঙ্গলে প্রান্তরে জ্বলছে
হলুদ বসন্ত
আঁতুড়ঘরের বাইরে চলছে চলছেই শ্লোগান
‘হোক কলরব’
বিপন্ন সমাজের বসন্ত জাল চেপে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ঠ অমোঘ দুঃখ ঢুকে পড়ছে জীর্ণ অট্টালিকার ফাটলে ফাটলে অশ্বত্থের শেকড়ের মতো
একই শয্যায় ছটফট করি মাগো
তুমি আর আমি
নাড়ি ছেঁড়ার ক্ষণে দেখি দাউদাউ আগুনে জ্বলন্ত নাভিমূলে পুড়ছে সভ্যতা,
পুড়ছে কোরান, রামায়ণ, মহাভারত, পুড়ছে বাইবেল
পুড়ছে ছাত্রসমাজ
জীবনের ছক টুকরো হয়ে ঝরে পড়ছে বিচ্ছিন্ন আমের মুকুলে
তোমায় নিষ্ঠুর মনে হয়
আমার অশ্রুত কথা কি
শুনতে পাও মা?
কেন দিলে জন্ম
এই যুদ্ধক্ষেত্রে আমাকে
এর চেয়ে তোমার গর্ভে চোখ না ফোটা কুঁড়ি হয়ে থাকতাম
প্রতি বসন্তের দিনে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন