কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

মলয় রায়চৌধুরী

ন্যাংটো তন্বী

কুচকুচে চকচকে পুংঘোড়ায় বসে আছ ন্যাংটো তন্বী
তোমার কুলকুচি সুধা খেয়ে পৃথিবীর নেশা হয়ে গেছে
তার ফল এদান্তি ফলছে রসেবশে ধোঁয়ায় কান্নায়
চুলেতে যে রঙহীন বুনোফুল গুঁজেছিলে বিপ্লবী শতকে
তাই থেকে শুরু হলো দেংজিয়াও পিঙ্গের বিড়ালের রঙ
মারামারি ঠোকাঠুকি শেষে সেই টাকমাথা পুরুষ ময়না
মাওবাদী বনপ্রান্তে কুঞ্জমাঝে খসখসে কন্ঠস্বরে হেঁকে গায়
চুলে গিঁট পড়ে গেলে কোনো চিন্তা নেই
স্বর্গ-নরক-মর্ত্য সর্বত্র চিরুনি আছে
চিরুনি তল্লাশ আছে, এক পা সামনে আর দুই পা পেছনে
সেই গ্রেট লাফ দিয়ে সামনে আঁৎকে দেখলে চারিদিকে রক্ত কেবল
শুধু তোরা দু’চোখের পাতা রাংঝালে জুড়ে চলে যাস
সাংস্কৃতিক বিপ্লবে আনন্দিত লোকগুলো আজ বুড়ো-বুড়ি
অবশ্য অনেকে দুর্ভিক্ষে মরে গেছে, মাটির তলায় হাড়
শেষে কিনা বিপ্লবের তুলনায় প্রতিবিপ্লব 
কুচকুচে চকচকে পুংঘোড়া হাঁকিয়ে ন্যাংটো তন্বী তুমি
দুর্বিপাক ডেকে আনছো ঝুলে-পড়া গোলার্ধ দুটোয়
জুজুবুড়ি জুজুবুড়ো খোকন খুকুরানি তটস্হ সক্কোলে

বুড়োবুড়ি

ঝড়ে বাসা ভেঙে গেছে কুটোকাঠি-বোনা
চিলের জন্য গাছে মগডালে পাতাদের শোক হাহাকার
এখন বুড়ি বউ তোয়াক্কা করে না যৌবনে আমার 
কতজন প্রেমিকাকে প্রেম আদায়ের পর ল্যাং মেরে
খালাসিটোলার মোদো ভালোমানুষ বন্ধুদের ফুসলিয়ে
সোনাগাছি হুল্লোড়ে চলে গেছি, সকাল পর্যন্ত মাতলামো
বুড়িবউ নিজের প্রেমিকদের কথা পেদেও ভাবে না
এই হলো বার্ধক্যের পাওয়া, নিজেরা নিজেকে নিয়ে
হাঁটুর পিঠের কোমরের বৃক্কের ফিসফুসের কাতরানি 
হাজার টাকার ডাক্তারকে সোপর্দ করে সকাল সন্ধ্যায়
পরস্পরের সেবা করা, যেন না ও আমার আগে মরে
ভালোবাসা দেহকে ছেড়ে চলে গিয়ে ব্যথা হয়ে ফেরে
তবুও এখনও মদ খাই, বুড়োবুড়ি খোঁয়ারি সামলাই

বাঞ্চোতমঙ্গল

আলিঙ্গনে ম্যাজিক অক্টোপুসি, আহা, পুসি, ডোনাল্ড ট্রাম্প কহিয়াছে
আমার যুবক মুখ তরুণীদের ভাঁজে উঁকি মারে, যেন বা মেগান কেলি
যারা গ্রন্হ রিভিউ করার কাজ করে তাহাদের এমসিবিসি করি
তাহারা গ্রন্হের পরিবর্তে আমাকে গালমন্দ করার চান্স খোঁজে
তাহাদের বলি, বাগানের ঘাসে বসে বিমূর্ত কবিতা লিখুন
কাকের ভাঙা ডিমে কোকিলের ফেলে-যাওয়া মাত্রাবৃত্ত থাকে
যেমন বেবুনের দলে মাংসখোর অক্ষরবৃত্তেরা, তেমন আপুনিও
যোনি অন্ধকার বমি বেশ্যা পিশাচই তোদের ভর করে আছে
মুখময় বসন্তের দাগ, ঋতু ও রোগের, কত টঙ্কা পেলি রে বাঞ্চোত
বিমানবন্দরে গিয়ে বানরখাঁচাকে সি-অফ করে দিয়ে কী আনন্দ
যাক বাঞ্চোতেরা বিদেয় হয়েছে, যত ইচ্ছে হুপহাপ করুক



1 কমেন্টস্: