ভাব
চেতাবনি ছিলই। বিশ্বাসটা অবশ্য আপেক্ষিক। একদিকে টানলে অন্যদিকে ফাটল হু হু করে বাড়ছে। বেনোজল
ঢুকে পড়ছে গেরস্থালীর দাঁত কেলানিতে। হাত আয়না সূর্যের দিকে ধরছি। আলো ছিটকে পড়ছে
মন খারাপে। ভালগার জেসচারে মক্সো করছি ভালো থাকার অশ্লীল মিথ্যে। মাইকিং করছি সতীত্ব। নিজেকেই খুব একটা বিশ্বাস করছি না। ইমেজ ছত্রখান করছি গা ভাসানো সুলভ পিএনপিসিতে। গোদের
ওপর চেপেছে তোমার কাছে ভালো থাকবার দায়। সেই কুটো ধরে সেলের বাজারে প্রাইসট্যাগ লাগিয়ে বেড়াচ্ছি। এবেলা ওবেলা গুষ্টি উদ্ধার করছি দেশের দশের আর ভাব নিচ্ছি দেদার।
শাস্তি
দেখার বাইরের চোখ সেই ক্লীবের ওপর থেকে সরাচ্ছি
না
তার ছটপটানি ঘনঘন মোবাইল নিয়ে নাড়াচাড়া অস্বস্তি
মধু, কী যে মধু, রাগ ঘৃণা শোক তাপ দহনে অপেক্ষায়
ফোঁটায় ফোঁটায় ক্ষরিত হচ্ছে, আহ, কী আরাম আজ ঘুমে
তোর লালপাড় শাড়ি রাতুল পা সিঁদুর কপাল বাকি সব নেই
তুইও নাকি ঘুমে? তুইও নাকি হাল ছাড়া হারানো
জীবন?
তবে সেই সাজ? নতুন সোয়েটার? ম্যাচিং ব্লাউজ?
আমাদের সাথে তোলা ছবি? কখনো বুঝিনি, কোথাও পালাবি
এক ক্লীব এসে লিখে দেবে, ভুল সব ভুল? পাগল... পাগল?
নাহ, চারকোণা কাঠ ঘিরে টাকা আর খেলা, কিছুই ঘটেনি
কিছুমিছু ঘটে তবু চশমার কাচে, চোখ যা দেখে না
দেখার বাইরের দেখা, অশরীরী দেখা নাকি নতুন জন্ম?
ছোট ছিলি, আরো ক্ষুদে আদরের কেউ আলো
কারো কোলে
দেখার বাইরের চোখ ভস্ম করছে যাকে চরম শাস্তি।
যা তা জীবন
এই সময়ের নাম ফেক। এই ফিরে তাকানো অনেক রিহার্সালেও ভুলভাল। উল্টোরথের রশি ছিঁড়ে গেছে। মেলায় যাবার কথা সন্ধ্যে ফুঁকে দিল। তাও জিলিপি চলে এলো বাড়িতে।
মনে করিয়ে দেওয়া, তুমি না টানলেও অনেকেই টেনেছে। তুমি জীবনকে চাও কিনা একান্তই তোমার ব্যাপার। সার সার অপেক্ষমান দেহ তোমাকে বুমেরাং করে দিয়েছে নাট্যশালায়। আবার আলো জ্বালতে বলেছ। বেজে উঠেছে নেপথ্য
ভায়োলিন। কে দেখছে ভাবছ না আর। তোমাকে ধরাদ্ধর নামিয়ে দিতে হবে পাঁচ অঙ্ক। এই ঢ্যামনামোর নাম নিঃশ্বাস। এই পালিয়ে
আসার নাম ভালোবাসা। ফেরার পথে আতরের শিশি টপকে
এসেছি। মাড়িয়ে
দিয়েছি কয়েকদানা খই। সৌখিন ফুলের মালা গরুর পেটে গেলেও হা হা করে উঠছি না। বাড়ি ফিরেই চামড়াটুকু রেখে ছুঁড়ে ফেলছি
পার্থিব। তারপর সন্তানের গায়ের গন্ধ
মেখে নিতে নিতে উচ্চারণ করছি নবজন্ম। এই সুগন্ধের নাম সুখ।
যা তা জীবন অসামান্য
উত্তরমুছুন