কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ

ফেসবুক প্রেম

ফেসবুকে করতে করতে এক সুন্দরী মেয়ের ছবিতে চোখ আটকে যায় অমিতাভর। মায়াভরা একটা মুখ নজর কাড়ার মতোমেয়েটার হরিণকালো চোখ দুটোর দিকে তাকালেই ভালোবাসতে ইচ্ছে করেপ্রোফাইল সার্চরেনাম ছাড়া আর কোনো থ্য নেই। নাম তমালিকা 

ফেসবুকে দুটো আইডি আছে অমিতাভর। একটা রিয়েল আর একটা ফেক। ফেক আইডি থেকে তমালিকাকে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেয় অমিতাভমজার  ব্যাপার, সাথে সাথে একসেপ্টও হয়ে যায়

এরপর থেকে যথারীতি চলতে থাকে চ্যাটিং তমালিকার ইনবক্সে মনের যত আনন্দ-বেদনার কথা তুলে ধরে অমিতাভ। তমালিকাও তার সব সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করতে থাকে অমিতাভর সাথে আর এভাবেই চলতে থাকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাসঅমিতাভ অনেকবার তমালিকার সাথে দেখা করতে চেয়েছে কিন্তু তমালিকা রাজি হয়নি, ফোন নাম্বারও দেয়নি

তমালিকা জানায় তার এখনও বিয়ে হয়নি আসলে বিয়ে করার মতো কোনো পাত্রই নাকি জুটছে না। অমিতাভও নিজেকে অবিবাহিত বলেই জানায় তমালিকাকেএবং এভাবেই চ্যাট করতে করতে দুজনের মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে

ফেসবুক বন্ধুত্বের দুবছর পূর্ণ হবে আগামীকালআর এই দুবছর পূর্তিকে স্মরণীয়  করে রাখতে অমিতাভ আর তমালিকা একটা অদ্ভুত পরিকল্পনা করে। কাল ওরা একে অপরকে বিয়ে করে ওদের ফেসবুক বন্ধুত্বের দুবছর পূর্তিকে অন্য মাত্রা দেবে। আর তাই কাল বিকেল ঠিক চারটেয় ওরা দুজন মগবাজার কাজি ফিসে মিলিত হবে।

পরদিন অফিস থেকে বেরিয়ে ঠিক বিকেল চারটেয় মগবাজার কাজি ফিসে হাজির হয় অমিতাভ তখনও তমালিকা এসে পৌঁছোয়নি রিসেপশন রুমে অপেক্ষা করতে  থাকে অপেক্ষা করতে করতে একসময় সোফার ওপর তন্দ্রায় এলিয়ে পড়ে তমালিকা  আসে ঘন্টাখানেক পরকিন্তু অমিতাভ এমনভাবে সোফায় এলিয়েছিল, তার মুখটা দেখা যাচ্ছিল না অস্থিরতা ও উত্তেজনায় তমালিকা অমিতাভকে খেয়ালও করে না। পাশের একটি সোফায় বসে অপেক্ষা করতে থাকে


কিছুক্ষণ পরে আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে উঠে অমিতাভ পাশের সোফায় তার বৌ  শান্তিলতাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে বলে, তুমি এখানে কেন?  শান্তিলতাও কম ভিরমি খায় না! বলে, আমারও তো একই প্রশ্ন, তুমিই বা এখানে কেন? 

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন