চারানা আটানা
(৩৩) শব্দকল্পদ্রুম
সাড়ে
পাঁচটায় উঠে পৌনে ছটায় প্রাতঃভ্রমণে বেরোই যখন, চারতলা থেকে নিচে নেমে যাওয়ার
আগে অবধি কোনোদিন কাউকে চোখে পড়ে না। আজ রবিবার, একটু
দেরিতে বেরিয়েছি, দরজা খুলতেই দেখি দাঁড়িয়ে আছে পার্বতী।
পার্বতী
আমাদের ডমেস্টিক হেল্প। সকালে ঘরমোছা, বিছানা তোলা,
আনাজপাতি কেটে দেওয়া, আরো কী কী সব করে। ও চলে
গেলে আসে রাধাম্মা, তার কাজ বাসন মাজা, ওয়াশিং মেশিন থেকে রাতে-কাচাকুচি হওয়া দ্রব্যাদি তারে শুকাতে দেওয়া,
টবের গাছে জল দেওয়া এইসব। এরা অনেকদিন ধরে আমাদের বাড়িতে কাজ করছে।
পার্বতী অনেক সকালে এসে বেল বাজাতো বলে আমার গিন্নীর সকালের ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায়
ওকে বকাঝকা করে বলে দিয়েছে, সাড়ে ছটার আগে বেল বাজালে ও দরজা
খুলবে না। বেচারি ছটা দশে চলে এসেছে, বাইরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে, তাই।
আচ্ছা,
ডমেস্টিক হেল্প কথাটার বাংলা মানে কী হতে পারে? দ্য কাউ ইজ অ্যা
ডমেস্টিক এনিম্যাল দিয়ে ইংরাজিতে গরু রচনা শুরু হয়, বাংলায় ডমেস্টিক মানে
গৃহপালিত। ডমেস্টিক হেল্প মানে কি গৃহপালিত সাহায্য? ধুৎ! ঠিকে ঝি, এসব এখন বলা
যায় না, শুনতে খারাপ লাগে। বাংলা
গল্প-উপন্যাসে তাই সবাই ডমেস্টিক হেল্প লিখেই কাজ চালিয়ে দেয়। ভৃত্যা বা চাকরানি
শুনলে মানবাধিকার কমিশন তেড়ে আসবে রে রে করে। অথচ এর প্রতিশব্দ হিসাবে কাজের মাসি ছাড়া অন্য যাই বলতে যাই,
ঠিক ভাব আসে না। ভোকাবুলারি আমার চিরদিনের সমস্যা। একটা শব্দ যে কত
রকম ভাবে বলা যায়, তা আর এ জন্মে শেখা হলো না।
আচ্ছা
কাজের মাসি যে বলছি, মাসি ইংরাজিতে
কী? আন্ট মানে তো কত কী হতে পারে - কাকিমা,
জ্যেঠিমা, মাসি, পিসি,
মামী। ম্যাটারন্যাল আন্ট? উঁহু। তাতেই বা মাসি,
মামী-র পার্থক্য হচ্ছে কই, বিশেষ করে মামা যখন
ম্যাটারন্যাল আঙ্কল! অথচ বাংলায় মাসি মানেই মায়ের বোন। ওয়েল মায়ের দিদিও হতে পারে
যদিও। সংস্কৃত মাতৃস্বসা থেকে মাসি, ওয়েল ডিফাইন্ড্ একটা
শব্দ। ইংরাজিটা সত্যিই একটা ফ্যাচাং।
অথচ
মাতৃ আর স্বসা, যা কিনা স্বসৃ থেকে এসেছে, এই দুটো শব্দের সঙ্গে কিন্তু ইংরাজি মাদার আর সিস্টারের
বেশ মিল। মাদার আর সিস্টার মিলে (মাসি অর্থে) যে মাস্টার হয়ে যায়নি,
তার কারণ হয়তো
ইংরেজদের সামাজিক ব্যবস্থায় মাসির তেমন ভূমিকা নেই,
কোনোদিনই ছিল না। মাসি-পিসি-মামা-মামী ইত্যাদিরা ওদের পরিবারে তেমন
গুরুত্ব পায়নি যে ওদের জন্যে আলাদা একটা শব্দ চয়ন করার প্রয়োজন পড়েছে। সবাই তাই
আন্ট। কিন্তু এরা আমাদের পরিবারে অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্পর্ক, তাই সব আলাদা আলাদা করে
বিরাজমান।
অন্যান্য
যারা ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত, তাদের জন্যে কিন্তু দুই ভাষার শব্দাবলি
বেশ একরকম। বাংলা যদি সংস্কৃত থেকে এসে থাকে, আর ইংরাজির মাতৃভাষা যদি হয় ল্যাটিন
বা গ্রীক, তাহলে এই সমস্ত শব্দের মিল দেখলেই লক্ষ্য
করা যাবে, এরা অত্যন্ত পুরনো
শব্দ, এমন সময়ে তৈরি যখন মানুষ হয়তো সবে কথা বলতে শিখছে আর
বাস
করছে মোটামুটি একই ভৌগোলিক অবস্থানে।
সংস্কৃত
পিতৃ থেকে বাংলা পিতা। একই রকম শুনতে ল্যাটিন প্যাটার থেকে ইংরাজি ফাদার। ফাদার সম্পর্কিত অন্যান্য সম্পর্ক বোঝাতে
তাই প্যাটারন্যালের ব্যবহার। ল্যাটিন ম্যাটার(থেকে ইংরাজী মাদার)আর সংস্কৃত মাতৃ(থেকে
বাংলা মাতা)। তেমনি ল্যাটিনে যা ফ্র্যাটার(থেকে ইংরাজী ব্রাদার,
আবার ভ্রাতৃত্ব বোঝাতে ফ্র্যাটারনিটি), সংস্কৃতে
তাই ভ্রাতৃ, বাংলার ভ্রাতা। ডাচ জুস্তর ল্যাটিনে সোরর,
সংস্কৃতে স্বসৃ, বাংলায় স্বসা। ইংরাজি ডটার এসেছে জার্মান
টটার থেকে, তবে ডটারের সাথে সংস্কৃত দুহিতৃ বা
বাংলা দুহিতার মিল প্রচুর। সংস্কৃত সূনৃ থেকে বাংলা সূনু(মানে পুত্র) আর জার্মান
বা ইংরাজি
সান। তেমনি পিসিপিতুঃস্বসৃ, মাসিমাতুঃস্বসৃ ইত্যাদি।
কিন্তু আমরা থোড়াই সহোদরাকে স্বসা বলি! বলি তো বোন। সেটা বোধহয় সংস্কৃত ভগিনী থেকে এসেছে। ভগিনীও খুবই চালু শব্দ,
সো নো প্রব্লেম।
পতি আর বর দুটোই সংস্কৃত শব্দ। বৌ এসেছে বধূ থেকে। বধূ সংসারে এলেই পতিগৃহে একগাদা সম্বন্ধ পেয়ে যায়। এক এক করে বলি। শ্বশুর সংস্কৃত শব্দ। শাশুড়ি হচ্ছে শ্বশ্রূ। দেওর সংস্কৃতে দেবর। ভাশুর সম্ভবত ভ্রাতৃশ্বশুর। ভাশুর বা দেওরের বৌ, যাকে বাংলায় জা বলা হয়, সংস্কৃতে যাতৃ। ননদ হচ্ছে ননন্দৃ। ভাজ এসেছে ভ্রাতৃজায়া থেকে।
বিয়ে হলে পুরুষটি পায় শালা,
যার সংস্কৃত শ্যালক। অবশ্য সঙ্গত কারণেই নজর শ্যালকের চেয়ে শ্যালিকার ওপরেই বেশি থাকে।
পুত্র সংস্কৃত শব্দ। ইংরাজি সান-এর সমগোত্রীয় সংস্কৃত শব্দটি অবশ্য সূনু,
যার অর্থও পুত্র। কিন্তু আমরা তো বলি ছেলে,
সেটি সম্ভবত সংস্কৃত শাবক-এর অপভ্রংশ। সরাসরি দেশি শব্দ থেকে নেওয়াও
বিচিত্র নয়। মেয়েও হয়তো মাতৃ থেকে পাক খেয়ে খেয়ে ঐরূপে ঠেকেছে। উল্টোদিকে পিতা বলে আহ্বান এখন কেউ করে না, ডাকে বাবা বলে। বাবার কাছাকাছি সংস্কৃত শব্দ বপ্তৃ,
যার অর্থ বপনকারী। নারীবাদীরা আজকাল বাবা-টাবার গুরুত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন,
বপন ব্যাপারটা হয়তো স্বপনেই সমাধা হয়ে যাবে। আরবীতে বাবা আছে, হতে পারে
বাবা আরবী থেকেই এসেছে। দাদা-র মতোন শুনতে সংস্কৃত শব্দ তাত, তবে তাত সম্মানার্থে সবাইকেই বলা যায়। গুরু গৌতমের প্রশ্নের জবাবে জবালা যখন পুত্র সত্যকামকে বলে – গোত্র তব নাহি জানি তাত, তখন তো আর দাদা বোঝায় না। তাত সাধারণভাবে অবশ্য পিতৃস্থানীয়, যেমন কাকা। কাকা স্পেসিফিকালি হচ্ছে খুল্লতাত,
যার থেকে খুড়া,
খুড়ো শব্দগুলো এসেছে। বাবার দাদা,
অর্থাৎ জ্যাঠা হচ্ছে জ্যেষ্ঠতাত। বাবার ভাই কাকা কিন্তু সংস্কৃত নয়, ফারসী
বা তুর্কিশব্দ, এর কাছাকাছি কোনো সংস্কৃত শব্দ নেই। যা আছে কাকা অর্থে,
তা হচ্ছে পিতৃব্য,
তাতে কাকা-জ্যাঠা দুইই হয়। মায়ের ভাই বা দাদা অর্থে মামা
তেমনি সংস্কৃতে মাম, মামক বা মাতুল।
খেয়াল
করে দেখেছেন হয়তো, টিভিতে মেগাসিরিয়ালগুলোতে বাবা,
মা-কে সম্বোধন করা হচ্ছে পিতে, মাতে বলে। সংস্কৃতে আ-কারান্ত স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ লতা
শব্দরূপের মতো হয়,
যার সম্বোধন হয় লতে বসে। পিতা বা মাতা কোনোটাই লতা শব্দের মতো
নয়, তারা
পিতৃ বা মাতৃ শব্দ, যার সম্বোধনে পিত: বা মাত: হওয়া উচিত, পিতে, মাতে আদৌ নয়। তেমনি সমাসবদ্ধ তৎসম শব্দ পিতাশ্রী-মাতাশ্রীর অনুকরণে মামাশ্রীও ভুল।
ছেলের ছেলে অর্থাৎ পুত্রস্য পুত্র হচ্ছে পৌত্র,
মেয়ের ছেলে হচ্ছে দৌহিত্র। এদের আমরা ডাকি নাতি বলে। নাতির সংস্কৃত হচ্ছে নপ্তৃ,
তাতে পৌত্র-দৌহিত্র দুটোকেই বোঝায়। ভাদ্দর বৌ ভ্রাতৃবধূ। মেয়ের বর জামাই সংস্কৃতে জামাতৃ। বৌমা তেমনি বধূমাতা।
এই মোটামুটি আমাদের সম্বন্ধের ছক। ওহো, শ্যালিকার পতি, যাকে বাংলায় ভায়রা-ভাই বলা হয়, তার উপযুক্ত সংস্কৃত শব্দ নেই বোধহয়। তবে ভাই বা বোনের শ্বশুর,
যাকে তাউই-মশাই বা তালুই-মশাই বলে ডাকা হয়, সংস্কৃতে তিনি তাতগু। তার স্ত্রী বাংলায় মাউই-মা,
খুব সম্ভবত মাতৃকা-র চলিত রূপ।
সব বলে দিলাম। এবার যদি কেউ জিজ্ঞেস করে আপনার পিতুঃস্বসার বরের শ্বশুরের না জামাই-এর শ্যালক আপনার কে হন, তাহলে যেন ভির্মি খাবেন না। তবে সংস্কৃত নয়, আমাদের আলোচনা চলছিল
সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ইংরাজি
বা ইওরোপীয়
শব্দের মিল নিয়ে। পন্ডিতরা অবশ্য এখন তাবৎ ভারতীয় ভাষাকেই ইন্দো-ইওরোপীয় আখ্যা
দিয়েছেন।
মানে
শব্দের এই সমস্ত মিল নিঃসন্দেহে কাকতালীয় নয়, অর্থাৎ এক সময় এই দুই প্রদেশের লোক
কাছাকাছিই বাস করত। আর তাই এটা ধারণা করাও ভুল হবে না,
যে ঐ সময় থেকেই মানুষ গরুকেও গৃহপালিত করে ফেলেছিল, না হলে সংস্কৃত গৌ, যা থেকে বাংলা গো (যেমন বাছুর
হচ্ছে গো-বৎস) আর ইংরাজি
কাউ এত কাছাকাছি কেন?
সাপও ছিল নিশ্চয় ভরভরন্ত, যে জন্যে সার্পেন্ট আর সর্প এত
কাছাকাছি। শৃগাল আর জ্যাকল। মূষিক আর মাউস। মনু আর ম্যান,
নাম আর নেম, মা (মানে আমাকে, যেমন তমসো মা জ্যোতির্গময়ঃ) আর মী, ন আর নো –এইসব শব্দগুলোও কত কাছাকাছি।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গের
কিছু কিছুও সমোচ্চারিত শব্দে প্রকাশ হয় দুই ভাষাতেই। নাসা আর নোজ,
দন্ত আর ডেন্ট, পদ আর পেড, পরে অপভ্রংশে ফুট
(পায়ে হাঁটা মানুষ যেমন পেডেস্ট্রিয়ান), জানু আর নী, হৃদ আর হার্ট, নাড় (যা থেকে নাড়ি) আর নার্ভ, এমন কী
বাচস আর ভয়েস তাই একই উচ্চারণে। সংখ্যার উৎপত্তি নিশ্চয় অনেক পরে।
তবুও অধিকাংশ সংখ্যা দুই ভাষাতেই কাছাকাছি। ত্রি আর থ্রী,
পঞ্চ আর পেন্টা, ষট আর সেক্সটা, সপ্ত আর সেপ্টা, অষ্ট আর অক্টা, দশ আর ডেসি – এদের
মিল লক্ষ্য
করা্র মতো। মহা থেকেই তো মেগা। প্রতি শত
থেকেই পার্সেন্ট।
ত্রিপদ
তাই ট্রাইপড।
ধাম
আর ডোমিসাইল? দ্বার আর ডোর? অক্ষ
(উচ্চারণে অক্ষো) আর অ্যাক্সিস? মধ্যম আর মিডিয়াম? লোক আর লোকেল? কাল আর ক্যালেন্ডার?
তারপর
বৃষি আর রাইস, ঘাস আর গ্র্যাস, অগ্নি থেকে
ইগনাইট, অপালা থেকে ওপাল, নীলা থেকে
লাইল্যাক।
নক্তন্তন
থেকে নকটার্নাল।
ভালোর
পাশাপাশি খারাপ সবসময়ই ছিল। মল আর ম্যাল (ম্যাল-অডার,
ম্যাল-নিউট্রিশন, ম্যালিসিয়াস ইন্টেন্ট),
মৃত আর মার্ডার, বমন আর ভমিট।
তারপর
ধরো আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানের গল্প তো সবার জানা। সেই যে পুরুরাজার বীরত্ব।
আলেকজান্ডার তাই তো ফিরে গেল, বুঝে গেল এদিকে খাপ খোলা মুশকিল। তবে পরবর্তীতে রেখে
গেল বেশ কিছু সৈন্য, সেনাপতি। সত্য সেলুকস, কী বিচিত্র এই দেশ! তাদের প্রভাবে বেশ
কিছু গ্রীক শব্দও ঢুকে গেল আমাদের অভিধানে।
দাম (অর্থাৎ মূল্য)
কথাটা এসেছে
গ্রীক ‘দ্রাখমা’ থেকে,
যা প্রাচীনকাল থেকে আজও গ্রীসের মুদ্রা। সুপ্রাচীনকাল থেকে এই সেদিন মুঘল আমল পর্যন্তও ভারত ও তার উত্তর পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মুদ্রার একটি একক ছিল দাম। কত দাম মানেই কত টাকা! আমাদের লেখাপড়ার চর্চা ছিল
মুখে মুখে, বেদ ছিল শ্রুতি। গ্রীকদের প্রভাবেই হয়তো আমরা কালি-কলম তুলে নিলাম। কেননা
গ্রীক কালামোস থেকে আমরা পেলাম কলম, গ্রীক পুক্সিনন থেকে পুস্তক। সংস্কৃত
কেন্দ্র এল
গ্রীক কেন্ট্রন থেকে, ইংরাজিতে তা সেন্টার। গ্রীক সিরিনক্স সংস্কৃতে সুড়ঙ্গ
ইংরাজিতে সিরিঞ্জ। গ্রীসদেশের বার্বেরস সংস্কৃতে বর্বর ইংরাজি বার্বার।
শুধু
এখানেই শেষ না। এমনকি এই যে ইংরাজি এ ফর অ্যাপলের আগে অ্যান বসে আর বি ফর বলের আগে
এ, এই নিয়ম সংস্কৃতেও আছে। অবশ্য আর্টিক্ল্ নয়, বিপরীত শব্দ বুঝাতে শব্দটি
ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে শুরু হলে বিপরীত বুঝাতে তার আগে অ- বসে, কিন্তু স্বরবর্ণ দিয়ে
শুরু হলে আগে অ- নয়, বসে অন-। অকারণ, অগম্য, অজর, অমর, অপারগ, অসাধারণ, অনমনীয়।
কিন্তু অনবদ্য, অনবধান, অনন্ত, অনঙ্গ, অনসূয়া, অনাচার, অনাগত, অনিষ্ট, অনীশ, অনুল্লেখ, অনামিকা।
আচ্ছা, অনামিকাই অ্যাননিমাস নয়?
কিন্তু
আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে, সে অনামিকা নয়, তার
নাম পার্বতী। ও একটু আগে চলে এসেছে, নিশ্চয় একটু আগে চলে
যাওয়ার তাড়া আছে। এইসব আগডম বাগডম ভেবে আমি সময় নষ্ট করতে পারি, কেননা আজ রবিবার, আমার ছুটি।
পার্বতী
অনেক অজুহাত দিয়ে আর হাজারটা মিথ্যে কথা বলে মাঝে মাঝেই কাজে আসে না,
কিন্তু সে অন্য গল্প। কাজের মাসিদের রবিবার থাকে না, ওদের প্রত্যেক দিনই
কাজ। পার্বতীকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা ঠিক নয়। আমি ওকে ঘরের ভিতরে আসতে বলে সিঁড়ি
দিয়ে নিচে
নেমে প্রকৃতির হাওয়া খেতে বেরিয়ে পড়লাম।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন