শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

শর্মিষ্ঠা ঘোষ

ভাব   

চেতাবনি ছিলই। বিশ্বাসটা অবশ্য আপেক্ষিকএকদিকে টানলে অন্যদিকে ফাটল হু হু  করে বাড়ছেবেনোজল ঢুকে পড়ছে গেরস্থালীর দাঁত কেলানিতে। হাত আয়না সূর্যের দিকে ধরছি। আলো ছিটকে পড়ছে মন খারাপেভালগার জেসচারে মক্সো করছি ভালো থাকার অশ্লীল মিথ্যে। মাইকিং করছি সতীত্ব। নিজেকেই খুব একটা বিশ্বাস করছি নাইমেজ ছত্রখান করছি গা ভাসানো সুলভ পিএনপিসিতেগোদের ওপর চেপেছে তোমার কাছে ভালো থাকবার দায়সেই কুটো ধরে সেলের বাজারে প্রাইসট্যাগ লাগিয়ে বেড়াচ্ছিএবেলা ওবেলা গুষ্টি উদ্ধার করছি দেশের দশের আর ভাব নিচ্ছি দেদার।   

                   

শাস্তি

দেখার বাইরের চোখ সেই ক্লীবের ওপর থেকে সরাচ্ছি না
তার ছটপটানি ঘনঘন মোবাইল নিয়ে নাড়াচাড়া অস্বস্তি
মধু, কী যে মধু, রাগ ঘৃণা শোক তাপ দহনে অপেক্ষায়
ফোঁটায় ফোঁটায় ক্ষরিত হচ্ছে, আহ, কী আরাম আজ ঘুমে
তোর লালপাড় শাড়ি রাতুল পা সিঁদুর কপাল বাকি সব নেই
তুইও নাকি ঘুমে? তুইও নাকি হাল ছাড়া হারানো জীবন?
তবে সেই সাজ? নতুন সোয়েটার? ম্যাচিং ব্লাউজ?
আমাদের সাথে তোলা ছবি? কখনো বুঝিনি, কোথাও পালাবি
এক ক্লীব এসে লিখে দেবে, ভুল সব ভুল? পাগল... পাগল?
নাহ, চারকোণা কাঠ ঘিরে টাকা আর খেলা, কিছুই ঘটেনি
কিছুমিছু ঘটে তবু চশমার কাচে, চোখ যা দেখে না
দেখার বাইরের দেখা, অশরীরী দেখা নাকি নতুন জন্ম?
ছোট ছিলি, আরো ক্ষুদে আদরের কেউ আলো কারো কোলে
দেখার বাইরের চোখ ভস্ম করছে যাকে চরম শাস্তি

                           

যা তা জীবন     

এই সময়ের নাম ফেকএই ফিরে তাকানো অনেক রিহার্সালেও ভুলভাল। উল্টোরথের রশি ছিঁড়ে গেছেমেলায় যাবার কথা সন্ধ্যে ফুঁকে দিল। তাও জিলিপি চলে এলো বাড়িতে। মনে করিয়ে দেওয়া, তুমি না টানলেও অনেকেই টেনেছেতুমি জীবনকে চাও কিনা একান্তই তোমার ব্যাপারসার সার অপেক্ষমান দেহ তোমাকে বুমেরাং করে দিয়েছে নাট্যশালায়। আবার আলো জ্বালতে বলেছ। বেজে উঠেছে নেপথ্য ভায়োলিন। কে দেখছে ভাবছ না আরতোমাকে ধরাদ্ধর নামিয়ে দিতে হবে পাঁচ অঙ্ক। এই ঢ্যামনামোর নাম নিঃশ্বাস। এই পালিয়ে আসার নাম ভালোবাসাফেরার পথে আতরের শিশি টপকে এসেছিমাড়িয়ে দিয়েছি কয়েকদানা খইসৌখিন ফুলের মালা গরুর পেটে গেলেও হা হা করে উঠছি নাবাড়ি ফিরেই চামড়াটুকু রেখে ছুঁড়ে ফেলছি পার্থিবতারপর সন্তানের গায়ের গন্ধ মেখে নিতে নিতে উচ্চারণ করছি নবজন্ম। এই সুগন্ধের নাম সুখ   



1 টি মন্তব্য: