মেইন রোড ১
তুমি এলে
তো রিকশা এলো
চেন চালক চাকা
মাত্র ধ্বনি থেকে এত কথা
ভাবতে ভাবতে
কাকে যেন রাস্তা ক’রে রেখেছি বহুক্ষণ
ভাবতে ভাবতে
তিনখানা চ খরচ হয়ে গেল
তিন ঋতু
দূরে দূরে ঘন্টি যাচ্ছে
ঘন নীল উড়তা সফেদ
দু’মাত্রা তিনমাত্রা
কাস্তে হাসছে পাশে অবিশ্বাস্য ধান
হেমন্ত লাফিয়ে উঠছে
বিশ্বাসজনক ঘামে চতুর্থ চাকায়
হাওয়াকে দাওয়াত দেব
জানালাগুলো খুলে আসি, যাই
মেইন রোড ২
ছাদগুলো গুনে রেখো
মাধবগঞ্জ আর কালিতলার মাঝ দিয়ে
মেইন রোড ইচ্ছেমতো চ’লে যায় কুমারী টকিজ
দোকানটি বেঁচে থাকে দীনুদা থাকে না
ছাদগুলো গুনে রেখো
সূতোয় বসে আছে তিন পুরুষ
আটা বেরোবার ফুটোয় বসে আছে
মাঝ দিয়ে কল বিকল যাওয়া
রুখরুখায় ভেঁপু সেও থামতে পারে না
শান্ত হরিত চির শালগ্রাম সেও সোজা যায়
ঘন্টি বাজছে
জয়পুর কোতলপুর নেমে যাবে
গুনে রেখো
আকাশ হয়েছে
নিচে অসিতের থ্যাতলানো মাথা
ব্রেক জানো
তুমি জানো একসিলেটর
টকিজেরা বড় হয়ে বিয়ে হয়ে
হুগলী ডিস্ট্রিক্ট চলে গেলে
ছাদ ওই প্যান করছে
তুমি ধ্যান জানো বোরোলীনও জানো
গুনে রেখো
ভালো লাগল রঞ্জন দা।
উত্তরমুছুন