ডিম
দুটো ডিম কিনতে গিয়েছিলুম কুলসুম আপাদের বাড়ি
উনি মুর্গির ঘরে ঢুকলেন, পেছনে আমিও
একটা দিশি মুর্গি কয়েকটা ডিমের ওপর বসেছিল
তাকে হুশ-হুশ করে তাড়িয়ে দুটো ডিম তুলে নিলেন
তা থেকে বাছাই করে মুচকি হেসে দিলেন আমার হাতে
গরম টাটকা ডিম, জিগ্যেস করলেন, ডিম পছন্দ হয়েছে?
দু'পকেটে দুটো ডিম রেখে ঘাড় নাড়লুম
কুলসুম আপা নিচু হয়ে ঠোঁটে চুমু খেয়ে
বললেন, পয়সা পরে এনে দিস মনে করে
ঠোঁটের থুতু পুঁছে আবার ঘাড় নাড়লুম
টাটকা ডিম পেয়ে নাচতে-নাচতে বাড়ি ফিরছিলুম
পকেটের ডিম দুটোও যেন নাচতে লাগলো
লেংটুতে খোঁচা ফুটছিল
ডিমের আবার খোঁচা হয় নাকি!
দু'পকেটে দুহাত ঢুকিয়ে বার করে আনলুম
ডিমের খোসাসুদ্দু দুটো জ্যান্ত মুর্গির ছানা
এগুলো বাড়ি নিয়ে গেলে জেঠিমা বকবেন
কুলসুম আপাদের বাড়ি নিয়ে গেলে নির্ঘাৎ
বকুনি খাবেন কুলসুম আপা
চুপি-চুপি কুলসুম আপাদের বাড়ি গিয়ে মুর্গির ঘরে
ছেড়ে দিলুম ছানাদুটো
বাড়ি ফিরে বললুম, ডিম পাড়েনি এখনও মুর্গিগুলো
বলেছে বিকেলে আসিস
বিকেলে তো যাবোই, কুলসুম আপার থুতুমাখা চুমু খেতে
ম আর অ-এর স্টকটেকিং
ম, যার কাল্পনিক যুবতীদের ভালো লাগে একদিন এক বাস্তবিক যুবতী
অ-কে দেখতে পেয়ে মত বদলে ফেললো।
অ, ম-কে ওর ব্লাউজে হাত ঢোকাতে দিয়েছিল, বলেছিল কাল্পনিক যুবতী
নিয়ে কী করবি, যা কল্পনা করছিস তা ব্লাউজের ভেতরে আছে।
ক ( তিন ) যে ম-এর উচ্চমাধ্যমিক সহপাঠী, জানতে চাইলো কেমন
হয় রে কচি মাইগুলো ? ক ( এক ), ক ( দুই ) ম-এর বন্ধু নয়।
আসলে অ হল ক ( এক ) এর বোন, জানতে পারলে চূড়ান্ত মারামারি
হবেই। অ-এর বাবা শ বাংলার টিচার। বাংলায় ম একেবারে
গাড্ডুস।
অ-এর মাইতে হাত দেবার পুরস্কার হিসেবে, বাংলায় ১০০তে ১০০ পেয়ে
ম সেদিন অ-কে ধন্যবাদ দিতে অ বলেছিল, তোর বাবা খ-বাবু
তোর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন আমাদের বাড়ি।
ম-এর আনন্দ তো হলই, কিন্তু লুকিয়ে ব্লাউজে হাত ঢোকাবার মজা শেষ
হয়ে যাবে বলে কিছুটা মনখারাপ হলো।
অ বলল, ঘাবড়াচ্ছিস কেন, এখন তো পাকা দেখা আশীর্বাদ সবই বাকি,
ততোদিন তুই যতো ইচ্ছে হাত ঢোকাতে পারবি, শর্ত এই...।
ম আঁৎকে উঠে বলল, না না আমরা যৌতুক নিই না, কোনো শর্ত নেই।
অ ম-কে জড়িয়ে ধরে বলল, দূর বোকা, ততোদিন তুইও
আমাকে হাত ঢোকাতে দিবি
অ তক্ষুনি হাত ঢোকালো আর ভিজে যেতেই বলল, ছি ছি, সবুর করতে
পারিস না? স্টক খালি হয়ে যায় যদি!
অ বলল, এই স্টক ৮০ বছর পর্যন্ত থাকবে।
কৌরব-পাণ্ডব ম্যাচ
কুরুক্ষেত্রের গ্যালারির টিকিট পেয়েছিলুম শ্রীকৃষ্ণর গার্লফ্রেণ্ড রাধাকে
ধরাধরি করে। সামনের দিকের সিট পাইনি।
ধরাধরি করে। সামনের দিকের সিট পাইনি।
সূর্য উঠতেই দুদলের রেফারিরা সিটি বাজিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে বলল।
ইনডিয়ান ঘোড়ায় টানা রথে চড়ে তীর ছুঁড়ছিল সব্বাই।
দূর থেকে কে যে দূর্যধন আর কে ধৃতরাষ্ট্র কিছুই টের পাচ্ছিলুম না।
একটা মোটকা লোক গদা চালাচ্ছে দেখে তাকে ভীম মনে হল।
বারীন চেঁচাতে লাগল মার মার পোঁদে মার ওটাই দ্রৌপদীর
শিফনের শাড়ি খুলেছিল।
একটা রথে মেয়েলি টাইপের একজনকে দেখে সুবর্ণ বলে উঠল ওই
লোকটা হোমো, চালু মাল।
আমি বললুম, কোনো মানে হয় না, এতো টাকা দিয়ে টিকিট কেটে
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ দেখা। তার চেয়ে বেদব্যাস যখন গপ্পো
লিখে ফেলবে তখন পড়ে নেবো।
তরুণ বলল, শালা সংস্কৃততে তো সবাই আমরা ফেকলু। যতোদিন
যুদ্ধটা চলবে জমে যাবে। দ্রৌপদীর শাড়িটা শেষ ওব্দি কী
হল জানিস? কোথায় আছে ওটা? পেলে আর যুদ্ধ দেখবো না।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন