এইদেশ
এইকাল
বৃষ্টির
গন্ধ মেখে আরেকটি ভোর এলো
ওহে ভোর, তুমি তাকাও
আমার দিকে
এমন
বিশৃঙ্খল ঝড়ের দেশে
আমি চাইনি
তোমায়
আমার
শরীরের দিকে তাকাও
দেখ আমি
পুড়ছি, কেরোসিনের গন্ধ
আমার শরীর
জুড়ে।
ক্রমশঃ ছাই
হয়ে যাচ্ছে আমার
শাড়ি, শাঁখা, সিঁদুর —
আমার আলতা
পরা দুটি পা
পোড়া গন্ধে, গুলিয়ে উঠছে
ম্লান সূর্য
অন্ধকার
থেকে বিষাদের ঘ্রাণ মেখে
মেখে
তুমি এলে
ভোর
এই দেশ, এই ক্ষণে
হায় ভোর!
যাপনে সন্ন্যাস
এক সকালে ভালোবেসে
খুলে দিলাম
আমার ঘরের
দখিন দুয়ার।
ভেবেছিলাম
সকালের আলো মাখলে বুঝি
শহুরে
মুখের আদল বদলে যাবে।
রাতগুলোতে
একলা ঘরের পুরনো ধুলোমাখা
আয়নায়
নিজেকে বৃদ্ধ বলে মনে হয়।
আমার
আটপৌরে হাতে চশমা খুঁজে, বৃষ্টির বিচিত্র অঙ্ক কষি
হিসেবের
খাতায় পূবের জানালা খুলে বসে।
গোধূলির
গন্ধ উড়ে আসে
পশ্চিমের
জানালার বেলফুলের ঝোপ থেকে।
না, উত্তরে আর
জানালা নেই।
তোমার শখের
সেই বেলজিয়াম গ্লাসের দরজার
গ্লাস
পেইন্টিং ভেদ করে দুপুরগুলোয়
আজও আধ
শুকনো যমুনার স্রোতে—
চোখ ভেসে
যায়। যদি পারতাম
একটি
গন্ডুষ জল দিয়ে, মাধুকরী রাতের
সব সঞ্চিত পাপ
ধুয়ে দিতে!
জানি না কি
করে তুমি রোজ সকালগুলোকে
আলো দিয়ে দীর্ঘতর
করে যেতে।
আজ শঙ্খে
তুলেছি বিষ, একদিন ওষ্ঠ
শুকিয়ে গেলে—
ছোঁয়াবো
তোমার স্বর্গীয় ঠোঁটে ঠোঁট।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন