কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

আরণ্যক টিটো


উদ্যাপনের পদাবলী

একটু পিছাতে চাই পরানকথার নীড়ে
গতির লালিত্যে
ধনুক
যেভাবে বেঁকে যায় পিছনের দিকে  
কৃষ্ণকালা জানে  
পৃথিবীর কুরুক্ষেত্রে  
অর্জুনের
পশ্চাদগমনে লুক্কায়িত ছিল মহাবীর কর্ণবধ  
একটু পিছাতে চাই  
অন্ত্যজ মাটির কাঁচা সোনায় জেনে নিতে কর্ণের বেদনা
টানটান
ধনুকের ছিলাময়
বুড়ো আঙুলের ইতিহাসে
মর্মের পোড়নে জেগে ওঠে একলব্যবিশ্ব
প্রাসাদের ভারবহ  
ক্ষমতাকেন্দ্রের খুঁটি মধ্যবিন্দু ছেড়ে
নতুন সৌন্দর্যে সরে যায় প্রান্তরের দিকে
একটু পিছাতে চাই পরানকথার নীড়ে
খনার
কর্তিত জিহ্বা জানে  
কথার মালায় রচা বিনিসুতোমালা নিবিড় বন্ধনে বাঁধে
উদ্যাপনের পদাবলী

  
ধামাচাপা

ফিনকি ফিনকি লালে ভরে যাচ্ছে গোধূলি আকাশ
ধামাচাপা রাখলো কোথায়
'বেলা
হবে না জানা
তার চেয়ে
আমাকে একবাটি শাক দাও নির্জন আহারে ঢেকে রাখি মাছ
পৃথিবী
এই যাবত যা কিছু হয়েছে লেখা
তাহা বিপরীত ভাবে দেখা হলে কাহিনী বদলে যায়
ইহা সহজাত
সত্যম শিবম সুন্দরম
আমিই বা
কোথাকার কোন কাহিনীর ধামা
চাপা পরে বেঁচে আছি এই জীবনবাজারে এই মানবমানবী ধামে


শব্দগ্রাম

শব্দের গহীনে লুকোচুরি খেলে অস্তিত্বের পদাবলী

(রব+ = রবি
+রব= আরব
+রব+ = আরবি!...)

শব্দই পরম ব্রহ্ম  > রব্বানা > রব!
মানে কলরব > কলকাকলি কিংবা ভ্রমর গুঞ্জনে ফুল ফোটার শব্দ
কিংবা মহাবিষ্ফোরণ
রবময়, শব্দময়
মুহূর্তের উচ্ছ্বাসে মুখর এই ব্রহ্মলোকে,
বলো:
ভালোবাসি, সৃজনের ঐকতান
এই শব্দমালা
এই ঘটনাঘটন বিশ্বলোকে, ঘটনার সংঘর্ষে, শীৎকারে
নূপুরের মনে মুখরিত রুমঝুম রুমঝুম...
ভাষাভাষিময়
এ যাপনলোকে, এ ভাবনালোকে,
উফ! এত শব্দদূষণ কেন? উফফফ! এত ব্রহ্মদূষণ কেন? ...




হা =
ফাঁকা মানে শূন্যতা বা স্পেস!
আমরা যখন হাহা করে হাসি,
তখনো মুখের মাঝে
"হা' স্পেস হয়, মানে শূন্যতা বাফাঁকা হয়!
আবার যখন
(কোনো বিষয়বিহনে) হাহাকার তৈরি হয়,
তখনো হাহা আকার মানে শূন্যতা বা ফাঁকা তৈরি হয়!
আর সেই ফাঁকাটুকু ফাঁকি দিতে গিয়ে
যখনই তোমাকে মনে পড়ে,
হাহা করে হেসে উঠি;
সহজে আড়াল করি তোমার শূন্যতা, হাহাকার! ...
তবে,
হয়তো বা তুমি আছ অন্য কোনো পূর্ণিমায়,
পূর্ণাঙ্গ সুন্দরে,
ফাঁকার ভরাটে, পূর্ণতায়! ...


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন