কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

পৃথা কুণ্ডু

 

সমকালীন ছোটগল্প


পুঁটিরানি বালিকা বিদ্যালয়

 

পিং করে একটা বার্তা ঢুকল মণিমালার স্মার্টফোনে এটা কিনে দিয়ে গেছে তার ছেলে মঞ্জুল সাধারণ মডেল, ওই হোয়াটস্অ্যাপ করা, ইউটিউবে গান শোনা, একটু সিরিয়াল দেখা এর বেশি আর কীই বা দরকার ষাট-পেরোনো একজন গৃহবধূর? বিভাস এসব পছন্দ করে না হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি আর পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ারিংএর বাইরের জগৎ নিয়ে তার তেমন আগ্রহও নেই মণিমালার স্মার্টফোন-বিলাস নিয়ে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়ে না সে করুক! স্ত্রীর কোন শখসাধ কবে  পূরণ করেছে সে? ছেলের কল্যাণে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে একটু আড্ডা দেবার সুযোগ পেয়েছে মণি, ছাড়বে কেন সেটুকু সুখ?

পুজোর বাজার করতে গিয়ে স্কুলবেলার বান্ধবী বন্দনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল মণির তখনই জানতে পারল, ওদের পুঁটিরানি বালিকা বিদ্যালয়ের নামে একটা হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ আছে। তাকেও সেখানে জয়েন করতে বলেছিল বন্দনা

ছেলে বাড়ি আসতেই আবদার করেছিল মণি মঞ্জুল খুশিই হয়েছিলবাবাকে তো বলে বলে পারা যায় না, মা অন্তত শিখুক তারপর থেকে একটা নতুন জানালা যেন খুলে গেছে তার জীবনেপুঁটিরানি বালিকা বিদ্যালয়ের ওই গ্রুপটা তার কাছে এক মুক্তির আঙ্গিনা তাও তো গতমাসে বন্দনার বাড়ি গেট-টুগেদারে যাওয়া হয় নি তার। সেদিনই সকাল থেকে বিভাসের বমি আর পেটখারাপ শুরু হল। পরে বন্দনার সে কি অভিমান! “কেন, তোর দেওরের ফ্যামিলি তো পাশেই থাকে, একটা বেলা তারা একটু দেখে রাখতে পারত না দাদাকে?”

সত্যি, নিজের চাওয়াটুকু মেটানোর রাস্তা যদি এ বয়সেও সে খুঁজে নিতে না পারে, তাহলে আর কবে পারবে? তাই এবারের প্রোগ্রামটায় সে যাবেই বলে ঠিক করেছে। সেই ছোটবেলার স্কুলে যাবে সবাই মিলে। বাঁকুড়ার দিকে, অনেকটা ভেতরে গ্রামের স্কুল। ওখানে সারাদিন ঘুরে, কাছাকাছি শহর-এলাকায় একটা লজে রাতে থাকা। পরদিন ফেরা। ওদের গ্রুপের উত্তরাই ব্যবস্থা করেছে। ও একটা এনজিও চালায়। সেই সূত্রেই গত বছর সে একবার গিয়েছিল ওখানে – সব সরেজমিনে দেখেশুনে এসেছে। মণিমালা যাচ্ছে শুনে বিভাস গজগজানি শুরু করে দিয়েছে, বাড়ির লোক ছাড়া রাতে অচেনা জায়গায় থেকেছ কোনদিন? অতদূর কার-জার্নি, রাতে কোমর  ব্যথা উঠলে বুঝবে মজা”মণি নিজের পরিকল্পনায় অটল থেকেছে।

আজ সেই দিন। গাড়িতে যেতে যেতে প্রাণ খুলে গল্প করছে মণিমালা। টুকটাক খাবার নিয়ে এসেছে সবাই, ভাগাভাগি করে খাওয়াও চলছে। কথায় কথায় রেণু জানতে চায়, তোর ছেলে এখন কোথায় রে?” মণি উত্তর দেয়, “দিল্লিতেএকটা বড় পাবলিশিং হাউসে কাজ করে”

--“কোন পাবলিশিং হাউস?” শ্রাবণীর প্রশ্নসে ইউনিভার্সিটিতে পড়ায়, কবিতা লেখে, একটা পত্রিকা সম্পাদনাও করে। মণিমালা একটু অপ্রস্তুত হয়েই বলে – “নামটা ঠিক মনে নেই ভাই”।

--“ছেলে কোথায় কাজ করে জানিস না? ভেরি ব্যাড – এভাবে ছেলের সঙ্গে ডিসট্যান্স তৈরি হতে দিস না। এই যে আমার ছেলে ফিল্মমেকার – আমি তো ফ্রেন্ডলি মিশি তার সাথে। ওর কাজের সব খবর রাখি। কোন প্রজেক্ট আটকে আছে, কোনটা রিলিজ করবে...”

মণিমালার মুখটা শুকিয়ে যায়। রত্না বলে ওঠে –“ওর হয়ত মনে নেই। তাতে এভাবে বলার কী আছে?”

শ্রাবণীর চোয়াল পলকে শক্ত, “ভুল তো কিছু বলিনি। নিউ জেনারেশনের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশতে হয়। নিজেকে আপডেটেড রাখতে হয়। এভাবেই সুস্থ রিলেশন মেইনটেন করা যায়। বিহেভিয়ারিয়াল সায়েন্স একথাই বলে”

--“আরে, আমার মেয়ে-জামাই ইউএস-এ আছে – কতবার কম্পানি চেঞ্জ করল, আমার অত খুঁটিনাটি মনে থাকে না। তাই বলে কি তাদের সঙ্গে আমার ডিসট্যান্স হয়ে গেছে? সবকিছু তোদের আঁতেল থিয়োরি দিয়ে হয় না”

সামনের সিট থেকে ভারি চেহারার গোপা বলে ওঠে – “ওঃ, থামবি তোরা? সারা রাস্তা এরকম খিটিমিটি করবি জানলে তোদের সাথে আসতামই না। নিজের গাড়িতেই তো আসতে পারতাম। উনি বারবার বলছিলেন – এতজন গাদাগাদি করে যাবে, কষ্ট হবে তোমার, তার চেয়ে নিজের মত আরামে যাও – ওখানে গিয়ে তো দেখা হবেই। আমিই আসতে চাইলাম সকলের সাথে। আর তোরা কিনা... ছিঃ!” গোপার স্বামী বিরাট শিল্পপতি, আবার সামনের নির্বাচনে দাঁড়াবার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।

উত্তরা সায় দেয়, “ঠিক – আমরা একসাথে আনন্দ করতে যাচ্ছি। প্লিজ, মুডটা নষ্ট করিস না”

পুঁটিরানি বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে প্রায় দুপুর। ওরা মেয়েদের জন্য লজেন্স, কেক আর স্কুলের লাইব্রেরির জন্য কিছু বই নিয়ে এসেছে – সেগুলো প্রধান শিক্ষিকার হাতে তুলে দেওয়া হল। তিনি ওদের খাতির করে বসিয়ে বললেন – কৃতী প্রাক্তনীরা যে স্কুলটাকে মনে রেখেছেন, এটা পরম সৌভাগ্যের বিষয়। স্কুলের উন্নয়নে তাঁদের আরও সহযোগিতা কাম্য। বিশেষ করে গোপা আর উত্তরার দিকে তাকিয়েই বলছিলেন কথাগুলো। মেয়েরা প্রাক্তনীদের সম্মানে ছোট একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করল। মণিমালার খারাপ লাগছিল না, কিন্তু এরকম অতিথির মত পুরনো স্কুলে এসে কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছিল। একটা সময় সে উঠে পড়ল। উত্তরা জানতে চাইল – ‘কোথায় যাচ্ছিস?’

-‘একটু খেলার মাঠের দিকটা ঘুরে আসি রে’

-‘যা, তবে লাঞ্চের আগে ফিরে আসিস’।

মাথা নেড়ে মণিমালা চলে গেল মাঠের দিকে। সেই শিরিষগাছটা আছে এখনও। দিদির কথা বড্ড মনে পড়ছে। তার দিদি রানিবালাও এই স্কুলে পড়ত। অল্পবয়সেই মারা গেল বেচারি।

-‘কাঁদছিস, মণি?’ পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বীণা, “জানি, তখন শ্রাবণীর কথায় তোর  কষ্ট হয়েছে। ওরা এখন হাই সোসাইটির মানুষঅনেক বদলে গেছে”

-“বাদ দে। ...হ্যাঁ রে, সেই কমলকাকুর মুদিখানাটা মনে আছে? কাকুর মেয়ে তো দিদিদের সঙ্গে পড়ত”

-“হ্যাঁ হ্যাঁ, পুঁটিদি। আমরা বলতাম, তোমার নাম তো স্কুলের নামেই জড়িয়ে আছে”

- “চল না, একটু দেখি দোকানটা আছে কিনা”

বেশিদূর নয়, তবু এটুকু হেঁটেই ওরা হাঁপিয়ে পড়ল। ওই তো দোকানটা। আগের চেয়ে বড় হয়েছে, চালার বদলে ইটের ছাদ। দুপুরবেলা, ঝাঁপ বন্ধ। ডাকাডাকি করতে একটি মাঝবয়সী বউ বেরিয়ে এল। বীণা জিজ্ঞাসা করল – ‘কমলকাকা আছেন?’

--‘বাবা গত হইছেন অনেককাল। আপনেরা কারা?’

মণিমালা পরিচয় দিল। বউটি শুনে বলল, ‘তা বসেন দিদি, কিছু মুখে দেন’।

--“না ভাই, সঙ্গে আরও অনেকে আছে। স্কুলের সেক্রেটারির বাড়িতেই খাওয়ার ব্যবস্থা চলি।...পুঁটিদি কেমন আছে”?

-- ‘বড়দি...?’ আমতা আমতা করে বলে সে, ‘ভালই-’

মণিমালা ভাবল, পুঁটিদির সঙ্গে ভাই-বউয়ের সদ্ভাব নেই নাকি!

খাওয়াদাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে, বিকেলে আবার বেরোল সবাই। কাছাকাছি একটা মেলা হচ্ছিল, সেখানে ঘুরল। মণিমালার ইচ্ছে ছিল, পাশের গ্রামে একটু খোঁজ করে দেখবে – তার এক জ্ঞাতি-জ্যেঠার পরিবার থাকত সেখানে। বাদ সাধল  উত্তরা, “দ্যাখ- আমাদের সবারই কেউ না কেউ আশপাশের গ্রামে ছিল। এখন আদৌ তারা এখানে আছে কিনা, জানা নেই। তাদের খোঁজ করতে এদিক-ওদিক চলে গেলে – দলছুট হয়ে যাবার ভয় আছে। ওসব প্ল্যান ছাড়”।

শ্রাবণী বলে উঠল, “উত্তরা, আমি কিন্তু তোর কথামত এখানে এসে ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এবার একটু অন করছি, এসময় নিউজটা শোনা আমার অভ্যেস”

-“বেশ, চালা – আমরাও চা খেতে খেতে শুনি”।

সবাই একটা চায়ের দোকানে বসল। শ্রাবণী নিউজ চালিয়েছে। হেডলাইন্স দেখাচ্ছে – দেশের খবর, রাজ্যের খবর... শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত বিশিষ্ট শিল্পপতি। অফিসে বিক্ষোভের মুখে তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে নার্সিংহোমে...

-“না!... কেউ ওনাকে ফাঁসিয়েছে!” চিৎকার করে ওঠে গোপা।

-“আস্তে, আস্তে... আগে বাড়িতে একটা ফোন করে দেখ”- উত্তরা তাকে সামলানোর চেষ্টা করে।

গোপা কাঁপা হাতে ফোন অন করে – “মাই গড, এতগুলো মেসেজ, মিসড্ কল – তোর কথায় আমিও ফোন বন্ধ রেখেছিলাম, তাই কেউ আমায় জানাতে পারেনি!... আমাকে এক্ষুনি ফিরতে হবে। কেন যে তোদের সঙ্গে এসেছিলাম... দেখি, একটা গাড়ি পাঠাতে বলি। কিন্তু... অনেক দেরি হয়ে যাবে!” প্রায় কেঁদে ফেলে সে।

উত্তরা বলে, “তোকে বিপদের সময় একা ছেড়ে দিতে পারি না। শান্ত হ একটু, আমরাও তোর সঙ্গেই ফিরব”- গোপাকে সে জড়িয়ে ধরে একপাশে নিয়ে যায়।

বকিদের মধ্যে ফিসফাস শুরু হয়রত্না বলে – “গোপাকে ফিরতে হবে বলে আমরাও? উত্তরা আমাদের মত না নিয়ে বলে দিল যে!”

-“ও তো গোপার পোঁ ধরবেইওর এনজিওতে গোপার বর কত ডোনেশন দেয় জানিস?”

-“জ্বালা হল আমাদের। উত্তরা এখানে থাকার ব্যবস্থা করেছিল। আমরা তো কেউ কিছু জানি না। ও চলে গেলে আমরা থাকব কী করে?”

উত্তরা ফিরে আসে। “ভেরি সরি, কিন্তু গোপার এই অবস্থায় আমাদের ওর পাশে থাকা উচিত। আজ রাতে থাকার প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে দিই?

কেউ কেউ আপত্তি জানায় – “সবাই মিলে টাকা দিয়ে লজ বুক করা হল, চলে যাব?” উত্তরা বলে, “কেউ যদি চাস, আমি জানিয়ে দিচ্ছি - আমাদের দু-একজন থেকে যাবেন কাল নিজেদের মত ফিরে যাস”

পরদিন বাস-ট্রেকার-ট্রেনের ধকল নিয়ে একা ফিরতে কেউ রাজি নয়। অগত্যা গাড়িতে ওঠাবীণা একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মণিমালার হাত ধরে টানে, “আয় --”

-“না রে”।

-“না মানে? একা থাকবি নাকি?”

বন্দনা, রেণুও বোঝানোর চেষ্টা করে তাকে। রত্না বলে, “তোর সাথে থেকে যেতে পারতাম, কিন্তু কাল ব্রেক জার্নি করে এতটা রাস্তা – শরীর দেবে না। তোরও তো কোমরে বেল্ট। ফিরেই চল”।

তাড়া দেয় উত্তরা, “সময় নষ্ট করিস না – থাকবি তো বল, লজে নামিয়ে দেব”।

মণিমালা অদ্ভুতভাবে হাসে, “তোরা বেরিয়ে পড়”।

শ্রাবণী বলে, “ওর কোন রিলেটিভের বাড়ির কথা বলছিল – সেখানে থাকতে চাইছে বোধহয়। ছেড়ে দে”।

গাড়িটা চলে যায়মণিমালা ভাবে, এত বড়মুখ করে মুক্তির খোঁজে বেরিয়েছিল সে – বন্ধুদের সাথে। পরাজিতের মত ফিরে, কীভাবে দাঁড়াত সে বিভাসের ব্যঙ্গবিদ্রূপের সামনে! মিলল না, এদের সাথেও তার মিলল না। কিন্তু কোথায় যাবে সে এখন? পাশের গ্রামে গিয়ে খোঁজ করবে? কাছাকাছি রিক্সা বা টোটো দেখাও যাচ্ছে না। কোমরটাও টনটন করছে। কমলকাকুদের দোকানে গেলে, ওরা যদি একটা রিক্সা ডেকে দেয়।

পায়ে পায়ে আবার দোকানঘরটার দিকে আসে মণিমালা। সবে ঝাঁপ খুলেছে। কমলকাকার বউমা ধুনো দিচ্ছে।

--“একটু জল খাওয়াবে?” ক্লান্ত গলায় বলে সে।

বউটি একটু অবাক হয়। যাইহোক, তাকে বসিয়ে ভেতরে চলে যায়। একটু পরে জল-মিষ্টি নিয়ে আসে একজন বয়স্ক মহিলা। ঘোমটার আড়াল থেকে বলে – “রানির বোন বটে?”

মণিমালা চমকে ওঠে – “পুঁটিদি! তুমি এখানেই আছ?...”

-“হাঁ ভাই তুই কইরেই বলি? তোরা আইছিলি শুনলমলোকের সামনে বেরাই না তো, তাই আমার কথা ভাজ বলে নাই তখনতা তোরা আপনার জন, বেরাতে লাজ নাই”।

- “কেন... বেরোও না?”

- “পোড়া মুখখানা লোকের কাছে দেখাই না। ... শ্বশুরঘরে পোড়ায়ে মারতে চাইছেল্য।”

- “সে কী!”

- “তাই বটে। অনেক লড়াই কইরে বাপ-ভাই বাঁচায়েছে। তা’পর থিকে এখানেই রইছি...। ঘরে বইসে সেলাই করি, বেলাউজ বানাই। দোকানের হিসাব টুকুন দেইখে দিই। লিখাপড়া তো কিছু করেছিলম”

মণি শ্বাস ফেলে, “তাহলে তুমি তো জিতে গেছ গো”।

-“ওকথা হবে’খন। জলটো খা আগে।... তা আর সকল কই?”

- “চলে গেছে। আমিই থেকে গেলাম। তোমার সাথে দেখা হবে বলেই বোধহয়”- হাসি ফুটিয়ে বলে মণি।

- “তা ভালই করলি বটে। থেক্যে যা আমাদের ঘরকে।...একলাটো ফিরবি কাল অতখানি”?

- “তাই ফিরব। তোমরা একটু বলে দিও, কীভাবে স্টেশনে যাব”

- “ভাই ফিরুক’খন, ওকে বলি। চিন্তা নাই, তোকে সাথ করে যেয়ে টেরেনে তুলে দিবে। আয়, ভিতরকে আয়’খন”।

দাওয়া ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় মণি। এসেছিল সে পুঁটিরানি বালিকা বিদ্যালয়কে নতুন করে পেতে। এখন আর এক পুঁটিরানি আদর করে ডাকছে তাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন