কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

কমলা দাস

 

প্রতিবেশী সাহিত্য

 

কমলা দাস-এর কবিতা          

     

(অনুবাদ : দেবলীনা চক্রবর্তী )   

 



 

কবি পরিচিতি : কমলা দাসের জন্ম ৩১ মার্চ ১৯৩৪ কেরল রাজ্যের মালাবার জেলায়। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কমলা সুরিয়া।পরবর্তীকালে বিবাহ সূত্রে তার নাম কমলা দাস হয়। কমলা দাস স্বাধীন ভারতের একজন প্রভাবশালী নারীবাদী লেখিকা। তিনি মালায়ালাম ও ইংরেজি ভাষায় মাসিক সম্বন্ধীয় , মহিলাদের যৌন জীবন , সমকামিতা , বাল্য বিবাহ এই সমস্ত বিষয়ে নির্দ্বিধায় বক্তব্য রেখেছেন ও লিখেছেন।কবিতা, উপন্যাস,ছোটোগল্প, ফিচার, আত্মজীবনী অজস্র লেখার মধ্যে কমলা দাস রেখে গেছেন সম্পূর্ণ নিজস্ব ভাবনা ও সাহসিকতা এবং যা তাকে এনে দিয়েছে দেশেবিদেশে অজস্র সম্মান।তার রচিত কাব্যগ্রন্থ সামার ইন ক্যালকাটা ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।তিনি ৪২ বছর বয়সে তার আত্মজীবনী এন্তে কথা রচনা কren মালয়লাম ভাষায় লিখিত বইটি পরে মাই স্টোরি শিরোনামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়। তার রচিত সাহিত্যকর্ম ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, রাশিয়ান, জার্মান ও জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। পেন এশিয়ান পোয়েট্রি প্রাইজ, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ইত্যাদি ছাড়াও নোবেল পুরস্কারে বাছাইতালিকাভুক্ত হয়েছে তাঁর একাধিক লেখা।

 

 

ভেসে যাচ্ছিল সে

 

তখন ছিল পাতা ঝরার দিন

আর সে পলকা হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছিল যেন

তার ঝরে যাওয়া জীবনের জীর্ণ হলুদ পাতার মতো

উন্মুক্ত।

 

প্রেম

 

তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমি

কত কবিতা লিখেছি, ছবি এঁকেছি

আর তোমার বন্ধুতাকে সঙ্গী করে কত ঘুরে বেড়িয়েছি...

 

এখন আমি তোমাকে নিজের করে পেয়েছি, ভালোবেসেছি 

আর একটা বুড়ো কুকুরের মতো লেপ্টে আছি তোমারই জীবনের সাথে...

 

কীট

নদীর ধারে সন্ধ্যা নেমে এলো,

কৃষ্ণ শেষবারের মতো তাকে ভালোবাসলো ও

তৎক্ষণাৎ তাকে ছেড়ে চলে গেলো

 

সেই রাতেই...

রাধা স্বামীর দু'বাহুতে নিবিষ্ট হয়ে পড়েছিলো

আয়ান তাকে প্রশ্ন করলেন...

বিরক্ত লাগে না তোমার?

আমার এই চুম্বন, প্রেম, আদর তোমাকে পীড়া দেয় না?

 

অস্ফুটে রাধা বলেন...

না, কখনোই না

 

কিন্তু মনে মনে ভাবলো

কী এসে যায় একটা মৃত শরীরের, যে কোন একটা কীটের দংশন!

 

বৃষ্টি

 

প্রিয় কুকুরের মৃত্যু ও শেষকৃত্যের পর

আমরা ছেড়ে এসেছিলাম আমাদের পুরনো অকেজো ঘর  

দু'দুবার ফুল ফোটা গোলাপ গাছ পর্যন্ত উপড়ে নিয়ে এসেছিলাম গোড়াশুদ্ধু

বই, কাপড়, আসবাব-চেয়ার সমেত সবকিছু নিয়ে

তড়িঘড়ি বেড়িয়ে এসেছিলাম সেখান থেকে

 

এখন আমরা একটা নতুন ঘরে থাকি

যেখানে ছাদ থেকে জল ঝরে না

কিন্তু বৃষ্টি হলে শুনতে পাই

বৃষ্টি ফোঁটার শব্দ

 

আর দেখতে পাই

সেই পুরনো খালি ঘর

বৃষ্টিতে ভিজছে আর আমার প্রিয় কুকুর  

শুয়ে আছে, একা

 

 

2 কমেন্টস্:

  1. খুব ভালো অনুবাদ ও কবিতা চয়ন 👍, কীট কবিতাটি অনবদ্য

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনার মন্তব্য আমাকে প্রেরণা দিলো ❤️❤️🙏🏻😊
      ধন্যবাদ অসংখ্য 🌹

      মুছুন