কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

ক্রিস্তিনা পেরি রোসসি


প্রতিবেশী সাহিত্য



ক্রিস্তিনা পেরি রোসসি’র কবিতা       

(অনুবাদ : জয়া চৌধুরী) 




পরিচিতি : ১৯৪১ সালে উরুগুয়ের মন্টে ভিডিও শহরে জন্ম হয় লেখক অনুবাদক ক্রিস্তিনা পেরি রোসসির। ৩৭টি গ্রন্থের প্রণেতা এই মহিলা সাহিত্যিক ১৯৭২ সালে সে দেশের মিলিটারি শাসনের সময় পালিয়ে যান স্পেন দেশে। ১৯৭৫ সাল থেকে সেখানেই নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বার্সিলোনাতেই থাকেন ও কাতালুনিয়া রেডিওতে সাংবাদিকতা করেন। ২০০৬ সালে রেডিওয় কাতালান ভাষার বদলে স্প্যানিশ ভাষা বলার জন্য তাঁকে চাকরি  থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং তারপরে বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে সসম্মানে ফিরে আসেন পুরনো চাকরিতে। ২০০৪ সালে লেখা ‘এস্ত্রাতেখিয়াস দেল দেসেও’ বা ‘কামনার স্ট্র্যাটেজি’ উপন্যাসটি ইংরিজীতে অনুবাদ করেন লেখিকা তাতিয়ানা দে লা তিয়েররা।  



CRIANZAS (লালনপালন)

 


বরাবর ভাবি আমার মায়ের বয়স পচিশ বছর (মায়ের যে বয়সে আমি জন্মেছিলাম)। সেখান থেকেই, মায়ের ছেঁচড়ে হাঁটা পায়ের আওয়াজ শুনলেই আমি রেগে উঠি। মুরগীর মত কোঁ কোঁ করা, খুক খুক কাশির আওয়াজ কিম্বা বুড়িদের মত সারাক্ষণ চিন্তা করতে দেখলেই রেগে উঠি। বুঝি না কেনই বা একটা মানুষের পঁচিশ বছর বয়সে কেন গায়ের চামড়া কুঁচকে যায়, আর আমার কাছে এটারও ব্যাখ্যা নেই, কীভাবে বাচ্চাদের মতন এত তাড়াতাড়ি শুতে চলে যায়।

 


কোন ভয়ঙ্কর প্রাঞ্জল মুহূর্তে আমি যদি নিজেকে সাবধান করি যে, মা বুড়ি হয়ে  গেছে, সেই আবিষ্কারটা আমার হাড় কাঁপিয়ে দেয়। তক্ষুণি আমার মনের আলোকপ্রাপ্ত জ্ঞান থেকে কথাগুলো এমনভাবে বাদ দিয়ে দিই যে, পরক্ষণেই মায়ের সেই পঁচিশ বছর বয়সটা ফিরে আসে।

 

সারাক্ষণ মা আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, যেন আমি একটা বাচ্চা মেয়ে, যে কারণে ব্যাপারটা আমরা নিখুঁত ভাবে বুঝি।

 

বড় হবার ব্যাপারে জোরাজুরি করছি না। কেননা আমি জানি এটা বেকার ব্যাপার। আমাদের দুজনের জন্য সময় থেমে রয়েছে। জগতের কোনকিছুই তাঁকে দৌড় করাতে পারবে না। পাঁচ বছরের ভেতর আমি মরে যাব, আর মা পঁচিশেই।  আমাদের শবযাত্রায় বুড়ো বাচ্চাদের আর সেইসব বাচ্চাদের একটা বিরাট দল হাঁটবে, যারা কখনও বড় হতেই পারে নি। 





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন