কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত


অন্ধকারে 

অন্ধকারে
 কার মুখ দেখলে তুমি ঝোপের ওপরে
এক ঝলক হেড লাইটের আলো গাছপালা ছুঁয়ে
স্থির হয়েছে এখন গাড়িটা দাঁড়িয়েছে মাঝরাতে
এই গঞ্জ এলাকায় সার সার বাজারের চালা
গণিকাদের ঘরের কোলাহলও থেমে গেছে
এতটাই রাত্তির
 
অন্ধকারে কার মুখ দেখলে তুমি
থামালে গাড়িটা
নেমে আসছ ড্রাইভারের সিট থেকে
গোটা ড্যাশবোর্ডে লাল সাদা সবুজ নানা আলো উজ্জ্বল কাঁটা
স্টার্ট বন্ধ করোনি তুমি
এতটাই ভয়
অথচ কৌতূহল জমেছে মনে
একটাও আলো নেই কোথাও শুধু গাড়ির হেড লাইট জ্বলে
 
তোমার ছায়াটা ক্রমশ লম্বা হয়
তুমি বুঝতে পারছ গাড়িটা চলতে শুরু করেছে
কে বসেছে স্টিয়ারিং এ
কে কে কে সে
অজানা আতঙ্ক এক
নাকি মনের ভুল সবটাই গাড়িটা স্থির মন অস্থির

 
মধুমিতা
 
অনেকদিন তোমাকে দেখি না মধুমিতা,
আজও কি আগের মত অভিমানী তুমি,
একছুটে পেরিয়ে যাও পাহাড়ের উৎরাই?
 
অনেকদিন কোথাও যাই না মধুমিতা,
তোমাকে ছাড়া কোথাও ভালো লাগে না।
 
কেমন আছো আমাকে ছাড়া? আজও কি
স্বপ্ন দেখ আগেরই মতো? নাকি জলের
অক্ষরে কবিতা লেখ আকাশের গায়ে?

অতলান্ত থেকে
 
এই রাত্তিরে অন্ধকারে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে
 সে.
অফিস ফেরতা যুবক এক- সিদ্ধান্ত অনু্যায়ী চলেছে
এই অন্ধকারে;
 পাতার নিচের অন্ধকার আর আলোর জাফরি
বেয়ে চলেছে সে। মেয়েটাকে খুঁজছে যাকে তার খুব ভালো
লেগেছিল। মেয়েটিকে খুঁজছে আর দেখছে কোন অ্যাপার্টমেন্টে
আছে সে। স্নান করছে। টেলিফোন করছে। কড়া আলোর
সামনে দাঁড়িয়ে এইসব করছে সে। সে মানে মেয়েটি।
 
তার ছায়া পড়ছে গাছে। যুবকটি দেখছে এই এলাকার
সমস্ত নাগরিক নিয়ে অ্যাপার্টমেন্টগুলো ক্রমশ
তলিয়ে যাচ্ছে গভীরে। সমস্ত গাছে গাছে আকাশে আবছা
ধোঁয়ায় ফিল্মের প্রোজেক্টরের মত বাড়িগুলোর আলো
দেখিয়ে যাচ্ছে মানুষেরা কি করছে। এই সমস্ত নিয়েই
তলিয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা বাড়ি অতলান্ত গভীরে।
 
সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবক এক আজই। সমস্ত তলিয়ে গেলে
ধ্বংসস্তূপ থেকে সে খুঁজে বের করবেই মেয়েটিকে।
জীবন্ত।
 অতলান্ত থেকে।  



 

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন