মাছ
বাকি ইস্তাম্বুলে, দিয়ে বললাম। কী দিলাম
আমি, কী দিতে পারি যখন ট্রাম্প আর পুতিন মাছ ধরছে। কুয়াশা থাকায়, দিঘির একটাই রঙ। মাঝে মাঝে ধাক্কা দিচ্ছে শাদা
হাঁসেরা, কুয়াশাকে।
রাজহাঁস, সঙ্গে দিঘি। অপেরামেরুণ বলশয়, আমি
তার কাছে কয়েকশো হাঁসের জলছবি নিয়ে, প্লেন ড্রেসে, যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে আমি
স্বপন। আমার বাড়ি খড়গপুরে। আর আমি মাছ খেতে ভালবাসি। ট্রাম্প আর পুতিন মাছ ধরছে।
ওডেট আর ওডিলও এল। একই নাম, সেই কবে থেকে। আমি পাল্টে দিলাম। হিয়া আর চূয়া।
ওরা খুব খুশি। আমায় প্রিন্স ট্রিন্স ভাবছে না তো? বলে দিলাম, আমি ইস্তাম্বুলে চলে
যাবো, তার আগে হাঁস আর দিঘিটা মেপে নিচ্ছি। ট্রাম্প পুতিনকে কি যেন বলছে। নাক ডাকা
নিয়ে। পুতিন হাসল। নাক নিয়ে কোন সমস্যা নেই, রাশিয়ার। চাইকোভস্কি জাগিয়ে রাখবে।
সরু সরু আত্মহত্যার রেশ বলশয়ে। হাঁসেরা
রাজপরিবারে উড়ছে। মাছ ধরার ছিপে চারা পুঁতে দিচ্ছে নুডলসবিহারী লালঝাণ্ডা।
ব্যালেরিণা, ফুটে ওঠার প্রকাশ দিল। নেভানিভু
বলশয়ের শিহরাতুর চেলো, অনাদি ভায়োলিন, শরণাগত পিয়ানো। মাছের সাঁতার
ব্যালেরিণার পায়ে। ট্রাম্প, পুতিন, স্বপন, নাজমুল, পিওতের, স্তেফান। কোনো মানে
নেই, নামগুলো চলে যাচ্ছে এখন। রাত হল। খিদে বাড়ল মানবজাতির।
বাকি ইস্তাম্বুলে। কবিতাকে নিয়ে পালাচ্ছি।
কবিতা ব্যালেরিণা। কবিতা মীণ। কবিতা শিকার। ইস্তাম্বুল একটা জায়গা। উচ্চারণ করতে
ভাল লাগে, তাই...
কাশ
অন্য তার মনস্কতা। ঝিলের ওপরে পাখিভাঙা আসর,
রিড রিড জলবাহার হতে পারে। বা ইলেকট্রনিক মূর্ছা সেজুঁতির ডান গাল ছুঁয়ে। কালকের
বৃষ্টি আজ বর্ষা হয়েছে। মনস্ক তার কাটুমে চিবুকপানা ডৌল, বাসের জানলায় টিট্টহি
টিট্টহি
তার নাম কীভাবে মন খুলে দেবে। নাম একটা
প্রতীক। মন প্রতীকের কেউ না। দূর দূর অবধি কেউ না। নামের ভেতরে মন নেই, মনের শুধু পড়ে যাওয়া নাম,
খালবিলে, মদের দোকানে, সব্জির ঝাঁকায় এত নাম, একটিই সেজুঁতির।
কে, জানি না।যখন সেঁজুতির নাম হচ্ছিল বাসের
জানলায়, সেঁজুতি কারো নাম নয় এই প্রচারও ছিল টায়ারে টায়ারে।
চাপা একটা চিৎকার ঘনগহনমোহে পড়ে রইলো
অনেকক্ষণ
কাশ এভাবেই হয় শাদা, সব রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার
পরে...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন