কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

বেবী সাউ




রাত্রিমথ



(১) 


আবার জাগাও রাত্রি, সেভাবে বিপুল গোলক অঙ্কন শেষে 
বারবার ফিরে আসে নিগূঢ় অথচ কল্পনার হত্যাকারী
চারিদিকে কেঁপে ওঠে অজস্র ভৌতিক নিশিডাক সাদাদেহ
যারা হত্যা করে চলে দুহাতের ঘর
একহাতে বৃক্ষের সার
শয্যা পেতে ধরে সেই শেয়ালের দল, ঘুমন্ত অথচ শিশু
নিষাদ দুপুর এসে মৃত বলে তাকে জারিত ক্ষুধার লোভে
তক্ষকের কালরাত্রি। এসো হে নিবিড় দিশাহীন অন্ধকার
সমস্ত পৃথিবী মৃত। এসো রাত্রি! এসো! লোভাতুর রাত্রিডাক 


(২)


স্তব্ধতা ভেঙেছে দেখো, পৃথিবীও বুঝে গেছে রক্তের তীক্ষ্ণতা
চার্বাক নেতার মতো ক্ষয়হীন হাতে সেই তীব্র অন্ধকার
কিলবিল করে ওঠে মণ্ডপের কারুকাজে যৌনশোক; ক্ষুধা।
হাঁটু গেড়ে বসে আজ সে মাতৃকাশক্তি তার চোখে দেখো আজ
কী অসীম ক্ষুধা! তৃষ্ণা! ঘাতকের বেশে ঘোরে; সাংকেতিক লোভে
বারবার বলে, শিশু রক্ত দাও! স্নান করি! কত ক্লান্ত দেহ
নির্বাণ সাধন ভেবে সমস্ত ক্ষুধিত মাটি বসন্তের লোভে
রক্ত চেটে ফেরে; আর অসাঢ় শিশুর দেহে লেখে 'জিতে গেছি'


(৩) 


অবসান নেই কোনো! তাও ভীতুমন এই মাতৃস্নেহ পেতে
আলোর দেশের এক সরল সহজ গল্প ফেঁদে বলে-- 'আয়!'
বিশ্বাস করেছে দেখো! 'রাজপথে রক্ত দাগ নেই আর বাছা
ফুলে ফুলে ঢেকে গেছে দানবের দেহ' সেই বাগানের মাটি
রূপকথা ভেবে সব শিশুমন পিতাদের চোখে চোখ রাখে

নির্বাক পৃথিবী ভাবে; জন্ম হলে মৃত্যু আসে প্রাকৃতিক ভাবে
প্রভূত রক্তের দাগে শুধু স্নেহমন আলো হারিয়ে ফেলেছে

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন