কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল




চাঁদবিল

খানাখন্দ নিয়ে বিলাপেরর শেষ নেই পৃথিবীর সব
উজ্জ্বল তারার কলঙ্কলেপা সন্ধের বাতাসে কারুকাজ
মাখাই, মাটিকে মাটি দিয়ে ঘসতেই ছায়া এসে ধাক্কা মারে
সুর নেই ছন্দ নেই, আশ্রয় ঘিরে থাকে সবুজ সরীসৃপ
সবই ছুঁয়ে আছি এই শরীর, বিষাদের উত্তাপ আর কালোমেঘ
চুপচাপ হাঁটছি শালুকফুলের আঁচড় নিয়ে, এই চাঁদবিল-


উপত্যকা

পথে এত যুদ্ধ, সারাদিন শালিকপাখিও বিচ্ছেদ নিয়ে
খালপাড়ে বসে থাকে একা - তবুও ওপারের দূরত্ব নিয়ে
এগিয়ে চলেছে সুখের বিনিময়, বুড়ো বটগাছের
ভাঙা পাঁজরের ছায়ায় হাসতে কাঁদতে হারিয়ে যাচ্ছে
মেঘকালে, আর তিনিও খালের মরে যাওয়া দেখতে দেখতে
প্রসারিত করেছেন শাঁখের আওয়াজ


ক্ষত

কত ঋণ জমে আছে কাকঋতুর বিকেলে, জানলার
আকাশে সে ঠুকে যায় ঠোঁট - এপাশে আমিও কাকের ডাক
মুক্তি চাই না কোনোদিক - প্রতিবেশী দৃশ্য আঁকে অতীতের
অন্ধকার মায়ায়, জল পড়ে নিতান্তই ক্ষীণ, স্নানের কলায়
কেবল ইশারা - গৌতমের কালো বউ নিয়ে যায় ঘুমের পাতা,
তারই গুনগুন শব্দে কাঁচপোকায় মিশে থাকে ব্যাকুল আয়ু-


বিষাদ

একটা স্নানাগার ভেসে বেড়ায়, সূর্যাস্তের কাছাকাছি
সন্ন্যাসী রঙের কাছ দিয়ে ভিজে যায় সারাদিনের বিষাদ
পাখনা ঝাড়া সময় নিয়ে টলটল করে ঝিলের জল-
স্নানঘর মানেই নিজেকে দেখার একমাত্রিক পথ
পানকৌড়ির চক্ চকে শরীর নিয়ে যতই অহংকার করুক
আকাশ, আত্মকথায় জুড়ে থাকে বিস্তারিত দিগন্ত


নিঃশ্বাস

নাক বরাবর ঝরে পড়া জলফোঁটার দিকে তাকালে
কেন যে মাছিটা নাকের উপর ভনভন করে,  আর
হাত নেড়ে তাড়াতে চাই দুর্গন্ধের ঝিঁঝিঁ আওয়াজ
হাতছানির কাছাকাছি পিচ রাস্তার গর্ত থেকে
নিশ্চিত পতনের অস্বস্তিকর বাতাস ফিরিয়ে আনে
নিঃশ্বাস, মেঘ আর সূর্যের দো-টানায় ঢেউ মাখে জীবন


সামগান

নির্জনতা প্রার্থনা করি বারবার, পথের দুপাশে
শিশু আকাশমনিও আমার সাথে একমত- স্নায়ুতে
জমা হতে থাকে মাথার খুলির মতো নীল রং - হাঁটি 
আর লুপ্তপ্রায় নয়ানজুলির পচাজলের শালুক
মহাশূন্য নিয়ে টান মারে লোমকূপে - সামগানের জানলায়
নিজেকে নিয়ে ঘামছি আর নিচে মাছ ভুঁট দেয় -

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন