ঋতু - তুমি সম্পূর্ণ হয়ে
ওঠো
পরিচিত ঠোঁটের পাড়ভাঙা অবয়বে
এখন নৈর্ব্যক্তিকতার ট্র্যাজিক মৃত্যু জ্বর
অভিপ্রেতের বিপরীত বিন্দু থেকে জীবন শুরু করতে চাওয়া... প্রতিটি
সম্ভাব্য দিনের ক্যানভাসে জ্বলে ওঠা ফিনিক্স হিসেবে চিহ্নিত হলেও... এ ভাবেই আসলে নির্মাণ হয় আলো, অথবা নৈঃশব্দের ছায়াহীন স্থির দৃশ্যে, তৈরি হয় বিস্তৃতির মেলাঙ্কলিক স্মৃতিঘুম
অপ্রকল্পিত
অপরূপের থিম্যাটিক বীজক্ষেতে ধরা দেয়
মন্টোভানির অর্কেস্ট্রা আর ব্যাখ্যাতীত ঈশ্বর জন্ম
অপরিমেয় উত্তরবাদ
অধিকারের কন্ঠমাত্রা বেশিদূর ছড়ালে
বাঁধন বিহীন ভালোবাসাও শীতল স্থিরাঙ্কের মোম-স্কেচ তৈরি করে
বসন্ত
ও শীতের অন্তর্বর্তী ইমন জুড়ে
ধৃতিযোগ্য বিস্মৃতির রাজত্বকাল বাস করে... একথা জেনেও
খিদেজন্ম এবং যাবতীয় আত্ম-সংঘাতকে বাঁচিয়ে চলি
বুঝে নিই
চেনা মেঘ অচেনা হয়
সৃজিত অন্ধকারে প্রচ্ছন্ন ব্যথায়... সময়ের নিষণ্ণ সঞ্চারপথে
যেভাবে ফুটে ওঠো তুমি... আমার ঠোঁটে
সময়ের কারুকার্যময় ত্বকে
এখন প্রথম স্নান শেষের গৃহস্থ আদুরে পতঝর
বিদ্যুতের তারে অবনত মেঘ জমিয়ে রাখার পর
বাসন্তী প্রহরেও অহরহ পুনর্বাসনের অনুষঙ্গ মনে পড়ে
ঈশ্বরের মুখোশ পরা আদতে শয়তান মানুষগুলির
আনখশির অঙ্গুলি-বিতান সম্পর্কের প্রস্থান চিহ্নিত করে
তুমি ফিরবে না... একথা জেনেও
কার্পাসের টানে খুলে ফেলি চিন্তনের ছায়া-বিকেল
সহস্র স্নায়ু পেরিয়ে চলা এ অমোঘ সিঁথি-মোড়ে
অনিচ্ছার পাশাপাশি বাস করে... যাপিত স্মৃতির আলটুসি
আলোসাম্পান
ইলিউশন
তোমায় ছুঁতে চাইলেই দূরে সরে যাও
দেওয়ালে মুখ ফিরিয়ে কী যেন বলতে থাকো... নিজের মনে
ক্রমিক সংযম মেপে আমিও দূরে সরে যেতে থাকি...
প্রতি রাতে প্রত্যাখ্যাত হবার নীলাভ ভয়ে
আমিও মানুষ...
নির্বিকার ঔদাসীন্যে ভুলে যাও একথা...
ব্যর্থ অভ্যুথানে শরীরের অব্যর্থ উচ্ছ্বাস স্তিমিত হয়
বীর্য নয়... ভালোবাসা আদতে বেঁচে থাকে স্পর্শের স্বচ্ছ
সমর্পণে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন