কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

পিয়াল রায়

রাত্রি উপাখ্যান 


 ()


নাহ, ঝুঁকে পড়া হলো না  অথচ মাথাটা একটু নুইয়ে নিলেই হতো পার্থিব  লেনদেনের এই ছায়াচিত্রটিকে সর্বদাই বকোয়াস মনে হয়েছে আমার সে কি আমার দোষ? আদিম আচ্ছন্নতার ঘোরে চিৎকৃত মগজের কাছে প্রশ্ন রেখে পেয়েছি শুধু নেশাতুর অভিমান যার কোনো ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে খোঁজার চেষ্টাও করিনি প্রেম তো যখন তখন শরীর ঘেঁষে শুয়ে পড়ার কাঙ্ক্ষায় আঙুল মটকায়  চোখে তৈরি করে বুঁদ বুঁদ প্রতিশ্রুতি না হে, ব্যাপারটা এত সহজে নিষ্পত্তি হওয়ার নয় প্রতিটা মাঝরাতে লাল আলোর একটা আধিদৈবিক আধিভৌতিক অধিগ্রহণ আছে হৃদয়ের কিবা প্রয়োজনস্বপ্নগুলো আড়মোড়া ভাঙুক আমরা বরং হেঁটে আসি... পায়ে থাক অভিজাত নগ্নতা 


 ()



প্রতিটা প্রদীপই শেষপর্যন্ত নির্বাণে পৌঁছবে কিনা বলা যাবে না হিংসা কাউকে কাউকে নিয়ে যায় অনেকদূর  আমি সেই রাস্তাটা খুঁজি দূরে কাউকে গান গাইতে শুনলে পাথর হয়ে বসি টিলা জুড়ে রুক্ষতার ধোঁয়াটে নিঃশ্বাস নিজের চোখের দিকে তাকাই পুরুষ্টু বুকের দিকে ঊরুদ্বয়ে লুকিয়ে রাখি স্বচ্ছ হিমবাহ এগিয়ে আসা ধারালো হাতগুলোকে বলি, স্পর্শ করো! প্রেম, বিশ্বাস, ভরসার মতো জলো পানসে শব্দগুলো ফেলে একটা ছায়া ভেসে ওঠে কালো জলে অজ্ঞাতে কারা যেন খুলে ফেলছে জামাকাপড়  তাদের খোলা পিঠ একের পর এক আত্মহত্যা লেখা হচ্ছে হিংসা কাউকে কাউকে অনেকদূর অবধি নিয়ে যায় নাঙ্গা মাত্র কয়েক  হাজার বছর আগেও মানুষ জানতো, প্রতিটি প্রদীপই নির্বাণে পৌঁছয়

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন