মাধুকরীর কড়ি — ১
খিল্লি চাপিয়ে দেয় গরম গরম মানুষ মেঘেদের
         এসেও ফিরে যায় কিনা না হেসে
 আদরে বাঁদর করেছে দিদিমা বাতাস আর
ফিঁয়াস তাপমাত্রা
              উড়ে ঘুড়ে দিওয়ানা ফেরার
       কোথাও গাভী বলছে শুনেরা শুনেরা
                       বৃষগুলি আলসে
ভাঙছে টান করা শরীরে
  কোথাও রিদম্ নেচে নেচে লম্ব বনাম
সমান্তরাল
                   বিন্দু ভর্তি
মোজাইক মেঝে
         তো, আসুক পা গরম মানুষের
                     পাদোদকে তিয়াস
মেটাক নরম-সরম মানুষ
      শেষে তারাও খিল্লি করবে
বরাতলিপিকে
            আহা একটা ঢেউ উঁহু একটা ঢেউ 
                          নিজেদের
মধ্যে খেলতে খেলতে শনিবার করে ফেলবে
        মেঘেরা বাঁক-বওয়া দুলকি চালে
গান গায় না নাচে
                  নাকি গরম মানুষের
পাড়া থেকে চলে যায় নরম মানুষের পাড়ায়
              আজ ওখানেই ওরা হাসবে
তবলা লহড়ায়...
মাধুকরীর কড়ি – ২
রোদগুলোকে শুকোতে দাও -- বাক্যের মোহ থেকে
              এক একটা তীর্যক রোদ ছুটি
চাইতে পারে
ক্ষুদিরাম ভাবনারও কিছু মোহ সর্ষেফুলে চোখ ধাঁধানো
               সেখান থেকে একগুচ্ছ
সুতো গিঁটছাড়া হতে চাইতে পারে
চাওয়াটাই বারান্দা খুলে দেয়, খুলে দেয় বাইরে যাওয়ার গেট
               চেয়ারের হাতলদুটো উড়তে
শুরু করে
ইসকাপনের বিবি হরতনের বিবিকে নিয়ে মধু-চাঁদে যায়
আলেয়াকে লেহায় দেখা হোক, লেতি ছাড়িয়ে দেখা হোক
               ভ্রমের চেহারা বদল হবে
পথিকের চোখে
পথিক কি আজও মেলে বিদিকে, শ্রাবণ যদিও বেশ বোঝা যায়
               কারো কড়া নাড়ার বিকল্পে
ডোরবেল গান হয়ে ওঠে
ফেলে আসা বারান্দার আঠা বেরিয়ে আসায় চিপকে থাকে
                বাইরের গেট তাকে
হিঁচড়ে আলবিদা
কলাবতী ফুলের লাল হলুদ শাল পিয়ালে সবুজ মাখায়
 
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন