উমাপদ কর
বৃত্ত
বাঁক নেবে? অবাক হবে।
ভোর ভোর সুতো ছাড়তে
ছাড়তে এই অশালীন দিন
যদিও আলো আর পরাগ
কামুক, পরিধির মূর্ত
বাক ভরা অসহ্য তামাম
ফুরিয়ে আসার আগে
কিছুটা জানান কেন্দ্রের
গোল সভার দিকে ছুটে
যাওয়া একখানি তারা অপেরা
স্খলন পতন ব্যাস
জুড়ে ও মাটি মাটি মাটি...
আবারও জল হয়ে যাবে
হয়তো বাসনা অথৈ
সম উঁচু নীতির পায়ে
এসে দাঁড়াবে জলপান
অঞ্জলি গোটাটা খুলতে চায়
না কিছুটা লজ্জা
তবু পান অধরার হাতে
ধরে পার করে দেয় কামনার খেয়া
মৃতের পাশে এসে শোক
ভুলে যাওয়া একটু রুমাল
সন্ধ্যার পাশে এসে
খুলে যায় বাঁশবন অথবা বাঁশকাটা শব্দ...
অবাক নিজেই বাঁক
নিয়ে নেয়।
সম্মোহন
যা হোক একটা পাতাল
জড়ো হচ্ছে আকাশের ঠিক মাঝখানে
একটা আধ-চাঁদ কপাল,
ঝুলে পড়া টিকলি
এ পর্যন্ত বর্ণনায়
কোনো রিদম্ দেখা গেল না
অলৌকিক হতে হতে
অলৌকিকও বুঝি হাতছাড়া হয়ে গেছে।
সাবাস বললে ফসফরাস
জেগে ওঠে, যদিও নিস্প্রভ মনে হয়
কিছু স্বেদ-বিন্দু
জমে থাকে তারও কপাল জুড়ে
আর মন কেমন করার
কিছু সুলভ বিজ্ঞাপনে
হাড় মাস জ্বলে যায়
অবান্তর ভাবনার গা-উজাড় মজলিশে।
ভাবতে ভাবতে
প্ল্যানচ্যাটে বসা কয়েক বন্ধুর হাতে মাকড়সার জাল
যে ছিল প্রভাহীন আজ
যেন পড়েছে রেশম
নিভু হয়ে আসা মোমে
কেউ আর কাউকে দেখছে না
শয়তানের পা-পোষে এসে
মাথা চুলকোচ্ছে আজীব বেড়াল
এইমাত্র, ছত্রাক
ছড়িয়ে পড়তে পড়তে খুলে যাচ্ছে প্যারাসুট
অবাক এখনও অনেক বাকি
থাকতে গুটিয়ে নেয় লতাগুল্মের লাজ...
অধরা আকাশ
নিভু রাত আগুন পায়
না
ভেবে নেওয়া সংসার জল
দাঁড় কাঁপানো টিয়া
ইষ্ট নাম জপতেই থাকে
ভুলের মাশুল তাকে একদিন দিতেও হতে পারে
সাবানে মিশেছে সকাল
এখন গলতে শুরু করবে
ফেনা ধরেছে কিরণ
প্রতিফলিত ডায়মন্ড
টানা তুরপুনের শব্দে
হিসেবি দিনও কেমন
চটুল বাতাস বইয়ে
দিচ্ছে ফুল জন্মের বাগান
সরা ঢাকা যৌনতা
ছটফটে বিকেলের ভ্রমর ভ্রমর
বিবাগী করেছে
রুমালের কোণা
ভিজে উঠবে
গার্হস্তের শুকনো আসবাব তৈযষপত্র
ভেসে যাওয়ার আগে ওই
নেমে আসছে পাতাল
তুলির টান যে পর্দা
তুলেছিল চোখের তারার
সে এবার আগুনের
ফুটকিতে ভরে দেবে লক্ষ তারার সংসার...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন