কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

১২) তোফায়েল তফাজ্জল



তোফায়েল তফাজ্জল 

ক্রোধ

ক্রোধ আর বিষধর স্বভাবে সমান
কখনো অন্যকে কাটেবেখেয়াল হয়ে নিজেকেও 

এটি আগ্নেয়গিরির লাভা –  লক্ষণ ফুটতেই দেহে
ধৈর্য মাখা জলবাযুর হিসেব জরুরি।


সূর্যমার্কা সহযোগী শব্দে সায় দিলে 
ঢোলের দ্যোতনা বুঝে সমুদ্র নাচুনে হয়ে ওঠে,  
ফেঁপে হয় কোটি কোটি মুড়ি ধরা হিংস্র,
অমানিশা বা পূর্ণিমা তালে-বেতালে বাজালে সাপুড়ের বাঁশি 
নৃত্যপায়ে স্থলে ওঠে লবণ দ্রবণে,
আড়ে গেলে স্থলভাগ – বিপরীতে থাকা সিংহভাগ। 

এর অছোঁয়ায় যদি চাও বাঁচার প্রেরণা
ভোঁতা করে দাও ক্রোধ
লন্ড্রির গরমে ফেলে সোজা কর অসাধু চরিত্র,
স্বীকৃতি বাড়াও অভয়ারণ্যের।


ব্যাটবল

এক ঢিল ছোঁড়া কম দূরত্বে  সটান দাঁড়িয়ে  
পূর্ণিমার ষোলোকলা শিউলি-আলো
ভাবানুবাদের শুচি শ্রমে লেগে আছে
দৃষ্টিকাড়া সমূহ অঙ্গের পরিচয়ে।

মেঘকে পাঠিয়ে চুলে স্পষ্ট করে ময়ূরী সাজের বড় অংশ,
দেশি পেয়ারা বা আপেলের উপহার সন্তর্পণে 
উঁকি দিয়ে ইতিউতি করে 
উঠতি ইচ্ছে আছড়ে পড়া কূলে,    
ইঙ্গিতে বোঝায়, অদূরে খেলার মাঠ
যেখানে সুযোগ, ব্যাটবল চার বা ছক্কার মারে!  

আমার লক্ষ্যের চিত্রাজাত বাচ্চাটি 

অসমান কথার আঙ্গুল পুড়ে পুড়ে 
 আমার লক্ষ্যকে বানায় আলুভর্তা 
পাত্রে অপাত্রে উঠিয়ে দিয়ে 
 টিকে বোঝায় মুখের লালাথুথু। 

রসিক টেবিলে স্থান পায় 
ভানুদার কৌতুক হিসেবে।

কারো কাছে ধরা পড়ে নাক ছিটকানোর অনুবাদে,
কোথাও বা হেয়ালিপনার ছাগী বাচ্চা 
যা আমার কাছে ঘাস খেতে থাকা হরিণী শাবক। 

তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের তাড়া খেয়ে 
আমার লক্ষ্যের চিত্রাজাত 
বাচ্চাটি এখন 
লতাপাতামুখী না হয়ে ক্রমেই অন্তর্মুখী। 

মানুষের মন কেন সরু গলিমুখী,
আলো বাতাস ও পানি নাগালে না পাওয়া 
বৃক্ষের শিশুর মতো শুকিয়ে শুকিয়ে--!  

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন