ইন্দ্রনীল ঘোষ
দীর্ঘই
মীড় মাহিয়ার রেটিনা-কাটা ধান
তার অঘ্রাণ
এরোপ্লেন বানাতে বাধ্য করলো
যখন সব ক’টা কাগজে যাত্রী উড়ছে
তোমরা কবিতাকে চেনো
ওই যে প্রাচীন ফুসফুসের লম্বা ছায়া পড়েছিল
তোমরা সেই দীর্ঘই-এর ভাঁজ করা বুদ্ধকে চেনো
তার আঁখির হোঁচট হচ্ছে পিলসুজ
জ্বালিয়ে দাও জ্বালিয়ে দাও
যা কিছু দেখলাম এ’ জীবনে
তুমি এসো
তুমি এসো – এই মার্বেল ধ্বনি,
টুকরো গীর্জা হয়ে যাচ্ছে অন্ধদের...
যেভাবে মাছের ভাষা ঘড়ি হয়ে দীর্ঘকাল হলো
চাপ চাপ রোদ জ’মে আছে
শীত-মিলের
ভিতরে উড়ন্ত ওয়ার্কার
বেরোতে পারছে না
শার্সি তুষার তার সাইরেন
কেউ শুনতে পাচ্ছে
না
নিহত ধাতুতে সেই গন্ধ চিৎকার করছে দীর্ঘতা
আমি একটা ফোক-টেইল ধরাই
আগুন জ্বালাই
মকবুল শব্দের পাশে ভিখিরীর ছেড়ে যাওয়া উষ্ণতা –
একই চপ্পল কেন বারবার স্বাধীনতার স্বপ্ন পায়ে দ্যায়?
শীতের মাছ জোট বাঁধে পৃথিবীর দিকে
এত মাছ, শারীরিক রাত হয়ে উঠছে জালে –
সেই রাতে
তারাদের বরফ
গুছিয়ে দিচ্ছ তুমি
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন