কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

১৯) খায়রুজ্জামান সাদেক



খায়রুজ্জামান সাদেক

 
দেবী-চম্পক জ্যোৎস্না
 
অভিলাষী ভাবো, কোনও জ্যোৎস্না ছাড়াই নির্ঘুম রাত যায়
গাড়ি ছুটছে আর লাগামহীন শব্দেরা পাথরে ঘসে উঠছে
অন্ধকারে দেখা যায় ভালো খোপ খোলা আলো, ফিসফাস
আজ একটি দিন সেই সকাল থেকে ছুটছে, তাকে দেখে
আয়ুধ গুড়ো চিনি গলে পড়ছে মিষ্টি গালের পরতে পরতে
তুমি জ্যোৎস্না হয়ে আজ রাতে সো শখের বারান্দায়
ঘুম ছিনিয়ে নিলে দুঃখ থাকবে না, অনেক ঘুমের দেশে
তোমার প্রিয় রঙ বেছে বেছে তোমাকে দেব হে দেবী-চম্পক
ঈশ্বরের খোলা বাড়িতে নামতা পড়া শেখা হবে আজ



রাত থাকে শিশিরের

পরাগায়নের পর লতাগুল্মও একটু এদিকে ঝোঁকে
পাতার হরিত অহংকার থেকে ডানা মেলে রোদ
তুমি তার খোপ খোল ধারালো আলো - উৎসমুখ
পরিমিতির একটু খেলা বেশ বোধের তলোয়ার
বালুকার আকার চকমক রেণুতে উড়ে যায় ত্রাস

একটু এগোলে পরে আরও কিছু থাকে পিছুটান
সেখানে জমে কিছু পিতলের প্রেম, সটান হৃদয়
আলগা বাতাস তার খেলে খোলা পাতার মঞ্জরিতে
আগাম না বলেও আগামীর কিছু আগাম বলে
বেলা বেড়ে গেলে এক দুই ফল্গুনীতে দ্বিধা বাড়ে
এই উঠোনে শুধু বেলা পড়ে গেল, দিনকে চল

মাঝে মাঝে অচল মুদ্রার কথা বলি, রিক্ত হাত
তবুও এটা মেলে দিতে হয় সিক্ত বাসনার জলে
উঠোন কি এমনি ভরে, শেষ রাতের কামিনী ফুল
যে খুব ভোরে উঠে গেল, তবু পথে থাকে বকুল
কেউ কেউ হৃদয়ের কথা বলে তার গাঢ় উচ্চারণ
সন ঠিক মনে নেই, কিছু রাত থাকে তবু শিশিরের




রোজনামচা

অনেক ভালো কথার মই দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে এবং এমন দৃশ্য পাল্টেও যাচ্ছে
কিছু ঝুটো খুচরো দৃশ্য যাচ্ছে লেন বাই লেন ডেড ঠিক কাচের উপর দিয়ে
মিটার রিডিং পর পর এই মাত্র যা মনে এলো ব্যাখ্যা করা গেল না
আসলে চাইনি না বা না চাওয়ার কাছে থেকে গেল তাহার অনেক

শক্ত ক্র্যাচের মাঝে হাঁটু ভাঙ্গা হাঁটু রেখে ফেনিল কিছু মদিরা গিলে
অনেক চুল্লী ঘুরে সেই নগ্ন আড়াল আরও নগ্নতায় জীবন পেল
তখন আমি একটা পুরো মাঠ ইজারা দিলাম সেবক জনতার নামে
যেন দিলখোশ হলে এই পায়ে বল আসে গোলে যেমন ইচ্ছেমতো...

চলমান স্থিরচিত্র ভাঙ্গা অলীক উড়াল মোহের মোমে জমে গেল পাততাড়ি
এমন দেখলাম যা যাপন চিত্রে বলা যাবে না শুধু কাচের মতো ভেঙ্গে না পড়লে হয়
তারপর এমন দৃশ্যে আমি ঢুকিয়ে দেব তোমাদের সেই ঠিকুজি যা জন্মেই যাবে
পড়ছি বারবার গ্রন্থাগারের হার-মানা নিয়ে কোনও কথা থাকে না প্রতিটি শব্দকোষের

যদি শরীরকে অন্যভাবে সংজ্ঞায়িত করা থাকে চাকু থেকে সজীব পর্দায় এবং জলীয়
তাহলে এই নির্মাণ মোহের মন্তাজে কিছু অধ্যায় খসে পড়ুক এই এখনই তরলে
পরে না হয় ক্ষরণ থেকে চরণ পর্যন্ত
আমি আমরা আত্মস্থ করব প্রতিটি সুরের মূর্ছনা 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন