কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

২৩) সুকান্ত দাস

নহবতখানা

আয়না নামিয়ে দেখ
একাকী ভীরুমুখ
বুকচাপা শালিক আর চড়াইয়ের মিথ্যে মিছিল
নাম না করেও গতি বিপর্যয়
                           পসরা সাজানো আছে
বেশ্যার শোবার ঘরে মন্দির পাতা
অথবা রিপুকলার স্বস্তি শিবির
                        বল্গা হরিণের ঈর্ষার ধুলো ঝড়
নহবতখানার গলিপথে তোমার ইচ্ছের রেশ
আমার শখহীন গায়কী
ইচ্ছের শিরোনামে ফুটে আছে
অজস্র জ্যোতিচিহ্ন।



সম্ভ্রান্ত মৃত্যু কবিতা


ফিনফিনে সুতোয় তুই লিখে রাখিস
                              হাঁটা পায়ের দিন
এই সব হাঁটুতল বৃষ্টিদিন অবিন্যস্ত রোদ্দুর
প্রচুর উপহার দেব এই আশায়
তুই এগিয়ে দিস অ্যারিওলার পরবর্তী
                                       কমলা রঙ

বাহারি বসন্তে প্রেম ঘন হয়
ধুলোবালু উড়ে
শাদা পোশাক পরবার দিন এসে যায়
কালো সানগ্লাসে তুই ঢেকে রাখিস
                                    দেখবার চোখ
নিজেকে আদর দিয়ে ভুলিয়ে নিচ্ছি তোকে
তবুও তুই চুমু খাস হাত বোলাস
রতিটি চুমুর ভেতর পরবর্তী মৃত্যু লেখা থাকে।



টগর অধিকারীর চিঠি

অথচ তোমরা জানো হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কথা। গিটার বাজাও। কোনো মুহূর্তে
ছিঁড়ে ফেলো নিয়মের চেনা পথ। এতটা অলীকতা রক্তের স্বাদে প্রিয় ক্যানভাস।
আদম পরাগী।
অপরাহ্নে তুলে রাখ ভোরবেলাকার নিষেক। সমাপ্তির বিন্দুর মূর্ছনায় শেষ ইচ্ছের প্রতিক্রিয়া, আজ নয় কাল বাতাস ভারী হয়ে ওঠে --- এতটা রক্ত প্রিয়। অথচ গিরগিটি দোসরহীন। শেষ বেলাকার যোনির দ্বার। আজন্ম হা মেলে রয় এক একটা বুনো বনস্পতি জন্ম নেবে বলে।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন