কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

০৪) স্বপন রায়

রেলা-৪


এ এক ভোরের অযত্নে রাখা প্রাপ্তবয়স্ক শীতের চাউনি, ঠোঁটে ফুটি ফুটি ভাঙা শব্দের জিজ্ঞাসা, ‘উঠতে হবে, না?’ আমি যা করে থাকি, তাই করছিলাম, দন্তচর্যা শেষ করে কুয়াশা খোঁজা... পেয়েও গেলাম জানালার বাইরে, থাক থাক! বললাম, কুয়াশা শিউরে দিচ্ছে...

-ওমা তাই? বলেই এক চিরকালীন স্কার্ফে যেন লীনাই এলো, কুয়াশায়... এসে দাঁড়ালো আমার পাশে! আমরা আমাদের শরীরের এগিয়ে থাকা চেতনার প্রতীক নাকের ডগায় জানালার কাচ লাগিয়ে স্বোপার্জিত কুয়াশ্বাসের ধোঁয়ায় আবছা করে দিই কাচের প্রতিরোধ, ভালোবাসা স্তিম স্তিম শব্দ করে।

-স্তিম মানে কি? এতো আলগোছে বললো যে, আমি উত্তর দিলাম না! স্তিম মানে যে সেক্স নয়, এটা ও নিশ্চয়ই বুঝবে!

কাল যখন নিউজলপাইগুড়ি থেকে টয়ট্রেন ঝটকা দিয়ে ছাড়লো, আমি ওর কানের সংরক্ষণে মুখ রেখে বলেছিলাম, ‘ট্রেনটার সেক্সড্রাইভ দারুণ!’

এ ক্ষেত্রে মেয়েরা দুটো কথা বলে, ‘যা!’ আর ‘অসভ্য’। ও কিছু বললো না, মুচকি হাসি এনে ভরিয়ে দিলো সেই ভোরমোছানো সকালের রাঙা ইনকামিং, একটু স্লো কিন্তু বিস্তারময়! ট্রেন টয়িশলি যাচ্ছে শিলিগুড়ি টাউন আর জংশন পেরিয়ে সুকনার দিকে।

আমার এই দুনিয়াবুকিং, এই পাখিবার, এমন আকাশ ভর্তি হাল্কানীল রেনকোটের ভাব সম্প্রসারণ আর এই পুরো রচনার কারণ যে, সে তার মুখ জানালার কাচে রেখে অবাক হয়ে দেখছে এই পৃথিবীর জড় শব্দের সচল হয়ে ওঠা, দেখছে বাঁক এসে মানুষের হাসিতে কিছু রহস্য রেখে যাচ্ছে, আর সুকনার জঙ্গলে ঢুকতেই ঠাণ্ডা পাতায় মোড়া হাওয়া এসে যখন আমাদের কিছুটা নিষ্কলুষ করে দিলো, সে আমার দিকে তার বিস্ময় ছুঁড়ে দিয়ে বললো, ‘জঙ্গল!’ আরো কিছুক্ষণ পরে আরো একটু জোরে বললো, ‘পাহাড়!’ ট্রেন এখনো মানোবীণা, তখন তো গীটারও! মার্চের প্রথম সপ্তাহ এক নেপালি ছেলের গীটারে আসন্ন হয়ে উঠছিলো। খেলনা ট্রেনের পাশে ফুটে উঠছে কারো বারান্দা, কারো পশরা সাজানো দোকানের গায়ে টুকিটাকি, উড়ছে ট্রেনের হাওয়ায় চূর্ণকুন্তলে ঝরে পড়া স্প্রিং-ফেস্ট। আমি গীটারের টুং টাং জড়িয়ে নিয়ে ভাবছি, এই পৃথিবীতে একটিই মেয়ে আছে যার গালের ডানদিকে যেমন বাঁ দিকেও একটিই রং, চাঁপা!


আজ দার্জিলিঙের সকাল এসেছে কুয়াশাকাতার নিয়ে! আমি আমার পাশের দাহ্যতায় ছোট্ট ডুব দিয়ে বলি বলি করেও বলি না, প্লিজ হোল্ড ইয়োর টাংগ এন্ড লেট মি লাভ... সে ঠোঁটের ইমন মুছে দেয় হাসির কল্যাণ দিয়ে, বলে, কেভেন্টারস মনে আছে তো, ব্রেকফাস্ট তো ওখানেই? বাইরে ম্যালের একটা কোণায় রোদ এসে বেড়ালের পা পা করে এগোনো হয়ে গেলো, এই রোদ আর ওর কথার মাঝখানে কি কোনো অলস সম্পর্ক রয়েছে? কথা বলার শেষেই রোদের পা পড়লো যেভাবে, এই যাওয়া-আসা শিথিল কিন্তু অবশ্যসম্ভাবি হয়ে উঠছে যে ভাবে, সম্পর্ক ছাড়া হয়?

Gillanders Arbuthnot & co ১৮৮১ সালের এক সকালে ৩২৮ ফুটের শিলিগুড়িতে এই রেল লাইনের জন্য কোদাল বেলচার যৌথ অভিযান শুরু করে। ৭২১৮ ফুট অব্দি যেতে সেই তখনকার সময়ে যে এঞ্জিনিয়ারিং কর্মকুশলতার প্রয়োজন হয়েছিলো, এখন ভাবলে অবিশ্বাস্য মনে হয়! দুটো লুপ আর ছটা রিভার্সে মোড়া প্রায় ৮০ কিলোমিটারের এই রেল লাইনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পরিশ্রম, মেধা, ব্রিটিশ দুঃসাহস আর রোমান্স! ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া বাঁক অবাঁক মুহূর্তগুলো চোখের ভেতরে ট্রান্সহিমালয়ান শীতলতার সঙ্গে মিশে যেতে থাকে, মনে হয় নিশ্বাস এক স্তব্ধ চুক্তি, যা আমার বিরাজমানায় অবিরাম, আর ওই নির্ভেজাল খুশিতে মোড়া আমার সহর্ষ প্রয়োগটি, টয়ট্রেন বিভাজ্য করেই যাচ্ছে তাকে, তার একেকটা বিস্ময় আরো উজাড় করে দিচ্ছে পাহাড়ের ‘বাঃ’গুলো!

ট্রেন, বিশেষত টয়ট্রেনের ওই দীর্ঘ যাত্রায় আমি গতকাল এক অমনোযোগী বিন্দি থেকে লুপ আর রিভার্সের এতোল বেতোল পেরিয়ে আনমনে রাখা তার হাসির শহরেই যেন অপেক্ষা করছিলাম! বিকেল এসে রাস্তার ওপরে টানা ফেলছিলো অপসরণের আলো, তার পা পড়লে যদি এক আসক্তি তৈরি হয়, যদি আলোর এই ফিকে সংসারে থেকে যায় মহক আর মেহনের সঙ্কর অভিধানটি! আর আজ ম্যাল থেকে দারজিলিং বাজারের দিকে নামার সময় ওকে আলতো করে বললাম, ‘টুং, সোনাদা, রাংবুল, জোড়পাহাড়ি, ঘুম এই ষ্টেশনগুলো অদ্ভুত না?’ ও তাকায়। পাইন সুশ্রী হয়। পাহাড় নিস্বঃ হতে থাকে। বলে, ‘কেন?’

-সব এখানেই আছে!

-মানে?

-বুঝতে পারছো না, আমার পাশে, ডানদিকে... ব’লে হাসতে থাকি। ও বুঝে যায়।

আমি গলা নামিয়ে বলি, জোড়পাহাড়ি হলো...

-মারবো!

-আর টুং, সোনাদা... ধরো জোড়পাহাড়ি থেকে টুং-এ নামলাম, ছোট্ট টুং-এ নিকোন আহ্বান, যেন বলছে, হাঁ ভি না ভি... একটু বসবো নাকি নেমে যাবো নিচের ওই সংরক্ষিত বনতান্ত্রিক বাহারশালায়... সোনাদায়... আর তুমি তো জানোই সোনাদায় আমি নামলেই মেঘের কেশরে বৃষ্টি নামে... আরোহণ নামে অবরোহণে...

-আচ্ছা পাজি তো তুমি... তোমায় হচ্ছে দাঁড়াও... যখন সে বলছিলো পুরো দারজিলিং-এর কোথাও কোনো অবিশ্বাস ছিলো না, বিকেলে লুকিয়ে ছিলো মীনে করা সহিম অস্তরা... নব্বই-এর দশটা বছর সবে তখন পাতা ওল্টাতে শুরু করেছে, বাজারের ব্যস্ত জ্যামিতিতে ঢুকে পড়ছে কুমার শানুর নাকি কিশোরসুলভ স্বরামিঃ ‘বাজিগর ম্যায় বাজিগর...’

-তোমায় ডাকছে মনে হয়!

আমি ওর কথানুযায়ি তাকাতেই দেখি পিটার, পিটার ইডেন!

-হাই, হাউ আর ইউ?

-এম ফাইন, এন্ড ইউ? হোয়ার ইস আনা?

-স্লিপিং

-এট দিস হাওয়ার?

-সর্ট অফ স্টমাক ডিসঅর্ডার... পিটার হাসে... আমি আর আমার নিঃসঙ্গতার সঙ্গীও হেসে ফেলে... হাসির কারণ গতকাল পুরো ট্রেনযাত্রার সাত ঘন্টায় পিটার আর আনা গোটা পঞ্চাশেক চুমু আর দু তিনটে কোক ছাড়া কিছুই খায়নি, ডিসঅর্ডারটা স্টমাকে হওয়ার তো কথা নয়... মুখে বললাম, টেক কেয়ার অফ হার... এন্ড এনজয় ইয়োর প্রিডিসারস হেভেন!



পিটারের পূর্বপুরুষ লর্ড এশলে ইডেন এই হেরিটেজ রেললাইনটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, পিটার এসেছে সেই উত্তরাধিকারে বিস্ময় নিয়ে, সঙ্গে চেক বান্ধবী আনা। গতকাল যখন ও এসব হাসতে হাসতে বলছিলো, আমি ইতিহাসের অংশ হয়ে যাচ্ছিলাম আর সেই সময়েই সন্ধ্যার ঘুম স্টেশনে টয়ট্রেনের জানালায় আটকে গেল কবেকার পা-বিদ্ধ চাঁদ আর আমার অপাপবিদ্ধটি সেই চাঁদকে হারিয়ে হেসে উঠলো, চন্দ্রাহত আর কি!

ভোর আসে, একশো ফার্নের দ্বিজত্ব নিয়ে, সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার উদয়ঘটিত কফি! কফি-মেয়েরা তো টাইগার হিলের অনেক আগে থেকেই উঠে বসে জীপের পিছনে, তাদের কলকল ভেঙে দেয় ড্রাইভারদের সতর্ক মনোনিবেশ। এ যেন এক বিশাল পরিবার, দিদি আর দাজুতে ভরা। এ সব আমায় মনস্ক করে তোলে, আমি ওকে দেখি, দেখি আমার ছোট্ট বাগানটিকে... ইস্পাতনগরীতে তখন অন্য সব জায়গার মতোই কম্পিউটার আসতে অনেক দেরি। মানুষের সঙ্গী ছিল সিনেমহল, নাটক আর আড্ডা...। আমার কবিতা লেখার ফাঁকে এ সব তো ছিলই আর ছিল এক অসহায় পরিক্রমা সাইকেলের। আমি কী ভাবে বলবো? ও কি রেগে যাবে? ভয় পাবে? আর আড্ডার মেজাজেও ওর শ্রীময়ী চোখের টানা বারান্দায় আমি ঘোরাফেরা করতে থাকি, চিঠি মেশানো বাদাম গাছে হেলান দিয়ে ভাবি, বনের রঙ তাকে বনের ভাবনা দিয়েছে, সে ফুল তোলে আর আমি দেখি স্কার্ট হয় পোশাকের নাম, মাদ্রাস-কেবিনের ধোসায় ঢুকে পড়ে রেশম-নিচু বারিষ আর নদী ভরা, জ্বরের দু’দিন ভরা দোপাট্টার রং... আমি ওকে বলেই ফেলি এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে... পৃথিবী তারপরেই অমনোযোগী ছাত্র হয়ে ওঠে... দোদুল্যমান আমার ভেতরে রয়ে যায় এক উত্তরের প্রতীক্ষা... কী বলবে ও? না করে দেবে? অপেক্ষা এত ভারী, জানতাম না! আর আজ জীপ বাঁক নিতেই ও ঢলে পড়ে আমার কাঁধে, এই তো পৃথিবী...

তবু গতকাল ঘুম স্টেশনে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল জাগতিক সবকিছু। আমি অসহায় হয়ে ঘন হিমের ওপারে খুঁজে যাচ্ছিলাম ওকে... ট্রেনের জানালায় চাঁদ দেখে নেমে যাওয়ার আগে বলে গেল, একটু বাইরে গিয়ে দেখি, অত ভাবার কিছু নেই, আমি হারিয়ে যাবো না... আমি ওকে দেখি আমার রচনা নিয়ে ও নেমে যাচ্ছে... পিটার আর আনা আমার সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয় এরপর... ঘুম স্টেশনে কিছুক্ষণ দাঁড়ায় টয়ট্রেন... আমরা গল্প করতে থাকি লন্ডনের রাজনীতি, সমাজ আর কেচ্ছাটেচ্ছা নিয়ে... পিটার হঠাৎ বলে, হে বাডি ট্রেন ওন্ট স্টপ হিয়ার ফর আওয়ারস... গো অ্যান্ড কল হার ব্যাক...

আমি স্টেশনে নেমে ঘুমের থিকথিকে কুয়াশায় হারিয়ে যাই... কোথায় কে... এ তো কমপ্লিট হোয়াইট আউট... কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না... ঘোষণা শুনতে পাই ট্রেন ছাড়ার... ওই ঠাণ্ডাতেও আমার রগের কাছে ঘাম জমতে থাকে... কোনো রকমে গার্ডের কামরায় পৌঁছে আমার সমস্যরা কথা বলি... উনি আমায় আমার কাঁধে হাত রেখে বলেন, ডোন্ট ওরি... আমি দেখছি... পরে ওয়াকি টকিতে কিছু বলেন... ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে ওঁর অনুরোধে, আর ঘোষণা হতে থাকে এড্রেস সিস্টেমে, ‘দিস এনাউন্সমেন্ট ইজ ফর...’

আমি প্রায় টলতে টলতে কামরার কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকি, কুয়াশাপাথার ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা শরীরগুলোয় কি ফুটে উঠছে এক স্বভাবনতা নাতিদীর্ঘ দীঘল চোখের বাঙালি মেয়ের পরিচিতি? তার হাত ধরে আছে আমার সাড়ে তিন বছরের সন্তানকে... যে এতক্ষণের ট্রেন জার্নিতে একবারের জন্যও ক্লান্ত হয়নি, প্রায় সব বাঁক, সব কটি মানুষের অপসৃয়মানতায় হেসে উঠেছে, কথা বলে গেছে অনবরত, পাহাড়ের গায়ে আটকানো পাইনের সার সার দাঁড়িয়ে থাকা দেখে প্রশ্ন করেছে, ‘বাবা এরা কি সব সোলজার, পাহার দিচ্ছে আমাদের?...’ আমি আমার সব কান্না বুকে লুকিয়ে রেখে এক আবৃত ফ্যাকাসে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকি...


-বাবা!

আমি চমকে তাকাই, পিছনে! ছেলে হাসছে, মা কাঁচুমাচু, সঙ্গে একজন রেলওয়ে-কর্মচারী, সে হেসে বললো, ‘দাদা ইয়ে লিজিয়ে আপকা আমানত!’

আমি কথা হারিয়ে ফেলেছিলাম, প্রায় কাঁপতে কাঁপতে তাঁর হাত জড়িয়ে ধরে যা বলার বললাম!

তখন এ ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না। ভদ্রলোক হাসছিলেন, হাসতে হাসতেই বললেন, ‘আপকা বেটা ফগ মে খো গয়া থা,চলতে চলতে স্টেশন কা উস তরফ চলা গয়া... বচ্চা হ্যায়... ম্যাডাম ভি রো রহি থি... তো এনাউন্সমেন্ট সে হমলোগ বচ্চা কো দেখ পায়া... ঠিক হ্যায় সাব... ইয়ে দারজিলিং হ্যায়... ইহাঁ হর খোয়া হুয়া চিজ ওয়াপস মিল যাতা হ্যায়...

এতটা বলে সেই দেবদূত আবার মিলিয়ে গেল অসরল কুয়াশায়। পিটারের কোলে চেপে বসা ছেলে তখন তাকে টাটা করছে, করেই যাচ্ছে...

ট্রেন আবার আমায় জীবনদেখায় নিয়ে আসে, যাওয়া আর আসার মধ্যে আমাদের এই দোদুল্যমান ভয়টুকু বাতাসিয়া লুপে তখন হু হু... দূরের আলোয় মাখা দার্জিলিঙের দিকে তাকিয়ে আমি সেই মেয়েটিকে বলি, বাইরে দেখো খোয়া খোয়া চাঁদ... সে আলগোছে তাকায়... হাসি ফিরে আসে তার মাধবীমূলক মুখটিতে... পৃথিবী আর কবে এলাচ রঙের হবে, আজ ছাড়া?

আর আজ কুয়াশা কেবিনে দাঁড়িয়ে রয়েছি! সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা, ভোরাজের কাঞ্চন! সূর্য আড়মোরা ভেঙে উঠছে, প্রতিফলনের সিরসিরে রঙ রাঙা হওয়ার দিকে! আমি আমার কাঞ্চনসমাকে দেখি, দেখি আমার কাঞ্ছাটিকেও, সূর্য তার কাছে এক আজব পারফরমার, যত উঠছে, ছড়াচ্ছে, রক্তিম করছে শাদা

তুষারের বিস্তীর্ণ ক্যানভাস, তার চেয়ে বেশি হাততালি ছুঁড়ে দিচ্ছে ওই গ্রেট পারফরমারের দিকে, আমি জানি ওই হাতের উল্লাসে লেগে আছে অনাগত পাখিদের সঞ্চার, তাদের এক তিল রচনাবলীও!

সেই ব্রাহ্ম মুহূর্তে আমি দুজনের পাশে এসে দাঁড়াই, সে তাকায়, ছেলে হাসে, আমার আবারও মনে হয়, এই অপার সংক্রান্তিতে দাঁড়িয়ে বার বার মনে হয় যে, হাজার বছরের জমে ওঠা ঘৃণা মুছে দিতে পারে এক মুহূর্তের মৌন ভালোবাসা...

2 কমেন্টস্: