নুলিয়া
পাখি উড়ে যায় অন্য কোনো পালকে... নৌকো চাইলেই জলের জিভ লকলকিয়ে ওঠে, সাইরেননদী আমার ভেতরে বুনতে শুরু করে জলের পাঁজর। অবৈধ তারাকে হত্যা করি, রাত্রির ব্রিজ নেমে আসে নিঃসঙ্গতা বেয়ে... এর থেকে বেশি পিপাসা থাকলে মন্দ হতো না... পুরনো মৃত্যুত্বে বিজন হয়ে যাই... পালকের কাছে ফেরি করি অঞ্জনা নদী... রাস্তা হারিয়ে ফেলে আমার শবযাত্রা... যেন দিঘি থেকে নদী খুঁজে না পেয়ে নৌকোটি উড়ে গেছে বুনো খরায়... ঢেউ খুলে চরাচরে নেমে গেছে অনন্ত মাঝি... আর হাসতে হাসতে একটি অর্ধেক নুলিয়া গড়িয়ে পড়ছে লালশালু বাঁধা আকাশে...
খুশবু
অন্ধকার জ্বলছে উৎসবের নদী। তোমার কাছে পৌঁছতে পারবো না জেনে ফুলের আঙুলে নামিয়ে রাখি জেটিঘাটপাখি... বজরার ফাটল স্বাদ চায় আলোর... প্রতিটি হাসিতে উল্টো করে বাজে তোমার এস্রাজ। কাশফুলের সাদাত্ত... বিবাহের গ্রীবায় হেলে থাকে যৌনমন্দির... আমি দেখি, দেখা ছাড়া অন্য কোনো নাভি নেই... শ্যাওলা সরিয়ে আকরপ্রাচীন বিষাদ... পরে আছে ক্লান্ত তামার পদ্মটুকু... ...বুনো ফুলের নাবিক শুদ্ধ হয়ে উঠছে, লীলানীল ঘিরে দরজা খুলছে পারাবতের ময়ূর... আর একদম শেষ সাঁতারে ভিজে উঠছে অথৈ কমলকুণ্ড... তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো না মেঘ?
ছাত্রীবেলা
মুখে চোখে ছাঁটা হলো পরীক্ষাহল... উড়ে গেল বিরল ডাকবাক্স, আটপৌরে অটোগ্রাফ, ফিনফিনে হাতঘড়িতে বাঁধা টেক্কা, রুইতনের পা... প্রশ্নগুলো ছড়ানো ছিটানো অচেনা হাতবোমা। উল্লসিত, আহ্লাদের সেরাটি পাল্টে দিচ্ছে প্রতি মিনিট। আঁচড় কেটেছি যে সব প্রশ্নে, তাদের গায়ে ঘুড়ি ওড়ানোর হসন্ত, সেমিকোলনের নীল সর... সারাবেলাটির কাঁধে স্নান কাটলো মৌরিফুলের কলম... আবছা বালি স্নায়ু।... টেরাকোটা পেন্সিল... নিজের ছায়াটুকুর উত্তরে অবশ্য তেমন কিছুই লিখিনি... হোমটাস্কের সরু গলিতে চশমাধারী একটি দুটি ছাত্রীবেলা লিখে এসেছি শুধু...
পাখি উড়ে যায় অন্য কোনো পালকে... নৌকো চাইলেই জলের জিভ লকলকিয়ে ওঠে, সাইরেননদী আমার ভেতরে বুনতে শুরু করে জলের পাঁজর। অবৈধ তারাকে হত্যা করি, রাত্রির ব্রিজ নেমে আসে নিঃসঙ্গতা বেয়ে... এর থেকে বেশি পিপাসা থাকলে মন্দ হতো না... পুরনো মৃত্যুত্বে বিজন হয়ে যাই... পালকের কাছে ফেরি করি অঞ্জনা নদী... রাস্তা হারিয়ে ফেলে আমার শবযাত্রা... যেন দিঘি থেকে নদী খুঁজে না পেয়ে নৌকোটি উড়ে গেছে বুনো খরায়... ঢেউ খুলে চরাচরে নেমে গেছে অনন্ত মাঝি... আর হাসতে হাসতে একটি অর্ধেক নুলিয়া গড়িয়ে পড়ছে লালশালু বাঁধা আকাশে...
খুশবু
অন্ধকার জ্বলছে উৎসবের নদী। তোমার কাছে পৌঁছতে পারবো না জেনে ফুলের আঙুলে নামিয়ে রাখি জেটিঘাটপাখি... বজরার ফাটল স্বাদ চায় আলোর... প্রতিটি হাসিতে উল্টো করে বাজে তোমার এস্রাজ। কাশফুলের সাদাত্ত... বিবাহের গ্রীবায় হেলে থাকে যৌনমন্দির... আমি দেখি, দেখা ছাড়া অন্য কোনো নাভি নেই... শ্যাওলা সরিয়ে আকরপ্রাচীন বিষাদ... পরে আছে ক্লান্ত তামার পদ্মটুকু... ...বুনো ফুলের নাবিক শুদ্ধ হয়ে উঠছে, লীলানীল ঘিরে দরজা খুলছে পারাবতের ময়ূর... আর একদম শেষ সাঁতারে ভিজে উঠছে অথৈ কমলকুণ্ড... তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো না মেঘ?
ছাত্রীবেলা
মুখে চোখে ছাঁটা হলো পরীক্ষাহল... উড়ে গেল বিরল ডাকবাক্স, আটপৌরে অটোগ্রাফ, ফিনফিনে হাতঘড়িতে বাঁধা টেক্কা, রুইতনের পা... প্রশ্নগুলো ছড়ানো ছিটানো অচেনা হাতবোমা। উল্লসিত, আহ্লাদের সেরাটি পাল্টে দিচ্ছে প্রতি মিনিট। আঁচড় কেটেছি যে সব প্রশ্নে, তাদের গায়ে ঘুড়ি ওড়ানোর হসন্ত, সেমিকোলনের নীল সর... সারাবেলাটির কাঁধে স্নান কাটলো মৌরিফুলের কলম... আবছা বালি স্নায়ু।... টেরাকোটা পেন্সিল... নিজের ছায়াটুকুর উত্তরে অবশ্য তেমন কিছুই লিখিনি... হোমটাস্কের সরু গলিতে চশমাধারী একটি দুটি ছাত্রীবেলা লিখে এসেছি শুধু...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন