অ-বলা
বড় জেদে বলো,
আবৃত্তি করো সেই দগদগে কাল;
কাগুজে অক্ষর ভাসিয়েছো তুফানে।
বিস্ফোরণের স্প্লিনটার উপড়েছো
নিরাময়ের পরেও নির্ঘুম চেয়ে থাকে
শিশুদাগ...
সুরের আশায় জলোচ্ছ্বাসী আসর মাত
গালের ভেজায় জড়িয়ে থাকে
ধোঁয়ার কাউন্টার... কড়া...
এপথ সেপথ বিপথ গেছ;
কালচে ক্ষরণ দেখেও বলেছো,
আমার স্থানু থাকার ধাপ ছিল চলমান।
অ-গোছালো
বারান্দা ভাঁজ করে রাখা আছে
আলাদা আলাদা অকপট চোখের পাতায়
এক, পার্ক থেকে বেরিয়ে
কংক্রিট হাঁটার কালে
ময়দান পুলিশের ‘হ্যাক, থুঃ’,
দেশের কিচ্ছু হবার নয় বলে
নিজেই গোল্লায় চলে গেলে...
দুপুর গড়ানো দ্বিতীয়টা
এলাচজর্দা নির্যাস টের পেতে দেবার নয়
কখনো অ্যালোভেরার গানের মুখরতায়
শীত এলে টান নরম করে দিতে হয়।
চিপ্স কালো পানীয়ের বিকেলের পরে
ভিক্টোরিয়া সন্ধ্যে মাখে
দৌড় রেশারেশি বা সুরযুদ্ধ
ঘড়ির সোনালি ডায়াল ভেঙ্গে ফেলা
তিনের বারান্দায় এখনো আধো...
অনুশয়
এক পৃথিবী চরম দেখালে,
সম্মুখ পরম অবিশ্বাসের থালায়
উফ! কী গরম চোখের দেওয়াল কবর
হাড়ে হাড়ে ছুঁচ আলতো বনিবনায়
শেখানো গুলতির নিশানায়, ঝাপসা দৃশ্যে
এসো তোমাকে ব্যবহার করি
পোড়ার তাগিদে হিমবাহে সদ্গতি,
হে মহামানব, যূপকাষ্ঠ চিরস্থায়ী করে দেখো
পরাজিত ঘুঁটি হবার লালসায়, আহাম্মক
জ্ঞাতে অজ্ঞাতে বেড়ে চলা প্রাচীন নখ
আয়েসি সময় খিমচে রাখে,
অকাতর তলিয়ে যাবার খুঁটিনাটি।
সুন্দর লেখা গুলো
উত্তরমুছুন