প্রামাণ্য কিছু নেই
ভুলে থাকা দরকার যে রাতের শব্দে
তার স্বচ্ছতা টলটল করে
মন্দ বাতাসে ভেসে ওঠে তার
এককণা নখ
ঠোঁটে দাঁত চেপে বসার আগে
ক্যামেরা সক্রিয় হয়
শিরার দিকে, নেমে যাওয়া
সারৎসারের দিকে
ত্রুটি খসে পড়ে
অসময়ে থাকো এবার। জমানো দৃশ্যের
মুখ হাঁ করে ঢেলে দাও, ওই তো
সীমাবদ্ধতা। যা তোমাকে নিশ্চল করবে। জটিলতা থেকে ঢেলে দেবে বনবীথিসমূহ। অথচ
স্মৃতির ভেতর কিছু ব্যাখ্যাতীত অংশ আছে। এক সমুদ্রপ্রণালী, পাক খাওয়া সিঁড়ির পাঠাতনে চাদর গড়িয়ে দেয়। গভীরতায়
উড়িয়ে দেয় পান্নারঙ ফিতে।
আর ভালোলাগে। ভালোলাগার নিভৃতি
পেয়ে বসে। যা নয় মাসের মতো সূক্ষ্ম। যা পরিচিত বাড়ির মতো স্থূল।
নিষিদ্ধ সময়জাত
(১)
থেকে যেতে চাইছি এই সময়ের প্রসঙ্গে। ঢাল বেয়ে নেমে আসা কাঁকরের
ভেতর ডুবিয়ে দিতে চাইছি দুটো বিরোধী মতবাদ। যা আমাদের স্থায়িত্ব করে তুলছে। স্নায়ুপ্রবাহের দিকে ঘষে ঘষে তীক্ষ্ণ করে তুলছে অতিরিক্ত
সভ্যতা।
অথচ সংবেদনের বোধ তো আদতে প্রাগৈতিহাসিক। ধারালো অভিযানের পাতায়
লিখে রাখে আরও কতটা নুন প্রয়োজন বসতি গড়ে তুলতে। আরও কতটা জলবায়ু প্রয়োজন টেনে নিয়ে আসতে তার গভীরতম প্রদেশ।
(২)
জল থিতিয়ে উঠছে তোমার ভ্রূর উপরে। ক্লান্ত গলার কাছে ফুলে
থাকছে অতিরিক্ত শিকড়। পাক খেতে খেতে চোয়ালের দিকে যার জখম টকটকে লাল। মধ্যপ্রাচ্যের দুনিয়া
যার কাছে নেহাতই খোলামেলা সম্ভাবনা হয়ে থাকে।
আর তোমাকে বসিয়ে রাখছি ধাতুর গায়ে। টুকরো টুকরো ব্যবহার
হয়ে ওঠা দেদেরিয়েহ গুহার গায়ে। যেখানে নিজেদের গন্ধ পড়ে আছে। ভাঁজ করা হাঁটুর মতো উঁচু হয়ে আছে স্বাভাবিক স্মৃতি।
ওই তো কাঠের টুকরো, বাদামি গালের দাগ, প্রকাশ্য
রাস্তায় লিখে ফেলা নিছক যুদ্ধের খতিয়ান। যার ভেতর দিয়ে আমি এগিয়ে আসব, ঘন অস্তিত্বের ভেতর দিয়ে, ধাপে ধাপে পুরনো অংশ ভেদ করে।
(৩)
যে ধীবর আমাদের পরিশ্রম শিখিয়েছিল, পাথরের খাঁজ থেকে তুলে এনেছিল স্ফীত ও কম্পিত
শরীর, তার নগ্নতার প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। বরং নিজেদের সফেদ বস্ত্রের
দিকে তাকিয়ে বারেবার বুঝিয়েছি – ক্ষমাশীলতা
আসলে ঘূর্ণন গতির মতোই একা করে তোলে। আঙুল থেকে ঘষেমেজে নেয় লিখিত বিবরণ।
(৪)
মশলাসুরভিত এক রাতের উৎসবে দাঁড়িয়ে
আছি আমরা। কাঁধে সোনার জল করা
বার্ধক্য। তামাম দ্রাক্ষারস ছড়িয়ে
পড়ছে খড়ের মাদুরে।
আমরা তার চুল বিস্রস্ত করে দিচ্ছি।
মোলায়েম শ্বাস টেনে তাকে পালিয়ে যেতে দিচ্ছি ঘোলাটে প্রণালীর দিকে। স্বেদ ও অশ্রু থেকে যা উঠে আসে নির্বিকার। সারল্যের ভেতর তার শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন করে।
বাহ্
উত্তরমুছুন