এক সেকেন্ড
একটা ঝুরোগল্প লেখার কথা ভেবে আমি যখন হাতের পেনটাকে
ঘোরাচ্ছিলাম, ভাবছিলাম এটা ঠিক স্যু জুয়ানের মতো ঘোরানো হচ্ছে না, তখন পিন্টুর মা
চিৎকার করে উঠলেন – বলেছি না, ভাইকে বই গোছাতে হেল্প করবে, একটা কোকিল অকারণ ডেকে
উঠল, জানালায় একটা শালিক ঢুকে আমার দিকে নজর দিল, পাশের বাড়ির ইন্টিরিয়ারের কাজ
করতে আসা মিস্ত্রিগুলো হঠাৎ থেমে গেল, জি টি রোডে অবশ্যই একটা অ্যাক্সিডেন্ট হলো, হেলমেট
পরা ছিল তাই মাথা বাঁচল, কিন্তু পা’টা থেঁতো হয়ে গেল, মুখ্যমন্ত্রী হাওয়াই চটি খুলে ফাঁকিবাজ
অফিসারকে ধমক দিলেন, আমার ইসরোর বন্ধুর মাথায় হঠাৎ পাগলামি চাপল, চায়ের কাপ ভাঙল,
তবে স্যাটেলাইট যথারীতি ছবি আর খবর পাঠাল, সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে একটা আদিরসাত্মক
চুটকি ঢুকল, কাটাপ্পা কারো টিভিতে
বাহুবলিকে মারল, তামলার জলে মিশল তিরিশ লিটার পোড়া মোবিল, আমার বান্ধবী রান্নার
ফটো তুলল ফেসবুকে পোষ্ট দেবে বলে, গাছ থেকে দুটো তেঁতুলপাতা খসে পড়ল, পাতাঝাঁঝি
থেকে অতি যত্নে একটা শামুককে কোনো এক প্রেমিক হাতে তুলে নিল, আমি পেনটাকে ঘোরাচ্ছি,
কাজের মেয়েটা ঘরের দরজা বন্ধ করে নি, দরজাটা প্রচণ্ড শব্দে বন্ধ হলো, ইন্টারলকটা
ভেঙে গেল বোধহয়, দরজা খুলে একটা ক্লান্ত
মেয়ে লাস্য দেখিয়ে তাকাল নতুন খদ্দেরের দিকে, দক্ষিণ আন্দামানে ঘূর্ণিঝড় স্থির,
এবার কোন দেশ নাম দিয়েছে জানার চেষ্টা করছে, আমার শরীরে একটা কোষ অকারণ ভেঙে
ক্যান্সার হবে কিনা ভাবছে, আমি জানতে পারছি না, একটা দাড়িওয়ালা লোক আর একটা
টিকিধারী দুজন দুজনের দিকে চাপাতি আর ত্রিশূল তুলে স্ট্যাচু।
একটা ঝুরোগল্প লিখতে হবে। বিষয়টা বুঝতে পারছি না। কাজলদাকে
একবার জিজ্ঞেস করতে হবে।
ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা টিক করে এক ঘর এগোল।
নব আঙ্গিক
উত্তরমুছুন