কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

মেঘ অদিতি

অথবা ভালোবাসা 

এই যে ডুবে আছি জ্বরের ঘোরের ভেতর, পাতাবাহারের রঙ খসে না-মানুষী বিষমাখা হা হা ওই হাসি কাঁপিয়ে দিচ্ছে আমার হাড়, এ কিছু নয় - এসব দৃশ্যের ভেতর উড়ে বেড়াচ্ছে এক ঝিনুকজন্ম ও বিস্ফোরক।
ভালোবাসার অদৃশ্য পাখিটা আগের মতোই গান গাইছে আর একটা পুরনো  আয়নায় মুখ রেখে তুমি আঁকছো তার উত্থান ইতিহাস-
বিপ্লবীরা কে কোথায়?
সন্ধের বুকে তোমাদের ঘ্রাণ মুছে কতদূর যেতে পারে এই প্রৌঢ় পৃথিবী!


বাতাসিয়া লুপ


ক) একটা একটা দিন চলে যাচ্ছে
খ) একটু একটু কমে আসছে শ্বাস
গ) পথগুলো আঁকাবাঁকা, ভয়ঙ্কর
ঘ) মনেস্ট্রির ঘন্টা বাজছে...

পাইনের ফাঁক গলে মেঘ, মেঘের বুক গলে জল, বরফগলা  জলের ধারায় নেমে আসছে মন খারাপ। জুনিপার, ফার... দেখোসুন্দর এক ঘোরের ভেতর চাঁদ কেমন আজ হরিণ হরিণ খেলছে! একটা ব্রিকরেড টি-শার্ট, মুখগোঁজ করে বসে আছে পাহাড়ের ঢালে।  তার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে অপূর্ব এক আলো।  আলো থেকে জন্ম নিচ্ছেউড়ে যাচ্ছে একে একে  সান্ধ্যপাখির দল।
সন্ধের পর মৃত্যুকে যারা আলিঙ্গন করে তাদের আমি মায়া বলে জানি।
জুনিপার, আমাদের পরের গন্তব্য কিন্তু লোলেগাঁও...


হাওয়া বদলের দিনে...


শিশু গর্ভিণীকে ধাওয়া করেছে এক বাবা হরিণ ভীত হরিণীর গর্ভগৃহ ফেটে বেরিয়ে আসছে সুতীক্ষ্ণ সঙ্গীত। এক অলাত চক্রের ভেতর ঘুরপাক খেতে খেতে হরিণীটি মৃত ঘোষিত হবার আগেই, নিউজফিড ভরে উঠছে ঘেন্নার ইমোটিকনে।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সব গল্পকে পাশ কাটিয়ে এইসব নিউজের গায়ে এসে বসে সবুজ শীতার্ত কোনো মেঘ। সহনীয় তাপমানের নিচে সাংসারিক কথাগুলো নিচু হতে হতে এতটাই নিম্নগামী হয়- 
মনে হয় যে কোনো মুহূর্তে তলিয়ে যাবে ওরা খাদের অন্ধকারে।
মাথার অনেকটা ওপর দিয়ে উড়ে যায় মাসকটগামী হাওয়াই জাহাজ, আর এক্স সেভেন টু ফোর...


ছৌ-নাচ


বৃষ্টির সংকেত উড়ে গেলো ধুলোদের সাথে। অন্ধ কোনো গাঢ়তায় লেখা হলো শিশু এক প্রজাপতি নাম। দূরে হলুদ সন্ধে নামলো।   
ও প্রজাপতি আলো-জল
আয় রে
আজ মুখোশ মুখোশ খেলি
এক, দুই, তিন সুঁই বেঁধানোর ছলে

শেখাই চল ছৌ-নাচ কৌশল...

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন