কালো দুপুর
গলায় ঝুলানো লকেটে
বেজে যাচ্ছে ধ্রুপদী সময়
প্রগাঢ় ঠোঁটে আমি তুলে নিচ্ছি বিশ্বস্ত শিশির;
অবশিষ্ট পৃথিবীর ঘাম।
নিখোঁজ হবার প্রবণতা জাগিয়ে তোলা দুপুর
আমাকে চেনে না
আমি তাকে হাতকড়া পড়িয়েছি।
কেননা, সে একদিন পাঁচ
বছরের মেয়ের কাছ থেকে
পথ লুকিয়ে ফেলেছিল।
তপ্ত আকাশ ঢেলে পুড়িয়েছিল
স্কুলগামী কৈশোরের পিঠ।
আজও সে ব্যক্তিগত দুর্গে নিয়ে উস্কে দেয় ক্ষুধা।
ঘুমসংযোগ করে শিরায়।
প্রচণ্ড সব দুপুর আদতে চোরাবালি
অসাবধানতাবশত লালন করি।
বদ্ধঘর
বদ্ধঘরে খুব দ্রুত নিজেকে এঁকে ফেলা যায়।
নখের শরীর,
রেফ্রিজারেটর ভর্তি হিমসাগর
নিয়ে যায় পুরনো জ্বরের ঘোরে।
সহোদরের সঙ্গে বালিশ কাড়াকাড়ি!
নাভির ঘ্রাণ ছুঁড়ে ফেলে মাতৃপ্রদেশে,
ডাকনামের মতো পাহারা দেয়।
বৈদ্যুতিক পাখার অনিঃশেষ ঘূর্ণনে
ভুলে যাই পাশ ফেরার কথা
কেবল মনে আসে
সমতল এক আপেক্ষিক ধারণা।
একাঘরে
কোন কথা বাজে না।
অস্পষ্টতার ভেতর,
বিশ্রামের ভেতর দাঁড় টানে
বিপরীত দিকে ফেলে আসা রেলের স্লিপার।
২ টি ভালো লাগল
উত্তরমুছুন