অন্তরে তুমি
ভেজা ঘাস, মেঘলা আকাশ, মাথার ওপরে গাছ,
যদি তুমি ফিরে আস এই প্রকার কোন গাছের
আশ্রয়ে, তাই ঘুরে ঘুরে প্রতিটি গাছকে একবার
ছুঁয়ে দেখি।
বৃষ্টিতে ভিজেছি আমি, কান্না এসেছে ঝেঁপে-
প্রথম বৃষ্টির পর এত কান্না আসে কোথা থেকে!
তোমাকে ভেবে?
প্রান্তর জুড়ে ছড়ানো আছে গাছের মায়া,
দূরান্ত থেকে - নদী থেকে, জলের ভেতর থেকে
উঠে আস তুমি - রোজই আস - এসে বস
দৃষ্টির ভেতরে, অন্ধ আমি দেখি না বাইরে আর।
হাঁটে ছায়া
একা চলেছি যে রাস্তায় সে আমার চেনা পথ,
কিন্তু পেরিয়ে গেছি পরিচিত এলাকা; থামব
কতদূরে জানি না তা। একা হাঁটি সেই পথে
যার নাম স্বপ্নভঙ্গ সরণী, শহর ঘুমিয়ে আছে-
নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে গাছ- রাস্তার আলো
পড়ে গায়ে- পাশে হাঁটে ছায়া।
যদি কেউ খুঁজে পায় পাক; ততক্ষণ একা হাঁটি,
যে রেখায় পা ফেলে চলি তা বিভক্ত করেছে
আমায়- পড়ে ফেলি অক্ষরমালা- রেখার অভ্যন্তরে
অনুক্ত বাক্যবিন্যাস; একাই হেঁটেছি আমি- হৃদয়
স্পন্দিত- আমি জীবন্ত –স্পষ্ট তার লক্ষণ,
পাশে হাঁটে ছায়া।
দ্বিতীয় জন্ম
সর্বভুক গ্রহণ করছি টর্নেডোর মত পথে আসে যা,
উদ্গারে বেরিয়ে আসে পূর্ণতার সন্ধানে ছোটা অপ্রাপ্তিরা;
বাকী জীবনের আজই প্রথম দিন-
চুরমার হয়ে যায়
ধূসর অতীতের ফুটিফাটা মেঝে।
নিজেকে খুঁজি টলোমলো হাঁটি শিশুর মতো পায়ে,
বুঝি আহ্বান বুঝি বিসর্জন-
বুঝি বন্ধু কারা বুঝি পঙ্গু কারা, কারা
পঙ্গপাল;
কে অপলক আর কার মুখ ঘুরে যাচ্ছে অন্য দিকে।
আমার চুল নিজের ইচ্ছেমতো রঙ করবো উজ্জ্বল
আবার নাও করতে পারি; যারা আমার জন্মদিন পালন করো,
যারা ভালোবাসো আমাকে; জেনে রাখো
আজ থেকে নতুন পা ফেলছি বাকি অধ্যায়ে।
আমার দ্বিজত্ব পেরিয়ে যাবে হেলান দেবার বেড়াগুলো
কাঁধ ইস্পাত মজবুত, কালো অ্যাসফল্টের রাস্তা আমাকে
ডাকে-
এই দ্বিতীয় জীবন এক বিস্ময়, বালিতে আঙ্গুলের কারুকাজ
হাত ঝুলে আছে কাঁধ থেকে, পা নিয়ে যাচ্ছে গন্তব্য পেরিয়ে
অন্য দিগন্তে; বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় মাটি
কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উঠে যায় ওপরে আরও ওপরে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন