মোমবাতি
শীতরক্ত সে তো কবেই ধুয়ে গেছে
তবুও হিংস্রতার আঁচড়
ঝুলে আছে সন্ধ্যার গায়ে
মোমবাতির আসর নেই আজ
নেই মিছিলের পদধ্বনিও
অথচ আজও সন্ধ্যা নেমে এলে
শীতরাস্তায় মৌনমিছিল চলে
গলে যাওয়া মোমবাতির
জ্যোতিচিহ্ন মেয়েটির কপাল জুড়ে
কুয়াশার শহর বিবস্ত্র মেয়েটির
শরীর ঢাকে,
গভীর কালো চোখে জড়িয়ে
মেয়েটি নিঃশ্বাস বুঝে নেয় তেরদিন ধরে
গতবার শীতে
মেযেটি রজনীগন্ধা হয়ে গেছে
উপন্যাস সাজাতে সাজাতে...
জসমিন জুঁই
নিকোটিনের ধোঁয়া ওড়াতে ওড়াতে
গল্প লিখছিল সে, নির্ঘুম রাতের গল্প,
স্লিপিং পিলের গল্প
বদলে যাওয়া ক্যালেন্ডারে ইতিহাস খুঁজছিলাম তখন
মাটি খুঁড়ে তুলে আনছিলাম শিকড়
আর শিকড়ে জড়িয়ে থাকা যত সুর
দাদা বলেছিল ‘সুর হারাস না’
অথচ সাদা কালো রিডের মতই
ছুঁয়ে যাচ্ছিল রাত বারবার...
আনত চোখে সুর বাঁধা ছিল তার
হারানো সুর...
একদিন নির্ঘুম রাতের নির্দেশিকায়
পিয়ানো রং ছড়াতে ছড়াতে সে আমার নাম রেখেছিল জুঁই...
দুই মেরু
মেরু ব্যবধানের সীমা রেখা ঘিরেই
পরস্পরকে চিনে নেওয়া
দূরত্ব কিছুই নয়...
এক বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দু
মাঝের এই হেঁটে চলা পথটুকুই
সম্পর্কে জুড়ে থাকা...
এর বাইরে যা কিছু, সব শূন্য...
চমৎকার লিখেছিস নাতনি ।
উত্তরমুছুন