অস্ফূট
আমাদের নামাঙ্কিত
গাছগুলো
গৃহপালিত পশুর আহারে
পরিণত হচ্ছে
দাস-বৃত্তির চেয়ে এই
ভালো।
সর্বভুক আকাঙ্ক্ষার লালাঝরা পথে
সব অস্বীকার করা
হাসি বিচ্ছুরণ
জীবনের নান্দনিক
ব্যর্থতা।
হোক।
অঙ্কুরোদগমের পীড়ন
নিয়ে ঘনীভূত হয়ে উঠা
ক্রমশ।
একটা পালিয়ে যাবার
প্রস্তুতি ঘিরে কক্ষচ্যুত আমি
লুকাবো না, বহুতল জন্ম-মৃত্যুতে
চুমুক দেওয়ার
অনিঃশেষ উপলব্ধি।
জুয়ারি
প্রবল উল্টো ঘূর্ণনে
প্রতিবার নিঃশ্বাসের
জট খুলে
প্রতিবার নির্লিপ্ত
বসে পড়া।
এখানেই লীন হয়ে আছে
আদিগন্ত প্রহরের ডাক।
জিভের ডগার মিহি লাল
ভুলিয়ে দেয় যা শেখা
শিখিয়ে দেয় যা
অজ্ঞাত।
তীর অস্বীকার করা
সারস
অহমের ঘামে বুঝে নেয়
জলের প্রাণ।
তার কাছে ধরা দেয়
দৃশ্যের ধোঁকাগুলো।
ভুল যাপনের ভিড়ে
কদাচিৎ কেউ
নিজেকে চেনে ঈর্ষনীয়
সাহসে।
প্রশ্বাস
সাদা ক্যানভাস
টাঙ্গানো দেওয়ালে দেওয়ালে
সেখানে মূলত টাঙ্গানো
সম্ভাব্য হয়ে উঠাগুলো।
বিছানার খিল থেকে
শরীরের পশম
শতমাইল পুরনো মই
বেয়ে
পৌঁছায় গভীর তাগিদ
পর্যন্ত।
স্মৃতি খেলবার দিনে আবিষ্কৃত হয়
আমরা অলিখিত অক্ষর,
সম্ভাবনায় প্রশ্বাস
টেনেছি।
সর্বত্র আশ্চর্যের
ছাপ ফেলে
সবুজ ঘাসের কাছে
আন্তরিক হয়ে উঠেছি
ঢাকা-পড়া মাটির মতো।
আয়ু আমাদের খেয়ে
নিয়েছে
এই ছুতোয়, আমরাও
আয়ুকে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন