কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

০৩) উমাপদ কর


 
খোয়াব-বিন্দু                                  

কিছুই ভালো না লাগার থেকে চমকে উঠছে তোমার সাঁঝবাতি
চোখের মণি জেগে উঠলে আলো-আঁধারির শেষে একলা খোয়াব
তার টানটান উত্তেজনায় কেন যেন এক বিন্দু তরাস
আমাকে শুইয়ে দেওয়া হলো মখমলের চাদরে  
নীল হয়ে এলো হাতের শিরা
তুমি কেন কাঁদতে ভুলে গেলে!

আমি খেয়াল করছিলাম কানপাশা
আলো ঠিকরে পড়ছিল গালের চারপাশে
তুমি বাধ্য মেয়ের মতো কেন যেন এক টুকরি মোহ জমিয়েছিলে
শুধু আমারই জন্য, আমার কোনো কিছু ভালো না লাগার দাওয়াই
ঘুমিয়ে পড়ার আগে কাজল পড়িয়ে দিলে, অন্ধকার হয়ে এলো
খোসা খুলে খুলে খোয়াব একটা বিন্দুর মতো ভেসে থাকে
আমিও কি কাঁদতে ভুলে যাব!



বরফ ঢাকা

তুমি বাইরে এসে দাঁড়াও
ফার-এর টুপি খুলে নাও
তোমার জন্য চনমনায়মান বাতাস ফিনকি দিচ্ছে

তুমি গ্লাভস্‌ও খুলে ফেলতে পারো
সত্যিকারের বরফ মুঠো মুঠো তোমার অপেক্ষায়
ওভার-কোটটা এবার লজ্জা পাক

তুমি যতটা পার কম বস্ত্রে বরফ পরখ কর
দেখবে ভেতরে ভেতরে তুমি গরম হয়ে উঠছ
একটা বেড়াল তোমার মধ্যে বাঘ হয়ে উঠছে কেবলই

তুমি নির্বস্ত্র হলেও এই আকাশের নিচে কিচ্ছু যায় আসে না
বরফের আবরণে সব যেমন ঢেকে আছে
তেমনি নিজেকে ঢাকার এই তো বড় সুযোগ

তুমি যেন তা হাত-ছাড়া কোরো না...



কাশফুল আয়েসি মেঘ

কাশফুলের মতো ঘুম আমার খুব প্রয়োজন
আয়েসী মেঘের মতো জেগে থাকা উপভোগ করাও প্রয়োজন
ঘুম দেয়ালের ওপরটায় পায়রা এসে বসে
আমাকে শুধুই জাগিয়ে রাখে তার সাদা চেকনাই-এ

চোখের মণিতে কারা নেমে আসছে
কারা শুধু ফেলে ফেলে যাচ্ছে কালো পর্দা
মেডিটেশন হল-এ ঢুকে পড়ছে তীক্ষ্ণ আলোর সঙ্গে
হাজার ঘোড়ার ক্ষুর, আমি কীভাবে শান্ত হব

ঢেউগুলো চেনা মনে হয়, দ্রুত সরে সরে যায় এমন
কাউকে আলাদা করা যায় না একা পাওয়া যায় না
তোমাকে নিয়ে কোনো একদিনের গড়ে ওঠা মূর্তি
ঢেউ-এর গ্রাসে আমার ঘুম কেড়ে নিচ্ছে

আমার জেগে থাকাও করে তুলছে লাগামহীন
অথচ আমার কাশফুল আর আয়েসি মেঘের প্রয়োজন ছিল...




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন